আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ছোটবেলা ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে একটা প্রাণী দেখাতাম । প্রাণীটার নাম মনে নেই। তবে আমি ঐসময় ওটাকে মজা করে ওরাংওটাং বলতাম। জানি না কীভাবে নামটা আমার মনে এসেছিল। তবে পরবর্তীতে ওটা দেখলেই আমি বলতাম ঐ যে ওরাংওটাং। লেমুর প্রাণীটা ঠিক সেইরকম। একটা খাঁচার মধ্যে বেশ কিছু লেমুর দূরে বসে আছে। দেখে মনে হলো এরা বেশ অলস। খুব একটা নড়ে চড়ে বেড়াচ্ছে না। নামটা তো আমার জানা নেই। তবে এই প্রাণীটা দেখতেই ন্যাশনাল জিওগ্রাফিতে দেখা ঐ প্রাণীর কথা আমার মনে পড়ে গেল। আমি আরেকবার উচ্চারণ করলাম হ্যা এইটাই সেই ওরাংওটাং। ওখানে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলেও ওদের কোন নড়াচড়া আমার চোখে পড়েনি একেবারেই।
লেমুরের পাশের একটা খাঁচাতে বেশ কিছু পাখি ছিল। পাখিগুলো আমাদের থেকে বেশ দূরে ছিল। এবং আকারে বেশ ছোট। এইজন্য খুব একটা ভালোভাবে দেখা যাচ্ছিল না। ঐখানে খুব একটা সময় আমরা ছিলাম না। এরপর এগিয়ে যেতেই আমাদের বোধগম্য হলো হ্যা আমরা সাফারি পার্ক এর শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। অর্থাৎ একটা অংশ আমরা শেষ করলাম আর কী। এরপর আমাদের নজরে আসে কুমির পার্ক। একটা জায়গা দারুণ ভাবে ঘেরা এবং তার মধ্যে একটা জলাশয়। এবং জলাশয়ের মধ্যে দুইটা কুমির ভেসে রয়েছে। এবং কুমির দুইটা বেশ বড়। আমি ঐ দুইটার ছবি তুলছিলাম এবং দেখার চেষ্টা করছিলাম। এমন সময় আমার বন্ধু নাভিদ বলে উঠল ঐটা বাদ দে এইটা দেখ।
নাভিদের কথা শুনে আমি একটু সামনে তাকতেই দেখি একেবারে কাছে নিচের দিকে একটা বিশালদেহী কুমির শুয়ে রয়েছে । ঐটা এমনভাবে শুয়ে রয়েছে যেন ওটার নড়াচড়ার কোন শক্তি নেই একেবারেই। যাইহোক ঐটার বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ধারণ করলাম। পাশেই দেখি ঐটার খাওয়ার জন্য কয়েকটা স্বাস্থ্যবান মুরগি রেখে দেওয়া হয়েছে। কুমির দেখা শেষ করে আমরা সামনে এগিয়ে যেতেই দেখি আরেকটা আকর্ষণীয় জায়গা। ওখানে একটা জলাশয়ের মধ্যে বেশ অনেক ধরনের রঙিন মাছ। এবং ঐগুলো টিকিট কেটে দেখা লাগছে। না শেষ বেলায় গিয়ে আমরা আর ঐ রঙিন মাছ দেখতে যায়নি। কারণ ততক্ষণে আমাদের বের হয়ে যাওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে। মোটামুটি আমরা সবাই ওখানে যেতে অসম্মতি জানিয়ে দেয়।
আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতেই চোখে পড়ল দারুণ একটা বাগান। বিভিন্ন ধরনের ফুলগাছ পাশাপাশি অন্যসব গাছও রয়েছে। সবকিছু দিয়ে দারুণ ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে ঐ জায়গাটা। ইচ্ছা করছিল কিছুক্ষণ বসে থাকি ওখানে সময় অতিবাহিত করি। কিন্তু সেই ফুরসৎ আমাদের কাছে একেবারেই ছিল না। চারিদিকে একটু খেয়াল করতেই দেখলাম আমাদের পাশেই ঐ রাস্তা যেটা দিয়ে আমরা ঘোরাফেরা শুরু করেছিলাম। এবং আমাদের ডানপাশে আরেকটা রাস্তা চলে গিয়েছে অন্য দিকে। ঐটা সাফারি পার্কের আরেকটা অংশ। অর্থাৎ আমরা মাএ একটা অংশ ঘুরেছি। এখনও অনেক টা অংশ বাকি আছে দেখার। আগেই বলছি ঠিকমতো পুরো সাফারি পার্ক ঘুরতে হল আপনাকে একটা দিন হাতে নিয়ে আসতে হবে। কিন্তু আমাদের হাতে আর সময় ছিল না। এইজন্য আমরা একেবারে বের হওয়ার গেটের দিকে এগিয়ে যেতে থাকি।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Daily task
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার এত সুন্দর একটি পার্ক ভ্রমণ পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক অনেক বড়। এর মধ্যে বিভিন্ন রকমের প্রাণী এর দেখা মেলে। তাই এই সমস্ত স্থানগুলো ঘুরতে পারলে অনেক কিছু সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি আমাদের মাঝে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন রেখে অনেক জানার সুযোগ পেলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশ ভালো লাগলো দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও বড় একটি পার্ক ভ্রমণ করে দেখিয়েছেন দেখে। ইতোমধ্যে আপনি ছয়টি পর্ব শেয়ার করেছিলেন আজকে সপ্তম পর্ব। এ পর্বে আপনি অনেক কিছু দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন আমাদের। আশা করি অনেক আনন্দে সময় পার করেছেন সেখানে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit