আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
সুন্দরবনের এই অংশটায় প্রায় কয়েক কিলোমিটার জুড়ে কাঠের পাটাতন দেওয়া মানুষের চলাচলের জন্য সুন্দরবন ঘুরে দেখার জন্য। বনের মধ্যে দিয়ে সরু কাঠের তৈরি রাস্তা টা চলে গিয়েছে। মোটামুটি ভূমি থেকে ৪-৫ মিটার উপরে রাস্তাটা। নিচের দিকে তাকিয়ে আমরা দেখতে পাই পানির অস্তিত্ব। পরবর্তীতে জানতে পারি যখন জোয়ার আসে তখন নাকী এই পুরো জায়গাটাই পানি চলে আসে। আমরা সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে ঐ কাঠের রাস্তা দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম। দুই পাশে অসংখ্য সুন্দরী গাছ দেখে বেশ লাগছিল। সুন্দরবনের এই অংশে প্রাণী বলতে শুধুমাত্র বানর চোখে পড়েছিল আমাদের। অসাধারণ একটা অনূভুতি ছিল। ঐ অংশটা ঘোরার পেছনে আমরা সবচাইতে বেশি সময় ব্যয় করি।
মার্চের শুরু হওয়াই কিছুটা শীতের প্রভাব থাকলেও দুপুরের পর রোদে আমরা মোটামুটি নাজেহাল হয়ে যায়। ওখানে আমরা পানি নিয়ে যায়নি এটা আমাদের একটা ভুল ছিল। তৃষ্ণা নিবারণের জন্য আইসক্রিম খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে ঐসময় সাধারণত বাইরে যে আইসক্রিম ৫ টাকা ওখানে সেটা ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করছিল। কিন্তু আমার এক বন্ধুর দারুণ বুদ্ধিতে আমরা অনেক গুলো একসঙ্গে নেয়। ফলে আমরা অনেক কম দামে পেয়েছিলাম। দেখতে দেখতে সুন্দরবনের এই অংশ ঘোরা শেষ হয়ে যায় আমাদের। এরপর আমি এবং আমার দুই বন্ধু সাঈদ এবং লিখন সিদ্ধান্ত নেয় খালের পাড় দিয়ে আমরা হাঁটব। দেখি কতদূর যেতে পারি।
করমজল পর্যটক কেন্দ্রের পাশেই একটা সরু খাল। এবং খালে বেশ কিছু নৌকা। আমরা খালের পাড় ধরে হাঁটতে থাকি। অনেক টা সময় যাওয়ার পর আমরা আবিস্কার করি ওখানে মানুষের বিচরণ নেই। খালের মধ্যে কোন নৌকাও নেই। এবং এই অংশে ও খালের ওপর পাশে ঘন হয়ে এসেছে জঙ্গল। তখন সত্যি একটা সুন্দরবনের অনূভুতি পাওয়া যাচ্ছিল। মাঝে মাঝে বন্য কিছু প্রাণীর আওয়াজ আমাদের কানে আসছিল দারুণভাবে। বেশ ভালো লাগছিল অন্যরকম একটা অনূভুতির সৃষ্টি হচ্ছিল। কিন্তু এরপর হঠাৎ দেখি একটা সতর্কবার্তা। যেখানে লেখা ছিল " সাধারণ পর্যটক এই বাউন্ডারি অতিক্রম করে আর সামনে যাবেন না। পর্যটক সীমানা এই পযর্ন্ত"। অর্থাৎ সামনে ছিল সুন্দরবন আসল সুন্দরবন। যেখানে প্রাণীরা স্বাধীনভাবে বিচরণ করে।
নির্দেশনা মেনে আমরাও আর সামনে যায়নি। যদিও এই সৌন্দর্যের দেখা অন্যরা পাইনি। পেয়েছিলাম শুধু আমরা তিনজন বন্ধু। পরবর্তীতে বাসে এসে যখন ঘটনা টা বলি অনেকেই আফসোস করছিল। দেখতে দেখতে ঘড়িতে ৩ টা বেজে যায়। আমরা যেতে থাকি ট্রলারের কাছে। গিয়ে দেখি বাকি সবাই চলে এসেছে। আমরা যেতেই দেখি স্যার একটু বিরক্ত। যাইহোক আমরা ট্রলারে যাওয়ার পর ট্রলার ছেড়ে দেওয়া হয়। আমাদের সুন্দরবনের এই অংশ ভ্রমণ শেষ। আমাদের উদ্দেশ্য এবার আবার সেই মংলাপোর্ট। ওখানে গিয়ে আমরা দুপুরের খাবার খাব। শিক্ষা সফর বা ভ্রমণে গেলে খাবারের সময়ের বিলম্ব হবেই এটা নিশ্চিত। আবারও টানা ৪৫ মিনিট নদীপথে যাএা করার পর আমরা যায় মংলাপোর্টে। প্রচণ্ড ক্ষুদা ছিল পেটে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাদের সুন্দরবন ভ্রমণের পূর্ব পোস্ট আমি পড়েছি। আজকেও আবার সুন্দরবন ভ্রমণের আরেকটি পর্ব শেয়ার করেছেন। আমার খুব ভালো লাগে এ সমস্ত পোস্টগুলো দেখতে। এই সমস্ত পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানতে পারা যায়। আর আপনারা তো অনেকেই মিলে গিয়েছেন বেশ ইনজয় করেছেন বুঝা যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাদের সুন্দরবন ভ্রমণের পোস্ট দেখে খুবই ভালো লাগলো ভাই। সুন্দরবন ভ্রমণের সৌভাগ্য আমারও হয়েছিল একবার। বেশ ভালোলাগার মুহূর্ত কিন্তু। আর সাথের মানুষদের সাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আনন্দটা ঠিক অন্য রকম হয়ে থাকে। তেমনি আনন্দঘন মুহূর্ত আপনি তুলে ধরেছেন আমাদের মাঝে। অনেক অনেক ভালো লাগলো আপনার এই সুন্দর মুহূর্ত দেখে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit