আগুন!!

in hive-129948 •  9 months ago 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ বৃহস্পতিবার, ১৪ ই মার্চ , ২০২৪।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


fire-165575_1280.jpg

Source


সম্প্রতি বাংলাদেশে আগুনের উৎপাত খুবই বেড়েছে। সম্প্রতি বললে ভুল হবে। গতবছর রমজান মাসেও এমনটা হয়েছিল। নিউ মার্কেট এর মতো জায়গাই আগুন লেগে শত শত দোকান পুড়ে গিয়েছিল। এই বছর আগুনের শুরু হয় ২৯ শে ফেব্রুয়ারি বেইলি রোডে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট থেকে। চার বছর পর পর এই ২৯ ফেব্রুয়ারি আসে। কিন্তু এই ২৯ ফেব্রুয়ারি মানুষ খুব স্বভাবত দ্রুতই ভুলে যেতে চাইবে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী সাংবাদিক সহ বেশ কিছু সাধারণ মানুষের প্রাণ গিয়েছে বেইলি রোডের ঐ আগুনে। যেটা একেবারেই অনাকাঙ্খিত ছিল। আগুন লাগার পরে জানা গেল রেস্টুরেন্ট সহ ঐ বিল্ডিংয়ে নাকী পর্যাপ্ত ফায়ার প্রটেকশন ব‍্যবস্থা ছিল না। এরপর ঢাকার বেশ কিছু রেস্টুরেন্টে গিয়ে তদারকি চালিয়েছে পুলিশ। দেখা গেছে অধিকাংশ রেস্টুরেন্টে ফায়ার প্রটেকশন এর কোন ব‍্যবস্থা নেই। অর্থাৎ আগুন লাগলে দ্রুতই ছড়িয়ে যাবে।

এবং ঢাকা শহরের যে অবস্থা যতক্ষণে ফায়ার সার্ভিস ইউনিট আসবে ততক্ষণে হয়তো আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে। ঐটা তো গেল। কিছুদিন আগেই চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের চিনির গুদাম আগুন লেগেছিল। এই নিউজ হয়তো আমরা অনেকেই দেখেছি। যেটার জন্য বাজারে চিনির দামের উপর একটা বেশ বড় প্রভাব পড়েছে। ঐটার পরে উওরা কাঁচা বাজারের ভয়াবহ আগুন। মধ‍্যরাতে উওরা কাঁচা বাজারে এক ভয়াবহ আগুন লাগে। কোন প্রাণ না গেলেও অসংখ্য দোকান পুড়ে যায়। যেটা সত্যি একেবারে দুঃখজনক। শুধু ঐটা না। গতকাল গাজীপুরে গ‍্যাসের সিলিন্ডার থেকে আগুন লেগে বেশ অনেকে দগ্ধ হয়েছেন বেশ কয়েকজন মারাও গিয়েছে। আগুন লাগার এই প্রভাব যেন ক্রমেই বেড়ে চলেছে বাংলাদেশে। এছাড়া পুরান ঢাকার জুতার কারখানায় আগুন এই বিষয়টি একেবারে আমার স্মরণে ছিল না। এটাও সপ্তাহ খানেক আগের ঘটনা।


fire-fighting-4495488_1280.jpg

source


গতবছর থেকে যে আগুন লাগার প্রবণতা টা শুরু হয়েছে সেটা যেন এখনো চলছে। বিশেষ করে এই গরম কাল আসলে যেন আগুন লাগার ব‍্যাপার টা অনেক গুণ বেড়ে যায়। এখন এতো বেশি আগুন লাগার বিষয়টি কি প্রাকৃতিক না পরিকল্পিত সেই বিষয়ে আমি যাব না। আমি প্রথমত দেখব যেখানে আগুন ধরেছে সেই জায়গার কোন দূর্বলতা ছিল কীনা। পর্যাপ্ত ব‍্যবস্থা ছিল কীনা। বেইলি রোডে আগুন লাগার পরে বাংলাদেশের একজন বিখ‍্যাত আর্কিটেক্ট সরাসরি তার ডিজাইন করা বিল্ডিংয়ে সাধারণ মানুষ কে যেতে নিষেধ করে। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন ঢাকায় নির্মিত অধিকাংশ স্থাপত‍্যে কোন অগ্নি নির্বাপন ব‍্যবস্থা নেই। বিশেষ করে তার নকশা করা স্থাপত‍্যগুলোতে নাকী মালিকপক্ষ সেটা রাখতে নিষেধ করে। অর্থাৎ তারা সেটা পুরোপুরি এড়িয়ে যায়।

একটা বিল্ডিং করার সময় ফায়ার প্রটেক্ট করার জন্য প্রায় কয়েক কোটি টাকা পযর্ন্ত খরচ হয়ে যায়। এখন অনেকেই হয়তো সেটা না করার জন্য ফায়ার প্রটেকশন ব‍্যবহারে ইচ্ছুক হয় না। বাংলাদেশে কোথাও আগুন লাগলে দেখবেন খুব সহজে সেটা নিয়ন্ত্রণে আসে না। এর কারণ আমাদের দেশের ফায়ার সার্ভিস ব‍্যবস্থা এখনো সেই ষাটের দশকে পড়ে আছে। অর্থাৎ বিশ্বের অন্য সব দেশের ফায়ার ডিফেন্স পার্টির কাছে অত‍্যাধুনিক ব‍্যবস্থা থাকলেও আমাদের দেশের কাছে সেটা নেই। মূলত আমাদের উন্নয়ন ঐ পদ্মাসেতু আর মেট্রোরেল এর মধ‍্যেই সীমাবদ্ধ। এগুলো নিয়ে সাধারণত কেউ কথা বলে না। যখন আগুন লাগে তখন কয়েকজন একটু কথা বললেও যতই দিন যায় এই বিষয়টি যেন আড়ালে চলে যায়।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

দিনের পর দিন ভাইয়া সত্য কথা বলতে আগুনের উৎপাত যেন বেড়েই চলতেছে। বিশেষ করে ঢাকা শহরে প্রতিনিয়ত আগুন। কিছুদিন আগের নিউজ দেখলাম চিনির মেলে আগুন লেগে গেছে। অবশ্যই এটার দাম বাড়বে।কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সব সময় সুযোগের অপেক্ষায় থাকে, বিশেষ করে রমজান মাস আসলেই সবকিছু দাম বাড়িয়ে দেয়।

Posted using SteemPro Mobile

এই সময় আসলেই ঢাকা শহর চট্টগ্রাম আগুন লাগার ধারাবাহিকতা দেখতে পাই। যে আগুন সাধারণ মানুষের প্রাণ নিয়ে যায় তবুও আমরা সচেতন হই না। আসলে সুন্দর পরিবেশ তৈরি না করলে সেখানে এরকম কিছু ঘটবে সেটাই স্বাভাবিক। কিছুই করার নাই শুধু দেখা ছাড়া। যতদিন সুন্দর পরিবেশ এবং সচেতনতা বোধ তৈরি হবে না। এইরকম পরিবেশ এবং সাধারণ মানুষ বিপদের সম্মুখীন হবে।

Posted using SteemPro Mobile

আমাদের দেশের আগুনের এই সমস্যা যেন কোনমতে কমছে না। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন আগুনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে৷ প্রতিনিয়ত এটি যেন বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে৷ একইসাথে এখন ঢাকা শহরে যেন একটু বেশি এই ঘটনা দেখা যায়৷ সেখানে যেদিকে তাকাই সেদিকের খবরেই শুধু আগুনের খবর দেখা যায়৷ একইসাথে কিছু সময় এমন হয় যে প্রতিদিনই দুই-তিনটির বেশি আগুনের ঘটনা ঘটছে এবং ফায়ার সার্ভিসের যে কর্মকর্তা রয়েছে তারাও একেবারে হিমশিম খেয়ে যায়৷ যেভাবে একের পর এক আগুনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে এর ফলে মানুষজনের অনেক বেশি পরিমাণে ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে৷ এর ফলে বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের যেমন কষ্ট হয়ে যাচ্ছে তেমনি দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতিও বৃদ্ধি পেয়ে যাচ্ছে৷ তাই আমাদের সকলের উচিত এই বিষয়গুলো বিবেচনা করে দেখা৷ যাতে করে আমরা সচেতন থাকতে পারে এবং আগুনের প্রকোপ বৃদ্ধি যাতে না পায় তাতে আমরা অতি গুরুত্ব দিতে হবে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷