আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আচ্ছা বলুন তো বতর্মানে একটা দেশকে বিশ্বের অন্য দেশগুলো ঠিক কী কী কারণে মনে রাখে। বা দেশগুলোকে এক নামে চিনতে পারে। এর দুইটা দিক আছে একটা পজেটিভ অন্যটা নেগেটিভ দিক। তবে পজেটিভ দিকগুলোর কথা ধরি। বতর্মান বিশ্বে খেলাধুলা অনেক জনপ্রিয় একটা বিষয়। খেলাধুলা নিয়ে মেতে থাকে প্রায় প্রতিটা দেশ। প্রতিটা দেশের একটা করে ফুটবল দল আছে। এবং একটা ফুটবল দল যখন বিশ্বকাপ বা বৈশ্বিক আসরে ভালো ফলাফল করে তখন বাকি দেশগুলো ঐ দেশের প্রতি আগ্রহী হয়। অন্য দেশের জনগণ জানতে চাই দেশটার সম্পর্কে। ফুটবল বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় একটা খেলা। ব্রাজিল এর অর্থনীতির বড় একটা অংশই আছে এই ফুটবলরা রপ্তানি করে। হ্যা ব্রাজিল ফুটবলার রপ্তানিতে বিশ্বের সেরা দেশ। এবং সেই টাকার পরিমাণ শুনলে আপনি চমকে উঠবেন। যাইহোক আমার আলোচনার বিষয় আলাদা।
এএফসি কাপের ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশের বসুন্ধরা এফসি এর খেলোয়ার রা গিয়েছিল মালদ্বীপ। বেশ ভালো একটা ফলাফল করে। জয় লাভ করে বসুন্ধরা এফসি। কিন্তু সমস্যা টা অন্য একটা। গত ৩ রা অক্টোবর ফুটবলার রা মালদ্বীপ থেকে বাংলাদেশে ফেরে। কিন্তু হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে খেলোয়ারদের লাগেজ চেক করার সময় বসুন্ধরা কিংস এফসি এর পাঁচ খেলোয়ার এর ব্যাগে প্রায় ৬৪ বোতল মদ পাই। হ্যা ৬৪ বোতল মদ পাই। এবং যে পাঁচজনের ব্যাগে মদ পাই তাদের মধ্যে ছিল আনিসুর রহমান জিকো(বাংলাদেশ জাতীয় দলের গোলরক্ষক ), তপু বর্মন( বাংলাদেশ জায়গা দলের সেন্টার ব্যাক) তরুন শেখ মুরসালিন( বাংলাদেশ জাতীয় দলের মিডফিল্ডার ) এবং আরও দুইজন তারাও বাংলাদেশের ফুটবলার। নিউজ টা আপনারা ইতিমধ্যে দেখেছেন। এবং আমি নিউজটা দেখে রীতিমতো চমকে গেছিলাম। কারণ এরা সবাই অনেক ভালো ফুটবলার।
সাধারণত ইউরোপীয়ান ফুটবলে ফুটবলারদের ড্রিংকস করা বা মদ্যপান করা স্বাভাবিক। কিন্তু এগুলো আমাদের দেশের সঙ্গে যায় না। এগুলো আমাদের দেশের সংস্কৃতি না। কিন্তু যেসব ফুটবলার তাদের ফিটনেস নিয়ে অনেক সাবধান তারা কখনোই মদ্যপান করে না। উদাহরণ হিসেবে আমি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর কথা বলব। তিনি একেবারে অ্যালকোহল গ্রহণ করেন না। এবং তার ফিটনেস দেখেছেন আপনারা। কিন্তু আমাদের দেশের ফুটবলার রা তাদের অনুসরণ করবে না। তারা পশ্চিমাদের ফুটবল অনুসরণ করবে না তাদের প্লেয়িং স্টাইন অনুসরণ করবে না তাদের মধ্যে ফিটনেস ঠিক রাখবে না। কিন্তু তাদের অনুকরণ করে ঠিকই মদ্যপান করবে। এবং আধুনিকতার কথা বলবে। তাহলে বলুন এইরকম মেন্টালিটি নিয়ে খেলোয়ার রা কীভাবে ভালো খেলবে। এবং এদের নিয়ে কীভাবে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের ফুটবল।।
আমাদের পাশের দেশ ভারতকে দেখেন। তাদের ফুটবলার দের ফিটনেস দেখেন। এবং ভারতের সর্বশেষ ফিফা র্যাংকিং দেখেন। তারা সেরা ১০০ তে রয়েছে। কিন্তু আমাদের র্যাংকিং ঐ ১৯০। পাশাপাশি ক্রমাগত দেশের ফুটবল পিছিয়ে যাচ্ছে। একেবারে কোনরকম ভাবে যেন চলছে। এর সবচাইতে বড় কারণ আমাদের দেশের ফুটবলারদের কোনো পার্সোনালিটি নেই। এর একটা প্রমাণ এই ৬৪ বোতল মদ নিয়ে ধরা পড়া। প্রাথমিকভাবে এই পাঁচ ফুটবলার কে নিষিদ্ধ করেছে তাদের ক্লাব। এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকেও তাদের জন্য নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এই নিষেধাজ্ঞা হয়তো কেটে যাবে। কিন্তু খেলোয়ারদের পার্সোনালিটির কী উন্নতি হবে কোনদিন না এইরকমই থেকে যাবে। মোটামুটি আমার কথা পরিষ্কার। যদি আমাদের দেশের খেলোয়ার রা তাদের পার্সোনালিটি এবং চিন্তা ভাবনা পরিবর্তন না করে তাহলে দেশের ফুটবলের অগ্রগতি এককথায় অসম্ভব।।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
খুব সুন্দর কথা লিখেছেন ভাইয়া। পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।এটা ঠিক অন্য দেশের কালচারের সাথে আমাদের মিলিয়ে ফেললে তো চলবে না।একজন খেলোয়াড়ের ভালো ব্যক্তিত্ব,আর ভাবনার বদল না হলে ভালো কিছু আর করা দুস্কর।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে বিষয়টিকে তুলে ধরার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit