আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ইউটিউব থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে
মুভির গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
------ | ------ |
---|---|
মুভির নাম | Maidan |
পরিচালক | অমিত শর্মা |
সিনেমাটোগ্রাফি | তুষার কান্তি রায় |
মিউজিক | এ আর রহমান |
দৈর্ঘ্য | ১৮০ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
বাজেট | ২৫০ কোটি |
মুক্তি | এপ্রিল ১০,২০২৪ |
অভিনয়ে | অজয় দেবগন, গারাজ রাও, প্রিয়ামানি, রিশাব যোশী, রুদ্রনীল ঘোষ আরও অনেকে। |
কাহিনী সংক্ষেপ
মুভির শুরুতেই দেখা যায় ১৯৫২ অলিম্পিকে ইয়্যোস্নোভিকিয়ার কাছের ভারত ১০-১ গোলে পরাজিত হয়। এবং ঐ দলের কোচ ছিল সাঈদ আব্দুল রহিম। দেশে আসার পর ফেডারেশন যখন জানতে চাই এতো গোলে হারার কারণ তখন কোচ রহিম সাহেব বলেন ম্যাচ হারের সব দোষ আমি নিতে পারি তবে খেলোয়ার নির্বাচন করার অধিকার আমাকে দিতে হবে। খালি পায়ের পরিবর্তে খেলার জন্য জুতা লাগবে। এবং ঘরোয়া লীগ ৭০ মিনিটের পরিবর্তে ৯০ মিনিট হতে হবে। ফেডারেশন সব সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। পরবর্তীতে কোচ রহিম সাহেব দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দারুণ দারুণ কিছু খেলোয়ার বের করে নিয়ে আসে।
এরপর রহিম সাহেব তার দল নিয়ে যায় পরবর্তী ম্যাচ খেলতে। সেখানে তারা তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়ে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া কে পুরো ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে। অসাধারণ ছিল সেই ভারত দল। এরপর আরও কয়েক বছর কেটে যায়। ভারতীয় দলে আরও কিছু খেলোয়ার যুক্ত হয় তার মধ্যে ছিল চুনি গোস্বামি অন্যতম। পরবর্তী রোম অলিম্পিকে যায় ভারত। সেখানে ভারতের গ্রুপে সব শক্তিশালী দল ছিল। তাদের মধ্যে ভারত হাঙ্গেরির সঙ্গে ২-১ গোলে হেরে যায় পেরু কে ৩-০ গোলে হারালেও শেষ ম্যাচ ফ্রান্সের সাথে ১-১ গোলের ড্র হলে তাদের হতাশ হতে হয়। কারণ ভারত সেমিফাইনালে কোয়ালিফাই করতে পারে না। কিন্তু স্টেডিয়ামের সকল দর্শক well played india বলতে থাকে।
এরপর দেশে আসলে ফেডারেশন এর কিছু মানুষ ষড়যন্ত্র করে রহিম সাহেব কে তার কোচ পদ থেকে বহিস্কার করে। এরপরেই দেখা যায় রহিম সাহেবের লাঞ্চ ক্যান্সার। এর কারণ ছিল উনি সারাদিন অনেক ধুমপান করতেন। এভাবেই কয়েক বছর চলে যায়। উনার অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকে। তখন উনি সিদ্ধান্ত নেন যে করেই হোক আবার উনি ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ হবেন এবং তাদের সামনের এশিয়ান গেমস এর শিরোপা জেতাবেন। পরবর্তীতে ফেডারেশন কে অনেক অনুরোধ করার ফলে রাজি হয় সবাই। এবং রহিম সাহেব বলেন এবার যদি উনি ভালো কিছু করতে না পারেন আর কখনও কোন দলকে কোচিং করাবেন না।
সব বাঁধা পেরিয়ে রহিম সাহেব তার দলকে নিয়ে জাকার্তা যায় এশিয়ান গেমস খেলতে। একদিকে দল মাঠে পারফরম্যান্স করছে অন্যদিকে রহিম সাহেব লড়ছে ক্যান্সারের সঙ্গে। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে হেরে গেলেও পরবর্তীতে উনার দল একে একে ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড এবং সেমিফাইনালে জাপান কে হারিয়ে ফাইনালে চলে যায়। এবার আবার ফাইনালে মুখোমুখি হয় দক্ষিণ কোরিয়ার। ভারত দল রহিম সাহেবের কোচিং এ অসাধারণ খেলে। এবং প্রথম বারের মতো ভারত ফাইনাল জিতে এশিয়ান গেমস এর শিরোপা টা নিজেদের করে নেয়। রহিম সাহেব কান্নায় ভেঙে পড়েন মাঠের মধ্যে। এখানেই শেষ হয় মুভিটা।
ব্যক্তিগত মতামত
এটা একেবারে সত্যি ঘটনা নিয়ে তৈরি করা একটা মুভি। ভারতীয় ফুটবল দলের সর্বকালের সেরা কোচ সাঈদ আব্দুল রহিম সাহেবের জীবনী নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। উনি কীভাবে ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে ভারতীয় দলকে এশিয়ার চ্যাম্পিয়ান করেছিলেন সেই গল্প তুলে ধরা হয়েছে। রহিম সাহবের চরিএে অসাধারণ অভিনয় করেছে অজয় দেবগন। পাশাপাশি অন্য সব অভিনেতার অভিনয় ছিল অসাধারণ। সবমিলিয়ে মুভিটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। মুভিতে অন্যান্য কাহিনী খুব একটা রাখা হয়নি পুরোটাই চলেছে ফুটবল নিয়ে আলোচনা। পাশাপাশি সিনেমাটোগ্রাফি টা ছিল অসাধারণ। দেখে মনে হয়েছে একেবারে ১৯৫০ পরবর্তী সময়ে মনে হয় শ্যুটিং করা।
মুভির অফিশিয়াল ট্রেইলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এই মুভিটা আমি কোনদিন দেখিনি,তবে একজন মানুষের জীবনকে কেন্দ্র করে লেখা
সিনেমা গুলোর মধ্য দিয়ে বেশ অনেক কিছু জানা যায়। আর সেই জায়গায় ভারতের বিশেষ এক ব্যক্তির জীবনকে কেন্দ্র করে এই সিনেমাটা। যাহোক খুব সুন্দর ভাবে রিভিউ করে জানার সুযোগ করে দিয়েছেন আপনি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভারতীয় এক ব্যক্তির জীবনকে কেন্দ্র করে মুভির কাহিনীটি বেশ ভালো লাগলো।একদিন দেখার চেষ্টা করব মুভিটি।এধরনের মুভি গুলো ভালো লাগে।ধন্যবাদ আপনাকে রিভিউ পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit