আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
V-Sports channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে
ক্লাব ফুটবলে আমি রিয়াল মাদ্রিদ সার্পোট করি। গতকাল রাতে রিয়াল মাদ্রিদের খেলা থাকলেও আমার ফোকাস ছিল অন্য একটা ম্যাচে। বতর্মান সময়ে সবচাইতে জমজমাট উওেজনাপূর্ণ লীগ হলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ। যেখানে লীগ শিরোপা কার ঘরে যাচ্ছে সেটা জানার জন্য শেষ ম্যাচ পযর্ন্ত অপেক্ষা করতে হয়। গত সিজেনে টানা ৩১ ম্যাচ টেবিল টপার ছিল আর্সেনাল। কিন্তু শেষে এসে তারা সিটির কাছে লীগটা হারিয়ে ফেলে। এইবছর আর্সেনাল এবং সিটির মধ্যে জমজমাট লড়াই চলছে। মোটামুটি বলা যায় কালকের ম্যাচটাই ছিল লীগ নির্ধারণী ম্যাচ। গতকাল টটেনহ্যাম এর মাঠে খেলতে যায় ম্যানচেস্টার সিটি। টটেনহ্যাম যদি ড্র করত অথবা ম্যাচটা জিততে পারত তাহলে আর্সেনালের ভালো সম্ভাবনা থাকত লীগটা জেতার।
কিন্তু আর্সেনালের সেই স্বপ্ন পুরোপুরি শেষ বলা যায়। একটা মজার বিষয় আর্সেনালের অনেক ফ্যান টটেনহ্যাম ফ্যানদের থেকে টিকিট কিনে গতকাল টটেনহ্যাম রে সাপোর্ট করতে মাঠে চলে যায়। গতকাল ম্যাচটা অসাধারণ ছিল। দুই দলই আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করতে থাকে। ম্যাচের প্রথমে দারুণ একটা শর্ট করে টটেনহ্যাম খেলোয়ার জনসন। কিন্তু অসাধারণ একটা সেভ দেয় সিটি গোলরক্ষক এডারসন। পরবর্তীতে খেলা চলতে থাকে। এরপর কিছু সময় পরে টটেনহ্যাম ডিফেন্ডারদের ভুলে অসাধারণ একটা বল পায় সিটি তারকা ফিল ফোডেন। ফোডেন শর্ট নিলেও সেটা সেভ দিয়ে দেয় টটেনহ্যাম গোলরক্ষক।
কোন লাভ হয় না। প্রথমার্ধে একের পর এক গোল মিস করতে থাকে টটেনহ্যাম। কিন্তু খেলাটা বেশ দারুণ হচ্ছিল। দুই দলই সমান আক্রমণ করছিল। দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে ম্যাচের ৫১ মিনিটে কেবিন ডি ব্রুইনির অসাধারণ এক শর্টে গোল করে আর্লিং হ্যালান্ড। তখনই আর্সেনাল ফ্যানদের স্বপ্নভঙ্গ করে এগিয়ে যায় সিটি। এরপর একের পর এক আক্রমণ চলতে থাকে। গোল পরিশোধ করার জন্য যেন মরিয়া হয়ে উঠে টটেনহ্যাম। এরপর ম্যাচ চলাকালীন সময়ে টটেনহ্যাম খেলোয়ার রোমোরে মারাত্মকভাবে ফাউল করে সিটি গোলরক্ষক এডারসনরে। ফলাফল তাকে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয় এবং বদলি গোলরক্ষক হিসেবে মাঠে নামে ওরটেগা। তখনই ম্যাচের ৬৯ মিনিটেই চোটের কারণে উঠে যায় ডি ব্রুইনা। ম্যাচের যখন তখনও অনেক কিছু বাকি ছিল।
এরপর ম্যাচের ৮৬ মিনিটে অসাধারণ একটা বল পেয়ে যায় টটেনহ্যাম খেলোয়ার সন। তার সামনে ছিল শুধু সিটি গোলরক্ষক। সন শর্ট নিলেও অসাধারণ দক্ষতার সাথে সেটা সেভ দিয়ে দেয় ওরটেগা। এই সময়ে সিটি কোচ গার্দিওয়ালা শুয়ে পড়েছিল। যেন সনের গোলটার উপরই তাদের শিরোপা জয় নির্ভর করছিল। ম্যাচের ৯০ মিনিটে ডিবক্সের মধ্যে ম্যানসিটি খেলোয়ার ডকু কে ফাউল করলে পেনাল্টি দেওয়া হয়। পেনাল্টি থেকে সফল স্পট কিক নিয়ে গোল করে আর্লিং হ্যালান্ড। এবং ম্যান সিটি ০-২ গোলে এগিয়ে যায়। তখনই যেন স্বপ্নভঙ্গ হয়ে যায় আর্সেনালের। এই নিয়ে সমান ৩৭ ম্যাচে আর্সেনালের পয়েন্ট ৮৬ এবং সিটির ৮৮। লীগে আর একটা ম্যাচ বাকি আছে। যদি সেরকম কোন অঘটন না ঘটে এবারের ইপিএল এর শিরোপা টা জিতবে ম্যানচেস্টার সিটি।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গত দুইটা সিজন আমি লক্ষ্য করে দেখছি আর্সেনাল প্রথমের দিকে ভালোই খেলে কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ম্যানচেস্টার সিটির কাছে জয়লাভ করতে পারে না। ঠিক একই ভাবে মনে হচ্ছে যেন এবার ও শিরোপাটা ম্যানচেস্টার সিটির হাতেই উঠবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit