রেলওয়ে!!

in hive-129948 •  9 months ago 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ শুক্রবার, ২৯ ই মার্চ , ২০২৪।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


train-60539_1280.jpg

Source


সবচাইতে নিরাপদ যানবাহন বলতে আমরা সাধারণত বুঝি ট্রেন ভ্রমণ। এটাই একমাএ লোকাল ট্রান্সপোর্ট যেটা খুবই কম দূর্ঘটনার স্বীকার হয়। ট্রেন দূর্ঘটনায় মানুষও কমই মারা যায়। তবে ইদানিং সমসাময়িক সময়ে বাংলাদেশে বেশ কিছু ট্রেন দূর্ঘটনা ঘটেছে। যার অধিকাংশ ছিল ট্রেনের চাকা লাইনচ্যুত হওয়া। আর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচাইতে বড় একটা দূর্ঘটনা ছিল বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুন। এটা পরিকল্পিতভাবে দেওয়া হয়েছিল। সেটাও এই বছরেই। এইভাবেই চলছে সব। বাংলাদেশের রেলওয়ে ব‍্যবস্থা খুব একটা উন্নত কিন্তু না। তবুও বাংলাদেশে ট্রেনের চাহিদা ব‍্যাপক। বাংলাদেশের প্রথম রেলওয়ে স্টেশন হচ্ছে আমাদের কুষ্টিয়ার জগতি স্টেশন। কিন্তু এখন সেটা অবহেলিত একটা স্টেশন। শুধুমাত্র একটা ট্রেন থামে সেখানে।

যাইহোক সেসব বাদ দেয়। বাংলাদেশের ট্রেন যাএা নিয়ে আজ কথা বলব। বাংলাদেশের ৯০% মানুষ মুসলিম হওয়াই ঈদের ছুটিতে সবাই বাড়ি আসে। আর এই বাড়ি আসতে গিয়ে প্রতি বছর অসংখ্য মানুষ সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যায়। আর সেজন্য অনেকেই সুস্থ‍্যভাবে বাড়ি আসার জন্য ব‍্যবহার করে ট্রেন। কিন্তু বাংলাদেশে ট্রেনের টিকিট পাওয়া মোটেই সহজ কাজ না কিন্তু। পদ্মাসেতু দিয়ে ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকে আমাদের কুষ্টিয়া এবং ঢাকার মধ্যে ট্রেন যোগাযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবং আমি বেশ কয়েকবার ভ্রমণ করেছি সেজন্য আমার অভিজ্ঞতা আছে। যাইহোক এটা ২২ তারিখ সকালের কথা। আমার চাচাতো ভাই তার পরিবার নিয়ে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসবে। এবং আমার চাচাতো ভাই আমাকে দায়িত্ব দেয় ১ তারিখের চারটা টিকিট কাটতে। এটা রীতিমতো একটা চ‍্যালেঞ্জ এর মতো ছিল।


old-station-2808504_1280.jpg

Source


ট্রেনের টিকিট দেয় দশদিন আগে এবং সকাল ৮ টার সময় ছাড়ে টিকিট। তো আমি ৭:৩০ টাই উঠে ফোন নিয়ে বসে ছিলাম অনলাইনে টিকিট কাটার জন্য। শেষমেশ যখন ৮ টা বাজলো। শুরু হলো যুদ্ধ। পর পর চারবার টিকিট সিলেক্ট করে পেমেন্টে গিয়ে আমি ফিরে এসেছি এতটা সার্ভার সমস্যা। পাশাপাশি তখন এতো মানুষ ঢুকেছে সার্ভার এমনেই ডাউন হয়ে গেছে। যাইহোক অনেক চেষ্টা করার পর আমি চারটা টিকিট কাটতে সক্ষম হয়। এবং আশ্চর্যের বিষয় পুরো ট্রেনের টিকিট মাএ ৪০ মিনিটের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। আমি রীতিমতো তাজ্জব হয়ে গেছিলাম। গতকাল একটা নিউজ দেখলাম। ৬ তারিখে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রান্তের ট্রেনের ১৬ হাজার টিকিটের জন্য লড়াই করেছে প্রায় ৯২ লক্ষ মানুষ। একটা টিকেটের জন্য লড়েছে প্রায় ৫৭৫ জন মানুষ। শুধুমাত্র একবার ভেবে দেখুন। এই চাপের সৃষ্টি হয়েছে শুধুমাত্র ঈদের জন্য।

সবাই ঈদে বাড়িতে যেতে চাই। সবাই চাই সুস্থ্যভাবে বাড়ি যেতে সবাই চাই পরিবারের সাথে ভালোভাবে ঈদটা উৎযাপন করতে। বাংলাদেশে রেলওয়ে এর একটা ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। আরেকটা কথা বলি। বাংলাদেশে ট্রেনের টিকিট অনলাইনে পাওয়া গেলেও এখানেও কালোবাজারি এর একটা প্রভাব আছে। হ‍্যা এরা রেলওয়ে এর মধ‍্যকার লোক এই কালোবাজারি রা। যাইহোক বাংলাদেশে রেলওয়ে খাত এর একটা ভালো সম্ভাবনা আছে। ভালো এক্সপ্রেস ট্রেনের সিট কখনো ফাঁকা যায় না। সবসময়ই যাএী থাকে। বাংলাদেশ সরকার যদি বাংলাদেশের রেলওয়ে খাতটা আরও উন্নত করতে পারে। স্টেশন গুলোর সংস্কার ডাবল লাইন সংযোজন ভালো এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা। তাহলে বাংলাদেশের রেলওয়ে খাত অন‍্যমাএায় চলে যাবে। যোগাযোগ ব‍্যবস্থার পরিবর্তন হয়ে যাবে। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের রেলওয়ে ব‍্যবস্থাটা অনেক ভালো।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

টেনে যাতায়াত খুবই সুবিধা এবং নিরাপদ সেজন্য সবাই ট্রেন জার্নিটা বেশি পছন্দ করে। এইরকম ঘটনার সাক্ষী আমিও হয়েছি । এইতো কয়েক মাস আগে আমরা ঘুরতে গিয়েছিলাম। তো টিকিট কাটার জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনটা গ্রুপ হয়ে আমরা টিকিট কাটার জন্য প্রস্তুত। যখন আটটা বাজলো ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে টিকিট উধাও সত্যিই এই বিষয়গুলো অবাক লাগে। এমনিতেই মানুষের চাহিদার একটা চাপ অন্যদিকে টিকিট কালোবাজারি। এই দুইটা বিষয় অনেক মানুষ আশা করলেও সেই আশা নিরাশা হয়ে যায় কিছুই করার নেই ভাই।

Posted using SteemPro Mobile

আমাদের বাংলাদেশের ট্রেনের চাহিদা বেশি। ট্রেন এক্সিডেন্ট খুবই কম হয় তাই একটু নিরাপদে যাতায়াত করার চেষ্টা করে সবাই। কিন্তু সমসাময়িক ট্রেনের চাহিদা এত বেড়ে গেছে এক সপ্তাহ আগে কিংবা দুই সপ্তাহ আগেও ট্রেনের টিকিট পাওয়া যায় না। আপনার তথ্য মতে বুঝতে পেরেছি ট্রেনের ব্যাপক চাহিদা। যদিও ইদানিং ট্রেনের দুর্ঘটনাগুলো জানতে পেরেছি খুবই মর্মাহত ছিল। তারপরেও অন্যান্য যানবাহনের চেয়ে ট্রেনের নিরাপত্তা অনেক বেশি। যাক সবাই যাতে সুস্থ মতো পরিবারের সবার সাথে ঈদ করতে পারে সেই প্রত্যাশা কামনা করি। আর যেন কোন দুর্ঘটনা না হয়। কোন পরিবার যেন তার প্রিয় সদস্যকে এভাবে মর্মাহতভাবে না হারায়।

কি বলেন ভাই, ১৬ হাজার ট্রেনের টিকিটের জন্য লড়াই করেছে ৯২ লক্ষ মানুষ! এরকম যদি ট্রেনের টিকিটের চাহিদা থাকে, তাহলে তো আমি বলব যে, বাংলাদেশ সরকারের এই বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হওয়া উচিত। যদিও ঈদের সময় এরকম ট্রেনের টিকিটের চাপ থাকে, এটা আমি শুনেছি। তাছাড়া অনেক ভিডিওতে দেখেছি, মানুষ ট্রেনের ছাদের উপর উঠে বাড়িতে যায় ঈদ কাটাতে নিজের পরিবারের সাথে। তবে আপনার অনেক ভাগ্য ভাল যে, আপনি অন্তত চারটা টিকিট কাটতে পেরেছেন।