আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ভাঙা বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকা যাএাবাড়ির বাসের টিকিট নেয় ২০০ টাকা করে। বাসে বসার বেশ কিছুক্ষণ উনারা আমাদের বলেন পাশের বাসে উঠতে ওটা যেতে নাকী দেরী হবে। আমরা সেই মতোই পাশের বাসে উঠি। পাশের বাসটা কিছুদূর গিয়ে দাঁড়ায়। এবং বাস থামিয়ে রেখে যাএী তুলতে থাকে। এর প্রায় ৩০ মিনিট পর বলে আপনারা পাশের বাসে যায়। তখন আমাদের রাগ হয়ে যায়। আমাদের সঙ্গে উনাদের তর্কাতর্কি সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় লোকেদের কথায় আমরা অন্য বাসে চলে যায়। মোটামুটি ৩:৩০ এর দিকে বাস ছাড়ে। ভাঙা হাইওয়ে টা বেশ দারুণ লাগছিল দেখতে। এদিকে বেশ ডেভেলপ হয়েছে। কিছুদূর গেলেই পদ্মা সেতু সেই উওেজনা কাজ করছিল আমাদের মধ্যে। পদ্মা সেতু দেখব বলে বাসের জানালার পাশে বসেছিলাম। পদ্মা সেতুকে বলা হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু।
বেশ কিছুক্ষণ পর আমরা পদ্মা সেতুর সামনে যায়। টোল দিয়ে যখন এগিয়ে গেলাম বেশ ভালো একটা অনূভুতি হচ্ছিল। পদ্মা সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬.১৫ কিলোমিটার। বেশ অনেকটা সময় লেগেছিল পার হতে। পদ্মা সেতু পার হয়েই ঢাকার শুরু। আর ঢাকা মানেই তো যানজট। তবুও আমরা শুক্রবার গেছিলাম বলে ছুটির দিনে যানজট কিছুটা কম ছিল। এবং ঢাকার মধ্যে বেশ দ্রুত গতিতেই যাচ্ছিল বাস। ৫:৩০ এর দিকে আমরা বাস থেকে ঢাকা যাএাবাড়ি নামি। আমার চাচাতো ভাইয়েরা এখানেই থাকে। কিন্তু আমি ঢাকা যাচ্ছি উনারা সেটা জানতেন না। যাইহোক যাএাবাড়ি থেকে আমরা একটা বাসে উঠি যেটা গাজীপুর যাবে। এই প্রথম আমাদের সবার গাজীপুর যাওয়া। এবং আমাদের কোনো সমস্যা হলে পথ চিনতে ভুল হলেই আমরা গুগল ম্যাপ দেখে নিচ্ছিলাম। যাএাবাড়ি থেকে আমরা গাজীপুর এর বাসে উঠি।
এবং আপনারা যারা ঢাকা থাকেন তাদের তো ঢাকার বাসের ব্যবহার জানারই কথা। ঢাকার লোকাল বাসগুলো এক মিনিট যাওয়ার পর মে এবং যাএী তুলে। তারপর যদি যানজট থাকে তাহলে তো বলার আর কিছুই নেই। একপর্যায়ে এটা দেখে আমাদের বিরক্তি ধরে যায়। কিন্তু সত্যি বলতে কিছুই করার ছিল না। ওভাবেই যেতে বাধ্য ছিলাম আমরা। মোটামুটি রাত ৮:৩০ এর সময় আমরা গাজীপুর চৌরাস্তা নামি। তারপর আমাদের এক বড় ভাইয়ের কাছে ফোন করি আমরা যার কাছে যাব তার কাছে। উনি বলেন গাজীপুর পরিবহন এ উঠতে। ওটা নাকী আমাদের একেবারে ডুয়েট এর সামনে নামিয়ে দিবে। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর সেই বাসটা চলে আসে।
আমরা সবাই উঠে পড়ি গাজীপুর পরিবহনে। মোটামুটি মিনিট বিশ পরে আমরা পৌছে যায় ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ( ডুয়েট ) এর সামনে। আমরা প্রায় দীর্ঘ ১০ ঘন্টা জার্নি করি। এরপর ঐ ভাইয়ের কাছে ফোন করলে উনি বলেন তোমরা অপেক্ষা করো আমি আসছি। বাংলাদেশের প্রতিটা পলিটেকনিক এর শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন থাকে এই ডুয়েট। এবং প্রথমবার এটা সামনে দেখে বেশ অন্যরকম একটা অনূভুতি হচ্ছিল। এর কিছুক্ষণ পর ঐ ভাই আসে। উনি ডুয়েটের আইপি ডিপার্টমেন্টর তৃতীয় বর্ষে লেখাপড়া করেন। এরপর আমরা উনার সঙ্গে উনার মেসে যায়। সেখানে গিয়ে আমরা সবাই প্রথমে গোসল শেষ করি। এরপর আমরা কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে নেয়। তারপর রাতের খাওয়া শেষ করি। তারপর আমরা সবাই আগামীকাল এর প্ল্যান ঠিক করি। আগামীকাল আমরা প্রথমে ডুয়েটে ক্যাম্পাস ঘুরব তারপর যাব বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে। এবং সবার সিদ্ধান্তে আমরা তখনই রবিবার রাতে বাড়ি ফেরার ট্রেনের টিকিট কেটে নেয়।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | মে,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পদ্মা সেতু দেখার সৌভাগ্য হয়নি। তবে আশা করছি কোন একদিন দেখতে পাবো। যাইহোক ভাইয়া ঢাকায় গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আশা করছি ডুয়েটে ক্যাম্পাস ও বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ঘুরতে আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। সেই অনুভূতিগুলো জানার অপেক্ষায় রইলাম ভাইয়া। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
টাইটেলটা কিন্তু বেশ হয়েছে টাইটেলটা পড়া মাত্র যেন মনের মধ্যে আনন্দ জেগে উঠলো। যাই হোক খুব সুন্দর ভাবে আপনি আপনার ভ্রমণ কাহিনী উপস্থাপন করেছেন আজকের এই দ্বিতীয় পোস্টের মধ্যে। আপনারও ভ্রমণের বিশেষ অনুভূতিগুলো এবং যে বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েছেন তা তুলে ধরেছেন দেখে খুশি হলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit