আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
শুক্রবারের সকাল নতুন শহর। বাসের জানালা দিয়ে যা দেখছি সবকিছুই যেন সুন্দর। সারাদিন ঘুম হয়নি এইজন্যই চোখে ঘুম থাকলেও ঘুমানোর বিন্দুমাত্র ইচ্ছা ছিল না আমার। ফলাফল পুরো রাস্তাটা বাইরে তাকিয়ে থাকলাম। বাইরে টা দেখতে চমৎকার লাগছিল। অন্যদিকে বাসের মধ্যে দেখি অনেকেই ঘুমাচ্ছে। এরপর একটা জিনিস আরও ভালোভাবে দেখতে পাই সেটা হলো মাছের ঘের। মাইলের পর মাইল বিস্তির্ণ মাঠ। এবং এই মাঠে কৃএিমভাবে চলছে বিভিন্ন ধরনের মাছের চাষ। বিশেষ করে চিংড়ি, কাঁকড়া এগুলো বেশি চাষ করা হয়। এভাবে দেখতে দেখতে আমরা এগিয়ে গেলাম মংলা পোর্ট এর দিকে। আমরা যখন মংলা পোর্ট পিকনিক স্পটে যায় ঘড়িতে তখন সময় সকাল ১০ টা। আমাদের মতো আরও অনেক গ্রুপ এসেছে এখানে পিকনিকে। আর শুক্রবার ছুটির দিন হওয়াই সাধারণ পর্যটকদের ভীড়ও রয়েছে।
ওখানে দেখি রাস্তার ধারে অসংখ্য বাস পার্ক করা। আমাদের স্যার আমাদের পিকনিক স্পট টা ঠিক করে। এরপর আমাদের উদ্দেশ্যে বলে এখানেইখানেই আমাদের সকালের নাস্তা তৈরি হবে। সকালের খাওয়া শেষ করে আমরা ট্রলার ঠিক করে যাব সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে। এর আগে যেন কেউ আমরা একা একা না যায় সেজন্যই নিষেধ করেছিলেন। সকালের খাবার তৈরি হতে মোটামুটি ঘন্টাখানেক লাগবে। ঐসময় আমরা ওখানেই ঘোরাঘুরি করতে থাকি। প্রথমেই চলে যায় নদীর পাড়ে। ঐটাকে নদী না বলে সমুদ্র বললেও খুব একটা ভুল কিন্তু হবে না। ঐ পানি কিন্তু লবণাক্ত। ঐটা হলো পশুর নদী। নদীতে অসংখ্য কর্গো এবং ট্রলার রয়েছে। সেই তুলনায় ছোট নৌকার সংখ্যা খুবই কম।
যতদূর চোখ যায় শুধু জলরাশি। না সুন্দরবনের কোন চিহ্ন নেই। কৌতুহলবশত একজনকে জিজ্ঞেস করলাম এখান থেকে সুন্দরবন কত দূর?? জবাবে উনি বললেন আমিও প্রথমবার এসেছি সঠিক জানি না। কী আর করার নদীর কয়েকটা ছবি তুলেছিলাম ঐসময়। এরপর আমরা ঐ বিশাল জায়গাটা ঘুরে দেখতে থাকি। অসংখ্য দোকান ছিল ওখানে। যেগুলো মূলত পর্যটক নির্ভর। অনেক ধরনের পণ্য ছিল দোকানগুলোতে। ঘড়িতে সময় তখন ১১ টা এর মতো। ঐসময়ের মধ্যেই খুবই দ্রুত আমাদের সকালের খাবার তৈরি হয়ে যায়। সকালের খাবারে খুবই চমৎকার একটা রেসিপি ছিল। খাসির চর্বি দিয়ে সবজি খিচুড়ি সাথে টমেটো এবং শসার সালাদ। সত্যি বলতে ৬ বছর আগের ব্যাপার হলেও এখনও ঐ সবজি খিচুড়ির স্বাদ ভুলতে পারিনি।
আমাদের যেমন প্রচণ্ড খিদে লাগছিল তেমনই সুন্দর হয়েছিল ঐ খিচুড়ির স্বাদ। যাইহোক নাস্তা শেষ করে কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করলাম। এরপর আমাদের স্যার গিয়ে ট্রলার ঠিক করে সুন্দরবন যাওয়ার জন্য। মংলাপোর্ট থেকে ট্রলারে করে যেতে হয় সুন্দরবন। প্রথমে একটা ট্রলার ঠিক করলেও আমরা বেশি শিক্ষার্থী হওয়াই সেটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এইজন্যই পরবর্তীতে স্যার আরও একটা ট্রলার ঠিক করে। ঠিক ১২ টার সময় আমাদের ট্রলার যাএা শুরু করে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে। ট্রলারে করে যতই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি ততই যেন নদীর প্রসস্থতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আমরা সমুদ্রের দিকে যাচ্ছি। এরপর হঠাৎ একটা সময় আমার নজরে আসে সুন্দরবনের একটা অংশ। প্রথম দেখাতেই বুঝে ফেলি হ্যা এটাই সুন্দরবন। কাউকে বলে দিতে হয়নি।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit