আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
Ssc sports channel থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে
ডিপ্রেশন কথাটার সাথে মোটামুটি আমরা সবাই পরিচিত। সত্যি বলতে আমি নিজে যখন প্রচণ্ড হতাশায় থাকি তখন ফুটবল খেলা দেখি। শুনতে হাস্যকর হলেও এটা আমাকে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি দেয়। কিন্তু ব্রাজিলের খেলা দেখলে এখন রীতিমতো ডিপ্রেশনে চলে যায়। ব্রাজিল সাপোর্ট করি অনেক ছোট থেকে। আর নিজের পছন্দের ফুটবল ক্লাব একটা আবেগ একটা ভালোবাসা। আজ রাত ৩ টার সময় ব্রাজিল মাঠে নেমেছিল। দক্ষিণ আমেরিকা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল ভেনেজুয়েলা। নামে কম শক্তিশালী হলেও তারা বেশ ভালো ফর্মে আছে। গত মাস তারা নিজেদের ঘরের মাঠে উরুগুয়ে এবং আর্জেন্টিনা কে থামিয়ে দিয়েছিল। মোটামুটি ভালো
একটা স্কোয়ার্ড নিয়ে মাঠে নামে ব্রাজিল।
ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র তার দলকে মাঠে নামায় ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে। অন্যদিকে ভেনেজুয়েলার ফর্মেশনও ছিল ৪-২-৩-১। ম্যাচের শুরু থেকেই নিজের ঘরের মাঠে বেশ আক্রমণত্মক লাগছিল ভেনেজুয়েলা কে। একের পর এক বেশ কিছু দারুণ পজেটিভ আক্রমণ করতে থাকে তারা। তবে ব্রাজিলও ভালো খেলছিল। ম্যাচের ১৫ মিনিটের দিকে দারুণ এক বল পেয়ে যায় ভিনিসিয়াস। সেটা থেকে শর্ট নিলে বল সাইড বারে লেগে প্রতিহত হয়। এরপর ব্রাজিলের খেলোয়ার ডিবক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার এক শর্ট নেয় কিন্তু সেটাও প্রতিহত করে দেয় ভেনেজুয়েলার গোলকিপার। একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে ব্রাজিল। অন্যদিকে ভেনেজুয়েলাও বেশ আক্রমণ করছিল। দারুণ কিছু সুযোগ মিস করে ব্রাজিল। যেগুলো গোল হওয়া উচিত ছিল।
ম্যাচের ৪৩ মিনিটে ভিনিসিয়াস কে ফাউল করার একটা ডিবক্সের বাইরে থেকে একটা ফ্রি কিক পেয়ে যায় ব্রাজিল। এবং সেই ফ্রি কিক থেকে অসাধারণ এক গোল করে রাফিনহা। ব্রাজিল তখন এগিয়ে যায় ০-১ গোলে। ম্যাচের প্রথমার্ধে আর কোন গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে খেলার শুরুতেই যেন চমকে দেয় ভেনেজুয়েলা। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে স্যাগোভিয়ো এর গোলে সমতায় ফেরে ভেনেজুয়েলা। গোল খাওয়ার পর ব্রাজিল খেলোয়ার রা যেন তাদের আক্রমণের গতি বাড়িয়ে দেয়। দরিভাল জুনিয়র বেশ কিছু পরিবর্তন করে। ম্যাচের ৬২ মিনিটে ডিবক্সের মধ্যে ভিনিসিয়াস কে ফাউল করে ভেনেজুয়েলার গোলকিপার। পেনাল্টি পেয়ে যায় ব্রাজিল। কিন্তু ভিনিসিয়াস জুনিয়র পেনাল্টি টা মিস করে।
ভেনেজুয়েলা গোলকিপার পেনাল্টি টা সেভ দিয়ে দেয়। এরপর ব্রাজিলের খেলোয়ার রা যেন গোলের জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু সেই সেরকম কোন সুযোগ তারা তৈরি করতে পারছিল না। একেবারে ম্যাচের শেষে ৮৯ মিনিটে ভেনেজুয়েলার একজন খেলোয়ার লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে উঠে যায়। বাকি সময়ে মাঠে বেশ উওেজনাকর পরিস্থিতি ছিল। ভেনেজুয়েলার খেলোয়ার রা সময় নষ্ট করার চেষ্টা করছিল। তারা ম্যাচটা ড্র করতে চাইছিল। এবং শেষ পযর্ন্ত সেটাই হয়েছে। ম্যাচের শেষ হয়ে যায় ১-১ গোলের ড্র তে। ব্রাজিলের পরবর্তী ম্যাচ শক্তিশালী উরুগুয়ের সাথে। দেখা যাক পরবর্তী ম্যাচে ব্রাজিল কতটা ভালো করতে পারে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ব্রাজিল টিমে আগের মত এখন তেমন আর চমক দেখা যায় না। এদিকে ভেনেজুয়েলা বর্তমানে দারুন ফর্মে রয়েছে। সেই দিক থেকে ব্রাজিল গোল করার পরেও ভেনিজুয়েলা দ্বিতীয় অর্ধের শুরুতেই গোল দিয়ে সমতায় ফিরে। অবশেষে ম্যাচটি কিন্তু ড্রোই হয়ে যায়। তবে এই ম্যাচটা ব্রাজিলের জেতা উচিত ছিল কেননা পরবর্তী খেলা হবে উরুগুয়ের সাথে যার মোটামুটি শক্তিশালী টিম। যাই হোক দেখা যাক ব্রাজিল পরবর্তী খেলাতে কি করে এটারই অপেক্ষায় রইলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit