আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
SSC sports channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
বিগত দুই বছর ব্রাজিল দলটার অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তবে কোচ দরিভাল জুনিয়র দায়িত্ব নেওয়ার পরে সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান সমর্থক রা বলতে গেলে ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু দরিভাল জুনিয়র এর কথা এবং কাজের মিল কিছুটা পাওয়া শুরু হয়েছে। আজ বিশ্বকাপ বাছাই দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের ম্যাচে ব্রাজিল মাঠে নামে। ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল পেরু। নিজেদের ঘরের মাঠে ম্যাচ এই জন্য ব্রাজিল কিছুটা স্বস্তিতে ছিল অবশ্য। ম্যাচ ছিল বাংলাদেশ সময় সকাল ৬ টা ৪৫ মিনিটে। ম্যাচে দরিভাল জুনিয়র দুইজন মিডফিল্ডার নিয়ে ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে তার দলকে মাঠে নামায়। এটা বেশ অবাক করেছিল আমাকে যে মাএ দুজন মিডফিল্ডার।
অন্যদিকে প্রতিপক্ষ পেরুর ফর্মেশন ছিল ৩-৫-২। অর্থাৎ তাদের মিডফিল্ডার ছিল ৫ জন্য। যাইহোক খেলা শুরু হয়। খেলার শুরু থেকেই বেশ দেখেশুনে নিজেদের মধ্যে দেওয়া নেওয়া করে খেলছিল ব্রাজিল ম্যাচে ২০ মিনিটের দিকে রাফিনহা সুন্দর একটা বল পেয়ে শর্ট নিলে সেটা ক্রসবারে লেগে প্রতিহত হয়। যথারীতি খেলা চলতে থাকে। ম্যাচের ৩৩ মিনিটে পেরুর ডিফেন্ডারের হাতে বল লাগে ডিবক্সের মধ্যে। প্রত্যক্ষভাবে পেনাল্টি না দিলেও পরবর্তীতে ভিএআর চেক করে পেনাল্টি দেওয়া হয়। পেনাল্টি থেকে সফল স্পট কিক নিয়ে গোল করে রাফিনহা। এবং ব্রাজিলকে ১-০ গোলে এগিয়ে নিয়ে যায়। প্রথমার্ধে আর কোন গোল হয়নি। ফলে ১-০ গোলেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে আরও চমৎকার খেলতে থাকতে ব্রাজিল। তবে ব্রাজিলের পাসিং ফুটবলের বিপরীতে বেশ শারীরিক খেলছিল পেরু। এরজন্য তাদের বেশ কিছু খেলোয়ার হলুদ কার্ড পায়। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে আবার ডিবক্সের মধ্যে রদ্রিগোকে ফাউল করে পেরুর খেলোয়ার। ফলে আরেকটা পেনাল্টি পেয়ে যায় ব্রাজিল। দ্বিতীয় পেনাল্টি থেকেও দক্ষতার সাথে গোল করে রাফিনহা। এবং দলকে ২-০ গোলে এগিয়ে নিয়ে যায়। ম্যাচের ৭০ মিনিটে দুইটা পরিবর্তন করে কোচ দরিভাল জুনিয়র। যেখানে আন্দ্রেস পেরেরা এবং লুইজ হেনরিক মাঠে নামে। এবং ব্রাজিল চমক দিয়ে তিনজন মিডফিল্ডার নিয়ে খেলা শুরু করে। এবং মিডফিল্ডার রা বেশ চান্স ক্রিয়েট করছিল।
নতুন দুইজন মাঠে নামার পর তাদের বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ৭১ মিনিটে লুইজ হেনরিকের অ্যাসিস্টে দারুণ এক গোল করে পেরেরা। এবং ব্রাজিল কে এনে দেয় ৩-০ গোলের লিড। আগের গোলের রেশ তখনও কাটেনি। এর ঠিক ৩ মিনিট পরে ৭৪ মিনিটে ইগোর জেসুস এর অ্যাসিস্টে চমৎকার একটা গোল করে লুইজ হেনরিক। ফলে ব্রাজিল এগিয়ে যায় ৪-০ গোলে। ম্যাচের বাকি সময়ে আরও কয়েকটা আক্রমণ করলেও গোল পাইনি ব্রাজিল। ম্যাচ শেষের বাঁশি দিলে পুরো ৪-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। অনেক দিন পর ব্রাজিলের একটু ভালো আক্রমনাত্মক খেলা দেখা দেখলাম। আশা করা যায় এই ধারা অব্যাহত রাখবে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বিশ্বকাপ ছাড়া ফুটবল খেলা আর দেখায় হয় না। আগের মত আর আকর্ষণ নেই খেলাধুলার প্রতি। তবে একসময় ব্রাজিলের কড়া সমর্থক ছিলাম। সর্বশেষ ২০০২ এ তাদের খেলা এঞ্জয় করেছি। এর পর থেকে আর ভাল খেলতে পারে নি ব্রাজিল।
যেহেতু পুরাতন সাপোর্টার, তাই ব্রাজিলে জিতেছে জেনে ভাল লাগল। তবে কোন খেলোয়ারের নামই পরিচিত মনে হলো না! নেইমার নেই দলে?
ভাল থাকুন!
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আগের মত তেমন একটা খেলা দেখা হয় না তবে আমি ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার খেলা হলে মাঝে মধ্যে দেখার চেষ্টা করি। অনেকদিন পর ব্রাজিলের এমন পারফরম্যান্স দেখে খুবই ভালো লাগলো। পেরুকে পাত্তা না দিয়ে ৪ গোলে বিশাল জয় পেয়েছে তারা। শুভকামনা ব্রাজিল টিমের জন্য । অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর করে খেলার রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit