আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
বাস চলছে। কিছুদূর যেতেই দেখি লেখা রয়েছে ভাল্লুক সাফারি অর্থাৎ এখানে ভাল্লুক দেখা যাবে। আগে কখনো আমি ভাল্লুক দেখিনি। ভাল্লুকের কাছে গিয়ে বাসটা দাঁড়িয়ে পড়ে। দেখি একটা ভাল্লুক দাঁড়িয়ে রয়েছে এবং আরেকটা বাচ্চা ভাল্লুক বেশ কিছুটা দূরে। এরপর বাস সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এরপর আমাদের দেখা যায় আফ্রিকান হরিণ। হরিণ সাধারণত ছাগলের মতো হয় এবং গায়ের রং সোনালী ঢোরা কাটা হয়। কিন্তু আফ্রিকান হরিণ গুলো আমাদের দেশের গরুর মতো এবং ঐরকমই গায়ের রং। তবে মাটি কালারের বলা যায়। আফ্রিকান হরিণ দেখে বেশ অবাক হয়েছিলাম। এরপর দেখি জেব্রা। এর আগে কখনো সাদাকালো জেব্রা দেখা হয়নি। দেখি অনেক গুলো জেব্রা মাঠের মধ্যে ঘুরে ঘুরে ঘাস খাচ্ছে। এভাবে প্রতিটা পশুর কাছে গিয়ে বাসটা দাঁড়াচ্ছে।
এরপর কিছুদূর গিয়ে দেখি নীলগাই। অনেকেই বলতে পারেন নীলগাই টা কী। এবং এই গাই কী নীল হয়। গাই মানে হলো গরু। আর নীলগাই নীল রঙের গরু না এটা গরুর একটা বিশেষ জাত। আগে বাংলাদে অনেক থাকলেও বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে নীলগাই প্রায় বিলুপ্ত। তবে সাফারি পার্কে বেশ কয়েকটা ছিল। সাধারন পশু অনেকক্ষণ দেখছি। সেটা দেখতে দেখতে বেশ বোর হয়ে গেছিলাম। মনটা চাচ্ছিল সেই রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখতে হা হা। এরপর আমরা গেলাম সিংহ সাফারি করতে। বলে রাখি গাজীপুর সাফারি পার্কে মাএ একটা সিংহ রয়েছে । তবে সেটাও অসুস্থ মনে হয়েছে দেখে। আমরা দেখি নিচে পুকুরের পাড়ে শুয়ে আছে। চোখে পড়েছে তবে ফোনের ক্যামেরায় সেরকম ধরা পড়েনি। সিংহটা দেখে শরীর শিহরণ সৃষ্টি হবে কী রীতিমতো হাসি পেয়েছে। যেন সিংহেরই শরীর চলছে না। তবে এই অবস্থা দেখে খারাপ ও লেগেছে।
এরপর সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত বাঘ সাফারি। বাঘ দেখার জন্য বেশ উৎসুক। পুরোটা জুড়ে খুঁজছি কোথায় কোথায় কোথায় সেই বাঘ। সেই মূহুর্তে বাসটা দাঁড়িয়ে গেল। দেখি আমাদের বাসের থেকে মোটামুটি হাত ৩০-৪০ দূরে বিশাল সাইজের দুইটা বাঘ। এতোবড় বাঘ আমি প্রথমবার দেখলাম। আর বাঘ যে এতো বড় হয় না দেখলে বিশ্বাস হতো না। মোটামুটি বাস সাফারি শেষের দিকে তাও প্রায় ৩০ ঘন্টা বাসে করে সাফারি করলাম। এখন যেটুকু আছে হেটে দেখতে হবে। কিছুদূর এগিয়ে যায়। দেখি ৬০ টাকায় ব্রাজিলের পাখি ম্যাকাও, ৪০ রংয়ের টিয়া এবং মাছের অ্যাকুরিয়াম। তবে এখানে কোনো বিশেষ টিকিট নেই শিক্ষার্থীদের জন্য এখানে সবার জন্য ৬০ টাকা। যাইহোক টিকিট কেটে নিলাম। প্রথমেই গেলাম ব্রাজিলের সেই ম্যাকাও পাখি দেখতে। সত্যি বলতে পাখি গুলোব বেশ বড়। এবং বেশ জোরে আওয়াজ করে ডাকে। মানে এইটুকু পাখি এতো জোরে ডাকে। পাখিগুলো ছাড়া ছিল। বেশ কয়েকবার আমাদের দিকে তেড়ে এসেছিল।
এরপর গেলাম ৪০ কালারের টিয়া দেখতে। টিয়া পাখি একসময় আমার বাড়িতে ছিল। তবে সত্যি সত্যি ৪০ টা রং আদেও ছিল কীনা সন্দেহ ছিল। তবে টিয়ার পাশাপাশি কাকাতোয়া সহ আরও অনেক প্রজাতির পাখি ছিল। পাখি দেখা শেষ করে যায় অ্যাকুরিয়ামে মাছ দেখতে। তবে মাছ দেখতে গিয়ে দেখি সব অন্ধকার কারেন্ট নেই। ঐ অন্ধকারে কী দেখব আর এদিকে আমাদের হাতে অফুরন্ত সময়ও নেই যে অপেক্ষা করব। কী আর করার ঐভাবে ফোনের টর্চ জ্বালিয়ে দেখলাম। বেশ অনেক প্রকারের মাছ ছিল। তবে অতো প্রকার মাছের নাম আমার মনে নেই। তবে অ্যাকুরিয়াম থেকে খুব একটা ভালো আউটপুট পাইনি। শুধু ঐ ম্যাকাও পাখি টাই ভালো ছিল এখানে। অ্যাকুরিয়াম থেকে বের হয় আমরা পাঁচ মিনিটের ব্রেক নেয়। এরপর আবার হেঁটে হেঁটে ঘোরা শুরু করি।।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | মে,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক ভ্রমণ দ্বিতীয় পর্ব পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আফ্রিকান হরিণ দেখতে সত্যিই গরুর মতো। যাক অবশেষে বাঘের দেখা পেলে কিন্তু সিংহের অবস্থা শুনে খুব খারাপ লাগলো। পাখিগুলো সত্যিই খুব সুন্দর ছিল কিন্তু কারেন্ট না থাকায় মাছের ছবিগুলো দেখতে পেলাম না।
ধন্যবাদ ভাই অসাধারণ পোস্টটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
দোয়া রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গত কয়েকদিন আগে আমি আপনার পোস্ট লক্ষ্য করেছি ঢাকায় যাচ্ছেন। এরপরে লক্ষ্য করেছি প্রথম পর্বটি। আজ দ্বিতীয় পর্বে আপনি এ পার্ক সম্পর্কে অনেক কিছু আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন বর্ণনার সাথে এবং ফটোগ্রাফির সাথে। আশা করি বন্ধুদের সাথে অতি আনন্দঘন একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এখানে। যা দেখে খুবই ভালো লেগেছে আমার।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit