আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ডুয়েট ক্যাম্পাস ঘোরা শেষ। এখন যাব বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, গাজীপুর। এখানে যাওয়ার জন্য বেশ উৎসুক ছিলাম আমরা। তো গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ২:৩০ এর দিকে রওনা দিলাম। গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়ে এবং মানুষের কাছে শুনে ঠিকই পৌঁছে গেলাম সাফারি পার্কে। বলে রাখি বাংলাদেশের একমাএ সাফারি পার্ক এটা। তবে সেখানে গিয়ে টিকিট কাটতে গিয়ে একটা শিক্ষা হয়েছে আমার। টিকিট কাটতে গিয়েই দেখি দেখা রয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক ৫০ টাকা এবং স্টুডেন্ট কার্ড থাকলে ১০ টাকা। আমার অন্য বন্ধুরা কলেজের আইডি কার্ড নিয়ে গেলেও আমি নিয়ে গেছিলাম না। কী আর করার শেষমেশ বাধ্য হয়ে ৫০ টাকা দিয়ে টিকিট ক্রয় করলাম আর ওরা ১০ টাকা দিয়ে। জীবনে এই প্রথম কলেজের আইডি কার্ড এর গুরুত্ব বুঝতে পারলাম।
এরপর আমরা সাফারি পার্কের মধ্যে ঢুকে গেলাম। বলে রাখি সাফারি পার্ক অনেক বড় এলাকা নিয়ে তৈরি। পুরো একটা দিন ঘুরলেও আপনি শেষ করতে পারবেন না। আর আমাদের হাতে সময় ছিল ঐ ২ ঘন্টার মতো। এর মধ্যে যতটা কভার করা যায়।
গেটের বাইরে থেকে সবাই সেলফি এবং প্রয়োজনীয় ছবি উঠি। তবে অন্যদের থেকে আমার ছবি তোলার গরজ টা সবসময় বেশি হা হা। যাইহোক এরপর চলে গেলাম ভেতরে। প্রথমে গিয়েই আমরা ম্যাপটা দেখে নিলাম। আর আমরা গেছিলাম শনিবার সেজন্য বেশি লোকজন ছিল না। শুক্রবারে মানুষ বেশি আসে এখানে। এবং মঙ্গলবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। যাইহোক ভেতরে ঢুকেই আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যায়। তবে ভেতর গিয়ে বাম দিকের পুকুরের ঐ পাশে এমন কিছু আমাদের নজরে আসে যেটা মোটেই কাম্য ছিল না। দেখি অনেক যুবক যুবতী অশালীন ভাবে মেলামেশা করছে। যদিও আমরা সেদিকে খেয়াল না করে সামনের দিকে এগিয়ে যায়।
সাফারি পার্ক এর সবচাইতে মজাদার এবং আকর্ষণীয় বিষয় হলো বাসে করে সাফারি করা। অর্থাৎ আপনি বাসে করে যাবেন এবং বাইরে বাঘ, সিংহ, ভাল্লুক এগুলো ঘুরে বেড়াবে। আমার বন্ধু নাভিদ এটা নিয়ে বেশি উৎসুক ছিল। যাইহোক কিছুদূর যেতেই নজরে আসে সেই জায়গাটা। দেখি বাসে ঘোরার টিকিট কাউন্টার। তবে এখানে গিয়ে আরও বড় একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম আমি। গিয়ে দেখি টিকিট কাউন্টারে লেখা আছে প্রাপ্তবয়স্ক ১৫০ টাকা এবং স্টুডেন্ট আইডি কার্ড থাকলে ৫০ টাকা। মানে আমার অন্য বন্ধুদের ৫০ লাগলেও আমার লাগে ১৫০ টাকা। আজ বলে রাখি ছাএ যারা এখানে ঘুরতে যাবেন অবশ্যই অবশ্যই স্টুডেন্ট আইডি কার্ড নিয়ে যাবেন। যাইহোক টিকিট কেটে ভেতরে গিয়ে অপেক্ষা করছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাস আসবে। হঠাৎ আমার চাচাতো ভাইয়ের ফোন। ফোন করেই বলছে কী রে তুই নাকী ঢাকা আসছিস। আমাকে তো কিছু বলিস নাই। মূলত ঢাকা আসলে আমি উনাদের বাসায় সবসময় যায়। আসলে আমি উনাদের কাউকেই জানাই নি।
কিছুক্ষণ কথা হলো। উনি বললেন ঢাকা আসবি কবে। বললাম আজ সন্ধ্যায় যাব। তখনই বললেন ঠিক আছে তাহলে ঢাকায় এসে ফোন দিস। যদিও আমার ইচ্ছা ছিল ঢাকা গেলে ভাইয়াদের বাসায় থাকব। উনাদের বাসা যাএাবাড়ি। কিন্তু আমার অন্য বন্ধুরা যাবে ইকরা মানে আমার আরেক বন্ধুর ফুফুর বাসায়। আমি বললাম তোরা যা কিন্তু আমি ভাইয়ার বাসায়ই যাব। যাইহোক এরপর বাস চলে আসলো। আমার আগে আরও অনেকে ছিল। তারা আগে গিয়ে জানালার ধারের সিটে বসে পড়লো। কিন্তু ভাইয়ার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমার দেরী হয়ে যাওয়ায় আমি পরে উঠি। কিন্তু আমি জানালার ধারের সিট পেয়েছিলাম তবে বামদিকে। যদিও তখন বুঝিনি বাম দিকের অসুবিধা টা কী। বাসে ঘোরার সময় সকল প্রকার পশু গুলো ডান দিকে ছিল হা হা। ফলে প্রতিবার আমাকে উঠে যাওয়া লেগেছিল সিট থেকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই বাস ছাড়ল। কিছুক্ষণের জন্য আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না যে সত্যিই আমি সাফারি পার্কের বাসে ঘুরছি হা হা।।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | মে,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit