আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ঢাকায় যাওয়ার পর আমাদের নতুন একটা ইচ্ছা জাগ্রত হয় সবার যে আমরা মেট্রোরেলে উঠব। যেই কথা সেই কাজ। দিনটা ছিল রবিবার। এবং আকাশ ছিল মেঘলা সঙ্গে ছিল ঝড়ো হাওয়া। গরম একেবারেই ছিল না। বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘর থেকে বের হয়েই আমরা চলে যায় মেট্রোরেলে উঠার উদ্দেশ্যে। তো আমরা যেখানে ছিলাম সেখান থেকে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশন বেশি দূরে না। যানজট না থাকলে বাসে ঐ মোটামুটি মিনিট ১০ সময় লাগে। আর ঢাকার লোকাল বাস কীভাবে চলে সেটা অন্তত আপনাদের বলা লাগবে না। আগারগাঁও হলো মেট্রোরেল এর প্রথম স্টেশন। এবং তার এই পাশের লাইন তৈরি থাকলেও এখনো কাজ চলমান থাকাই চালু হয়নি। তবে খুব দ্রুতই আবার চালু হবে। আমরা চলে গেলাম আগারগাঁও মেট্রোরেলওয়ে স্টেশনে। এরপর সিড়ি দিয়ে উঠে পড়লাম উপরে। প্রথম দিকে অনেক ভীড় থাকলেও এখন আর সেরকম ভীড় হয় না। যাইহোক গিয়ে দেখি অসংখ্য মানুষ টিকিট কাটছে এবং তারপর চলে যাচ্ছে উপরে স্টেশনে। টিকিট সাধারণত দুইভাবে কাটা যায় প্রথম স্বয়ংক্রিয় মেশিন এর সাহায্য এবং দ্বিতীয়ত মানুষের নিকট থেকে যারা মূলত কতৃপক্ষ থেকে নিয়োগকৃত।
টিকিট ক্রয়ের আগে দেখে নিলাম আগারগাঁও থেকে কোন স্টেশনের ভাড়া কত। আগারগাঁ এর পরে প্রথম তিন স্টেশন কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া এবং মিরপুর ১০ সব স্টেশনের ভাড়ায় ২০ টাকা। সেজন্য আমরা আগারগাঁও থেকে মিরপুর ১০ এর টিকিট ক্রয় করি। যাইহোক টিকিট টা প্রবেশ পথে স্পর্শ করে ভেতরে ঢুকে যায়। প্রবেশ পথে টিকিট টা স্পর্শ না করালে প্রবেশ গেট ওপেন হবেনা। যাইহোক সিড়ি দিয়ে পরে উঠেই দেখি মেট্রো এসে দাঁড়িয়ে আছে। যথারীতি আমরা পাঁচজন উঠে পড়লাম। এরপর সুন্দর মতো বসার জায়গাও পেয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পর ট্রেন চলা শুরু করল। চলা শুরু করার পর শহরটা দেখতে বেশ সুন্দর লাগছিল। এবং মেট্রো উপর দিয়ে চলার কারণে উপরের পরিবেশ টা এবং নিজের সৌন্দর্য টা আরও ভালোভাবে অবলোকন করা যাচ্ছিল। আমি ফোন বের করে বেশ কয়েকটা ভিডিও ধারণ করি। এরপর একে একে শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া হয়ে আমরা মিরপুর ১০ নেমে পড়ি। এরপর নিচে এসে বাহির হওয়ার পথে আবার টিকিট টা স্পর্শ করলে গেট ওপেন হয়ে যায় এবং আমরা বের হয়ে আসি।
এখন আমরা মিরপুর ১০ থেকে আবার আগারগাঁও স্টেশনে যাব। সেজন্য পূণরায় আমাদের আবার টিকিট ক্রয় করতে হবে। এবার আমার টিকিট আমি স্বয়ংক্রিয় টিকিট মেশিন থেকে ক্রয় করি। একে একে সবাই টিকিট ক্রয় করলে আমরা কিছুক্ষণ মিরপুর ১০ মেট্রোস্টেশন টা ঘুরে দেখি। তারপর আমরা প্রবেশ পথে টিকিট স্পর্শ করিয়ে উপরে উঠে যায়। গিয়ে দেখি ট্রেন এসে হাজির। আমরা সবাই দ্রুত উঠে পড়লেও আমার বন্ধু রাসেল উঠতে পারে না। রাসেল ভিডিও করছিল সেজন্য ও উঠার আগেই গেট বন্ধ হয়ে যায়। রাসেলকে রেখেই আমাদের চলে যেতে হয়। যদিও পরের ট্রেনে রাসেল আবার চলে এসেছিল। মিরপুর থেকে আমরা আবার আগারগাঁও স্টেশনে চলে যায়। তবে সেখানে গিয়ে আরেকটা মজার ঘটনা ঘটে।
কৌতুহলবশত আমার বন্ধু ইকরা মিরপুর স্টেশন থেকে টিকিট ক্রয়ের পর প্রবেশের সময় সেটা গেটে স্পর্শ করাইনি। আমি স্পর্শ করানোর পর ও আমার সঙ্গে ঢুকে যায়। কিন্তু আগারগাঁও স্টেশন থেকে যখন আমরা বের হতে যায় আমরা টিকিট স্পর্শ করিয়ে বের হয়ে গেলেও ইকরা পারছিল না। ওর সময়ে গেট কিছুতেই ওপেন হচ্ছিল না। কারণ ওর টিকিটের এন্ট্রি হয় নাই। যাইহোক এটা বড় কোনো সমস্যা না। পাশেই এইসব সমস্যা সমাধানের জন্য একটা বুথ বা অফিস আছে। ইকরা সেখানে গিয়ে তার টিকিট টা দিতেই উনি ইকরার প্রবেশ এন্ট্রি করিয়ে দেন। পরবর্তীতে ইকরা গেটে সেটা স্পর্শ করালে বাহির হওয়ার জন্য গেট খুলে যায়। এই কৌতূহল টার জন্য আমরা বেশ অনেক কিছু জানতে পারি। মেট্রোতে টিকিটের মেয়াদ প্রবেশের পর থেকে ৬০ মিনিট পযর্ন্ত থাকে। অর্থাৎ এরপর আপনি যেকোন স্টেশনে থাকলে আপনাকে জরিমানা দিয়ে বের হতে হবে। মেট্রো জার্নিটা বেশ উপভোগ করেছিলাম আমরা। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছিল আমার কাছে।।
------- | ------ |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emon42 |
ডিভাইস | VIVO Y91C |
সময় | মে,২০২৩ |
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মেট্রোরেল ভ্রমন কাহিনী পড়ে বেশ মজা পাচ্ছিলাম। আমার যদিও এখনো সুযোগ হয়নি উঠার।তবে আশাকরি উঠবো।আপনারা বন্ধুরা মিলে বেশ মজাই করলেন।আপনার পোস্টের মাধ্যমে কিছু বিষয় জেনে নিলাম।অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit