আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আচ্ছা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসের মধ্যে কী কী সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য বলতে পারেন। নিয়মিত ক্লাস করা, পরীক্ষা দেওয়া, কোন বিশৃঙ্খলা না হওয়া, হোস্টেলে সিট বাণিজ্য না থাকা, র্যাগিং না থাকা এইতো। এগুলোই তো একজন শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকার। কিন্তু এই অধিকার গুলোর জন্য কেন একজন শিক্ষার্থীকে আন্দোলন করতে হবে বলতে পারেন। যে সুবিধা টা তার স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাওয়ার কথা তার জন্য সে কেন আন্দোলন করতে যাবে। অথচ তাদের করা লাগছে। কিন্তু তারপরও তারা সেটা পাচ্ছে না। না আজ আমি কোন রাজনৈতিক আলোচনা করতে আসিনি। আমি একজন ছাএ। আমার জায়গা থেকে সাম্প্রতিক বুয়েটে চলমান ঘটনা নিয়ে কিছু কথা বলব। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হলো শিক্ষা বা বিদ্যা বা জ্ঞান অর্জনের জায়গা। ঐটা কখনো রাজনীতি করার জায়গা না। আশাকরি আমার সাথে সবাই একমত হবেন।
বাংলাদেশের প্রতিটা কলেজে রয়েছে ছাএ রাজনীতি। এবং যার ভয়াবহ ফলাফল সম্পর্কে আমরা অবগত। বুয়েট বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্টান। বুয়েট দিয়েই শুরু করি। ২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাএ আবরার ফাহাদকে ইউনিভার্সিটি হোস্টেল থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিত ভাবে সারা রাত অত্যাচার করে হত্যা করে বাংলাদেশের একটা রাজনৈতিক দলের ছাএ সংগঠন। তার পরেই দেশের সর্বোচ্চ এই শিক্ষা প্রতিষ্টানেে নিষিদ্ধ হয় ছাএ রাজনীতি। তবে সেটাও হয়েছিল সাধারণ ছাএদের আন্দোলনের মুখে। কিন্তু আজ ৫ বছর পর আবার বুয়েটে ছাএ রাজনীতির অনুমতি দিয়েছে আমাদের দেশের হাইকোর্ট। এবং সেখানেই বেধেছে বিপওি। এই সিদ্ধান্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা মোটেই ভালোভাবে নেয়নি। যদি উন্নত কোন রাষ্ট্রে এমন ঘটনা ঘটত তবে আমার ধারণা পুরো দেশেই ছাএ রাজনীতি নিষিদ্ধ হয়ে যেত। কিন্তু বাংলাদেশে তার উল্টা চিএ।
হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের পর বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের ক্লাস পরীক্ষা বয়কট করে এবং আন্দোলন শুরু করে। আমি ভুল না করে থাকলে মোটামুটি আজ পাঁচ - ছয়দিন আন্দোলন চলছে। কারণ তারা জানে বুয়েটে যদি আবার ছাএ রাজনীতি চালু হয় তাহলে শিক্ষা অর্জনের সুস্থ্য পরিবেশ আর থাকবে না। আবার শুরু হবে বিশৃঙ্খলা, আবার শুরু হবে র্যাগিং। সাধারণ শিক্ষার্থীরা এটা বুঝেই আন্দোলনে নেমেছে। তারা চাই না আবার আবরারের মতো কেউ হারিয়ে যাক। আচ্ছা সাধারণ শিক্ষার্থীরা কী খুব বেশি কিছু চেয়েছে। একটা সাধারণ রাজনীতি মুক্ত ক্যাম্পাস তো তাদের অধিকার। তবে কেন তাহলে তাদের সেটার জন্য আন্দোলন করা লাগছে। এবং এই আন্দোলের পরেও কোন লাভ হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি তাদের দাবি পূরণ করছে না। কারণ এই সিদ্ধান্ত এসেছে অনেক উপর থেকে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাজনীতির দরকার টা কী??
পৃথিবীতে আরও অনেক বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় আছে। সেই বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কোথাও ছাএ রাজনীতি আছে কীনা আমার জানা নেই। আমার মনে হয় নেই। বাংলাদেশের ছাএ রাজনীতি মানে ক্যাম্পাসে র্যাগিং করা, চাঁদাবাজি করা, মেয়েদের উত্যক্ত করা এবং হল গুলোর সিট বাণিজ্য করা। এবং এই ছাএ সংগঠন গুলোর সামনে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ পযর্ন্ত অসহায়। হ্যা এই কথাটা সাম্প্রতিক সময়ে বুয়েটের একজন সিনিয়র কতৃপক্ষ বলেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাওয়া তাদের ক্যাম্পাসে কোন ছাএ রাজনীতি থাকবে না। কিন্তু আমাদের দেশের হাইকোর্ট আমাদের দেশের কর্তাব্যক্তিরা মনে করছে ছাএ রাজনীতি ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া অচল। মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলো এরা নিজেদের দখলে নিতে চাইছে। এই চাইছে না দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে একটা সুস্থ্য পরিবেশ থাকুক।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতির অনেক নেগেটিভ দিক রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুয়েটের মত জায়গায় এরকম ছাত্র রাজনীতি একেবারেই উচিত নয়। কারণ এর আগেও আমরা অনেক দুর্ঘটনা দেখেছি, অনেকের মৃত্যু হয়েছে এই কারণে। তবে আমি একটা জিনিস বুঝলাম না, যে ছাত্র রাজনীতি একবার বন্ধ হওয়ার পর হাইকোর্ট আবার কি করে এটা অনুমতি দেয়। যাইহোক, যেহেতু সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা এটা নিয়ে প্রতিবাদ করছে, এখন দেখা যাক এই সমস্যার সমাধান হয় নাকি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সমাধান হবে একটা তবে সেটা নিশ্চিতভাবেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে আসবে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
যদি এমনটা হয় তাহলে তো সেটা দুঃখজনক বিষয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit