আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
কবি জীবনানন্দ দাশ তার "দুজন" -কবিতায় বলেছেন প্রেম ধীরে মুছে যায়, নক্ষত্রেরও একদিন মরে যেতে হয়"। তবে সব নক্ষত্রের কী পতন হয়। সব নক্ষত্র কী মারা যায়। কোন কোন নক্ষত্র বেঁচে থাকে আজীবন। কোন কোন নক্ষত্র মানুষের হিসাবের বাইরে গিয়েও কিছু করে দেখাই যেটাকে কোন যুক্তি দ্বারা প্রমাণ করা যায় না। যেটা শুধু মানুষ দেখে এবং মেনে নেয়। তেমনই এক নক্ষত্র তো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। বয়স ছাড়িয়েছে ৩৯ বছর। কিন্তু গোল করা থামাননি রোনালদো। এই বয়সে অনেক ফুটবলার যেখানে মাঠে নামার কথা চিন্তা থেকে বাদ দিয়ে দেয় সেখানে এই বয়সে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো প্রফেশনাল ফুটবলের পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে খেলছেন নিজের দেশের হয়ে।
লিসবনের সেই ছোট ছেলেটা পর্তুগাল থেকে ইংল্যান্ড, ইংল্যান্ড থেকে স্পেন, স্পেন থেকে ইতালি, ইতালি থেকে আবার ইংল্যান্ড এবং শেষ পযর্ন্ত সৌদি আরব শুধু তার জায়গাটাই বদলেছে। গোল করা থামাননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মেসি - রোনালদোর এই দ্বৈরথ তো চলছে দুই দশক ধরে। কখনো রোনালদো এগিয়ে যায় তো কখনও মেসি। কিন্তু ২০২২ বিশ্বকাপ জিতে মেসি হয়তো নিজেকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়। মেসি ফ্যানরা এইজন্য রোনালদোর সঙ্গে মেসির তুলনা দিতে আর ইচ্ছুক না। তবে রোনালদোর আরেকটা জিনিস আছে যেটা মেসির নেই। সেটা সীমাহীন জনপ্রিয়তা। ফুটবল থেকে ক্রিকেট, বা অলিম্পিক বা অন্য কোন ক্রিয়া ইভেন্টে একটা সেলিব্রেশন সবাই করে Siuuu.. এটাই যেন রোনালদোর আকাশচুম্বি জনপ্রিয়তার প্রমাণ।
স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসন লিসবন থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে নিয়ে এসেছিল ছেলেটাকে। তারপর আর দেখতে হয়নি। ম্যান ইউতে তার অসামান্য পারফরম্যান্স এর জন্য ধরা পড়ে যায় মাদ্রিদের রাডারে। তারপরের গল্প সবারই জানা। ঐসময়ের প্রাইম বার্সেলোনার বিরুদ্ধে একাই এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদকে। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে করেছে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। মাদ্রিদের হয়ে জিতেছে চার টা চ্যাম্পিয়ন লীগ। এখন পযর্ন্ত ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ১২৩৬ ম্যাচ খেলে ৯০১ টা গোল করেছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। যা এর আগে করতে পারেনি আর কেউ। এর মধ্যে নিজের দেশের হয়ে করেছেন ১৩৩ টা গোল। ফুটবল ইতিহাসে ক্লাব এবং জাতীয় দলের হয়ে ভিন্ন ভাবে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ডও রোনালদোর দখলে।
৩৯ বছর বয়সে ৯০০ গোলের মাইলফলক ছাড়িয়ে যাওয়ার পরেও থেমে থাকবেন না রোনালদো এমনটাই জানিয়েছে এক সাক্ষাৎকারে। তার পরবর্তী লক্ষ্য ১০০০ গোল করা। হ্যা এর জন্য সে আরও দুই বছর সময় চেয়েছে। অর্থাৎ নিজের ৪১ বছর বয়স পযর্ন্ত তিনি খেলে যাবেন এমনটাই বলেছেন। শেষ পযর্ন্ত চেষ্টা করে যাবেন। নিজের প্রতি সীমাহীন বিশ্বাস এবং কঠোর পরিশ্রম রোনালদো কে সবসময়ই করেছে অনন্য। এই বয়সে এসেও রোনালদোর ফিটনেস অবাক করে দেওয়ার মতো। রোনালদো ফুটবল ইতিহাসের সবচাইতে বড় নক্ষত্র। এই বিষয়ে কারো সন্দেহ থাকার কথা না। তবে নিন্দুকেরা তো কত কিছুই বলে সেগুলো তে কী আর কান দিলে চলে। রোনালদো নামক নক্ষত্রের কোন পতন নেই। হয়তো নক্ষত্র টা প্রকৃতির নিয়মে খসে পড়বে ঠিকই কিন্তু তার অস্তিত্ব রেখে যাবে। যখনই পাড়ার মাঠে কোন কিশোর গোল করে সর্বোচ্চ উদ্দীপনায় Siuu সেলিব্রেশন টা করবে রোনালদো ফুটবল মাঠে ফিরে আসবে পূণরায়।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit