আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ভারত ক্রিকেট টিমে বিশ্বের সব সেরা খেলোয়ার থাকলেও কোন বৈশ্বিক আসরেই ভালো করতে পারছিল না। সেমিফাইনালে গিয়েই থামতে হচ্ছিল বার বার। টিমে সেরা সেরা খেলোয়ার থাকলেও দলের মধ্যে একতা টা ঠিক ঐরকম ছিল না। ঐ সময়েও বিসিসিআই প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলি প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয় কঠোর নিয়ম অনুসরণ করা রাহুল দ্রাবিড় কে। এর আগেও ২০১৫ এবং ২০১৯ বিশ্বকাপে ভারতের সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের পর ভারতীয় ক্রিকেট জাতীয় দলের কোচ হওয়ার অফার পেলেও ফিরিয়ে দেন রাহুল দ্রাবিড়। কারণ তখন তিনি ছিলেন ভারতীয় অ-১৯ দলের কোচ। এবং বলতেন আমি এই বাচ্চাদেরই তৈরি করব ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য। কিন্তু ২০২১ সালে সৌরভ গাঙ্গুলি বললে তিনি আর তা ফেরত পাঠাতে পারেননি। দাদার অনুরোধ নেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের হেড কোচের দায়িত্ব। তৈরি করেন এক নতুন ভারতীয় ক্রিকেট টিমকে।
যে দলের ড্রেসিংরুমে রয়েছে একটা শৃঙ্খলা। খেলোয়াদের মধ্যে রয়েছে একটা মিল এবং ভ্রাতৃত্ব। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে এবং টি টুয়েন্টি ক্যাপ্টেন তখন বিরাট কোহলি। ভারত দল ম্যাচের পর ম্যাচ জিতলেও কোহলি যেন হারিয়ে যাচ্ছিল দিন দিন। ঐ সময়েই সৌরভ গাঙ্গুলি ক্যাপ্টেন্সি দিয়ে দেন রোহিত শর্মাকে। কারণ ভারতীয় দলে ক্যাপ্টেন বিরাট এর থেকে ব্যাটিং বিরাট কোহলির দরকার ছিল বেশি। এবং হলো সেটাই। বিরাট আবার তার ব্যাটিং এর ফোকাস করলেন। অনেকদিন সেঞ্চুরি বিহীন থাকার পরে এসে করেন সেঞ্চুরি। এই বিশ্বকাপে তো তিন সেঞ্চুরির পাশাপাশি চারটা ফিফটি নিয়ে হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা। অথচ যখন কোহলির থেকে দায়িত্ব নিয়ে সেটা রোহিত শর্মাকে দেওয়া হয় অনেকেই সমালোচনা করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলির।
এই বিশ্বকাপে ভারতের অন্যতম সেরা খেলোয়ার ছিল বোলার মোহাম্মদ শামি। প্রথম চারটা ম্যাচ না খেললেও পঞ্চম ম্যাচে সুযোগ পেয়ে নিজের জাত চেনান। একে একে তুলে নেন ২৪ টা উইকেট। যা এই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ। কিন্তু বছর দুই আগে পাকিস্তানের সঙ্গে হারার পর যখন সবাই তাকে দোষারোপ করছিল দেশদ্রোহী বলে অপবাদ দিচ্ছিল সেই সময়ে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি এবং ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। সেজন্যই হয়তো নিজেকে ধরে রাখতে পেরেছিলেন শামি। এবং বিশ্বকাপের দলে থেকে করে দেখালেন এইরকম একটা অসাধারণ পারফরম্যান্স। দ্বিতীয় মেয়াদে তাকে বোর্ড সভাপতি হওয়ার কথা বললে তিনি না করে দেন। কারণ ভারতীয় ক্রিকেটে যে পরিবর্তন নিয়ে আসা দরকার ততদিনে তিনি তা নিয়ে এসেছেন। এবং সেটারই ফল এই বিশ্বকাপে ভারতের অসাধারণ পারফরম্যান্স। যদিও শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু সর্বোচ্চ ম্যাচ জয়ী তারাই।
আজকের ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাফল্যের পেছনে যার এতো অবদান। সেই সৌরভ গাঙ্গুলি কে ফাইনালে মাঠে দেখা যায়নি একবারও। থাকলেও হয়তো ভিআইপি জোনে না থাকার কারণে ক্যামেরা ধরেনি তার দিকে। কিন্তু তার কোন আক্ষেপ নেই। তিনি তার কাজটা ঠিকই করেছেন। বিরাটকে সরিয়ে রোহিত শর্মাকে ক্যাপ্টেন বানানোর দুঃসাহস তিনিই করেছিলেন। তিনিই করেছিলেন রাহুল দ্রাবিড় কে ভারতীয় দলের কোচ। ভারত এগিয়ে গেলেও তার অবদান গুলো হয়তো আড়ালেই থেকে গেছে। ভারত তথা ক্রিকেট ইতিহাসে যত ক্যাপ্টেন আছে তাদের মধ্যে সেরাদের তালিকায় সবার উপরেই থাকবেন তিনি। জিততে ভূলে যাওয়া ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন হয়ে দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন এক অনন্য উচ্চতায়। বোর্ড সভাপতি হয়েও যেন পূণরায় সেই একই কাজ করে দেখালেন তিনি। সত্যি কী অসাধারণ। কিন্তু এরা সবসময় পেছনেই থেকে যায়।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit