আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ইউটিউব হতে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে
------- | ------- |
---|---|
মুভির নাম | 800 |
পরিচালক | এম.এস. শ্রীপাথি |
দৈর্ঘ্যে | ২ ঘন্টা ৩৮ মিনিট। |
মুক্তি | ৬ অক্টোবর,২০২৩ |
দেশ | ভারত |
ভাষা | তামিল, হিন্দি |
অভিনয়ে | মাধুর মিত্তাল, মাহিমা নামিবার, ইয়োগ জ্যাপি, ন্যারাইন, কিং র্যাতনাম, কিশোর ভ্যাট আরও অনেকে। |
মুভির কাহিনী সংক্ষেপ
শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডি শহরে একটা ছেলের জন্ম হয়। যার দেশ শ্রীলঙ্কান হলেও সে আসলে একজন তামিল। অর্থাৎ ভারতীয় বংশভূত। এটা নিয়ে শ্রীলঙ্কায় প্রায়ই দাঙ্গা লেগেই থাকত। মূলত শ্রীলঙ্কান রা তামিলদের নিজেদের দেশের জনগণ মনে করত না। এরজন্যই দাঙ্গা লেগেই থাকত। ছেলেটার নাম মুওিয়া মুরালিধরন। ছোটবেলা থেকেই মুরালিধরনের ক্রিকেটের প্রতি আলাদা একটা টান ছিল। সব খেলনার মধ্যে সে ক্রিকেট বলটাই বেছে নিত। এরপর বেশ কয়েক বছর কেটে যায়। মুরালিধরন এর বয়স তখন ১৯ বছর। কিন্তু সে স্কুলের ক্রিকেট টিমেও চান্স পেত না। একবার স্কুলের টিমে সুযোগ হলেও শুরু হয় দাঙ্গা। ফলে তার খেলা হয় না। পরবর্তীতে আবার সে স্কুলের টিমে চান্স পায়। এবং অসাধারণ পারফরম্যান্স করে। অর্থাৎ পুরো দশ উইকেট মুরালিধরন নিজেই নেয়। সে ম্যাচ মাঠে বসে দেখে শ্রীলঙ্কার তখনকার ক্যাপ্টেন অর্জুনা রানাতুঙ্গা।
পরবর্তীতে ইংল্যান্ড ট্যুরে অর্জুনা রানাতুঙ্গা এবং শ্রীলঙ্কান বোর্ড থেকে মুরালিধরন কে দলে ডাকা হয় প্রথমবারের মতো। সেবার ইংল্যান্ড গেলেও দলের হয়ে খেলা হয়নি মুরালিধরন এর। প্রস্তুতি ম্যাচে ভালো বল না করার জন্য দলে চান্স পায় না মুরালিধরন। এরপর সে বাড়িতে ফিরে আসে। তখন তার বাড়ি থেকে চাপ দেয় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট এ পড়ার জন্য। সে সেটা মেনে নেয়। কিন্তু সে কলম্বোর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট এ এডমিশন নেয় বাইরে যায় না। কারণ সে আবার ক্রিকেট খেলা শুরু করতে চাই। এবং সে সেটা শুরুও করে। যদিও তার পরিবার থেকে একটু চাপ ছিল। পরবর্তীতে কলম্বো তে গিয়ে নিয়মিত ক্রিকেট খেলা শুরু করে মুরালিধরন। এবং বেশ ভালো পারফরম্যান্স করে আবার শ্রীলঙ্কান দলে চান্স পেয়ে যায়। শুরু হয় নতুন এক যাএা।
শ্রীলঙ্কার হয়ে টেস্টে অভিষেক হয় মুরালিধরন এর। বেশ ভালো পারফরম্যান্স করে ১৫ টা উইকেট নেয় সে। কিন্তু এরপর তার বোলিং কে অবৈধ ঘোষণা করে দুই আম্পায়ার। এরপর নিজের বোলিং অ্যাকশন এর পরীক্ষা দেয়। এবং সফলভাবে উওীর্ণ হয়। পরবর্তীতে আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয় নি। এরপর ১৯৯৭ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতে। সেই বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে মুরালিধরন। এবং শ্রীলঙ্কার সবাই তখন মুরালিধরনকে নিজেদের নায়ক ভাবতে শুরু করে। নিজের অসাধারণ বোলিং এর মাধ্যমে সে ক্রিকেটের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৫২০ উইকেট স্বীকার করে ফেলে। যেটা তার আগে আর কেউ করতে পারেনি। কিন্তু মুরালিধরন দেখতে পাই এতোগুলো উইকেট নেওয়ার পরেও অনেকে তার বোলিং কে অবৈধ বলতে থাকে। সেজন্য সে আবার আইসিসির কাছে নিজের বোলিং এর পরীক্ষা দেয়। এবং শেষমসে নিজের হাতের অপারেশন করে।
হাতের অপারেশন করার পরেও কোন পরিবর্তন হয়নি। সে ঐরকম অসাধারণ বোলিং করতে থাকে। এরইমধ্যে তার উপর পাকিস্তান থেকে শ্রীলঙ্কা টিমের উপর হামলা হয়। যে দলে মুরালিধরন নিজেও ছিল। কিন্তু অল্পের জন্য সে প্রাণে বেঁচে যায়। পরবর্তীতে আরও কয়েক বছর খেলতে থাকে মুরালিধরন। এরপর শ্রীলঙ্কার ভারত ট্যুর শুরু হয় তিন টেস্টের। টেস্টে ৮০০ উইকেটের জন্য মুরালিধরনের দরকার মাএ ১৩ উইকেট। ঐ সময়ে তিনি ঘোষণা দেন ভারত টেস্টে একটা মাএ টেস্ট খেলবেন এবং তারপর টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেবেন। এবং তার বিশ্বাস ছিল ঐ একটা টেস্টেই সে পুরো ১৩ টা উইকেট নিয়ে নেবে। টেস্ট ম্যাচ চলছে মুরালিধরন এর উইকেট তখন ৭৯৯। অন্যদিকে ভারতের শেষ উইকেট। এবং নাটকীয়ভাবে সেই উইকেট টা স্বীকার করে মুরালিধরন। এবং ইতিহাসের একমাএ দল হিসেবে টেস্টে ৮০০ উইকেট নেয় মুরালিধরন। এখানেই শেষ হয় মুভিটা।
ব্যক্তিগত মতামত
খেলা বিষয়ক মুভি আমার খুবই পছন্দের। এই মুভিটা ছিল বিখ্যাত টেস্ট খেলোয়ার স্পিনার মুরালিধরন এর জীবন নিয়ে লেখা। তার লড়াই তার এগিয়ে যাওয়া এসব নিয়ে নির্মিত মুভিটা। এটা মূলত তামিল ভাষার মুভি হলেও। আমি হিন্দি ভাষায় ডাবিং করা ভার্সন দেখেছি। এই মুভিতে সেরকম কোন অভিনেতাই আমার পরিচিত না। তবে সবাই অসাধারণ অভিনয় করেছে। টিভির পর্দায় অসাধারণভাবে মুওিয়া মুরালিধরন এর জীবন কাহিনী টা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। আপনারা মুভিটা দেখতে পারেন। আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আমি মূলত ফেসবুক কিছু ক্লিপ দেখে মুভিটা দেখা শুরু করি।
মুভির অফিশিয়াল ট্রেলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।