আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে যদি আপনি শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলেন তাতে কোনো ভুল নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা পড়ে গান শুনে মুগ্ধ হয়নি প্রেমে পড়েনি এমন মানুষ কমই আছে। আমার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলায়। সেই সুবাদে মাঝে মাঝেই যাওয়া হয় শিলাইদহ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িতে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের জীবনের অনেকটা সময় জমিদারির জন্য এখানে অতিবাহিত করেছেন। পাশাপাশি রচনা করেছেন অনেক সাহিত্য অনেক কবিতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুই বিঘা জমি কবিতা টা নিশ্চয়ই পড়েছেন আপনারা। সেই দুই বিঘা জমি কিন্তু শিলাইদহের এই কুঠিবাড়ি সংলগ্ন জায়গাই অবস্থিত। যাইহোক সেসব কথা বাদ দেয়। আমার ক্লাস ফ্রেন্ড রাসেল। ক্লাস সিক্স থেকে আমরা একসঙ্গে লেখাপড়া করছি। তো রাসেল আবার টিউশনি করে। রাসেলের ছাএরা একটা পিকনিকের আয়োজন করে শিলাইদহ কুঠিবাড়িতে। আমার বন্ধু রাসেল আমাকে সেখানে ইনভাইট করে। আমার সেরকম কাজও ছিল না সেজন্য বললাম ঠিক আছে আমিও যাব তোমাদের সঙ্গে।
না আমি পিকনিক নিয়ে আলোচনা করব না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এই কুঠিবাড়িটা একটা পিকনিক স্পট এবং দর্শনীয় একটা স্থান। অনেক টা জায়গা নিয়ে এটা অবস্থিত। ভেতরে অনেক সুন্দর সবুজ। বেশ প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ এখানে। যাইহোক কুঠিবাড়ি যাওয়ার পর দুপুরের খাওয়া শেষ করে রাসেল তার ছাএদের সঙ্গে গেমস খেলছিল। কিন্তু আমি ওখানে অংশগ্রহণ করি নাই। সেই সময়ে আমি অন্যদিকে ঘুরছিলাম একা একা। মেঘলা আকাশ ছিল সঙ্গে প্রচুর বাতাস ছিল। সবমিলিয়ে অসাধারন একটা পরিবেশ বিরাজ করছিল। কিছুক্ষণ পর ঝিরিঝিরি বৃষ্টি শুরু হলো। সেই সময়ে আমি কুঠিবাড়ির মধ্যে প্রবেশ করলাম। সাধারণত নিচের রুমের সবকিছুই দেখা সেজন্য আমি উপরে চলে গেলাম। কারণ এই মেঘলা পরিবেশ টা আমি উপর থেকে উপভোগ করতে চাইছিলাম।
ঐসময়ে ঐ স্থানে আমি ছাড়া আরও কয়েকজন ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়িতে মেঘলা আকাশ ঝিরিঝিরি বৃষ্টি, প্রবল বাতাস সুন্দর পরিবেশ সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের তুমি রবে নীরবে গানটা ছেড়ে দিলাম। অসাধারণ অনূভুতি হচ্ছিল আমার। ঐভাবে বেশ অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম আমি। ঐসময়ে আমি আমার পাশে আমার প্রিয় মানুষ টাকে মিস করছিলাম। ইস ও যদি থাকত তাহলে কত ভালোই না হতো। হয়তো কখনো এটা সত্যি সত্যিই ঘটবে সেই আশায় আছি আমি। এরপর আমি ভেতরে চলে যায়। ভেতরের রুমে কাদম্বরি দেবীর একটা ছবি ছিল। কাদম্বরি দেবি কে এটা হয়তো আপনি জানেন। কাদম্বরি দেবী হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৌদি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নতুন বৌঠান বলেই যাকে চিনতো। উনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিয়ের পরে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন। যাইহোক উনার ছবির দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে ছিলাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছোট থেকে তার ছোট বৌঠান এর সঙ্গেই বড় হয়েছে।
এরপর আমি বাইরে বের হয়ে আসি। কাদম্বরি দেবীর সুইসাইড নোট বইটা আমি পড়েছি। সেজন্য উনার শেষ সময়ের কষ্টের কথাগুলো আমার জানা আছে। ওটা সত্যি খুবই কষ্টদায়ক। ভেতরে আর বেশিক্ষণ দাঁড়ায়নি আমি। বাইরে এসে পুকুর পাড়ে বসে ছিলাম। সঙ্গে ছিল রবীন্দ্রনাথ সংগীত। ঐ প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় টা আমার অসাধারণ কেটেছিল। পুরোটা সময় আমি ওখানে একাই ঘুরেছি। যদিও আমার বন্ধু রাসেল তার ছাএ ছাএীদের নিয়ে ঘুরছিল। আমি আলাদা ভিডিও ধারণ করেছি ওটা পরে কোনো একদিন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেব।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | জুন,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit