MTFE নিয়ে কিছু লিগ্যাল components
ইমন আলী আহসান
শিক্ষার্থী
আইন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
রিসেন্টলি, এ দেশের মানুষ লাখ লাখ টাকা হারিয়ে প্রায় পথে বসে গেছে, আমরা বাঙালিরা একটু লোভী এটা স্বিকার করি কিন্তু এই লোভ টা আমাদের এমনি এমনিই আসেনি, দারিদ্রতা, দেশের অতিরিক্ত জনসংখ্যা, শিক্ষার অনুন্নত মান , চাকরী শিমাবদ্ধতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা,দূর্নীতি ইত্যাদি অনেক কারনে আমাদের দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা এতোটাই দূর্বল যে আমাদের পরিবারের ব্যয় বহন করতে নিতে হচ্ছে উপার্জনের অসৎ উপায়। নেই কোন সাবস্টেনশিয়াল ইনকাম। বিভিন্ন ভাবে নানা উপায়ে নানা পন্থা অবলম্বন করে টাকা উপার্জন করতেছি। বর্তমান দেশের ইকোনোমিক সিস্টেমে কোনটা হালাল আর কোনটা হারাম তা নির্নয় করা প্রায় ইমপোসিবল। আমরা এখন ইনকামের জন্য হালাল হারাম বা লিগ্যাল এন্ড ইললিগ্যাল বিষয়টাকে বুঝিও না বুঝলেও তেমন একটা গুরুত্ব দেই না। যেভাবেই হোক , যে কোন উৎস থেকেই হোক টাকা ইনকাম করাটাই এখন জীবনের লিস্টে টপ প্রায়োরিটিতে থাকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ফিজিক্যালি কাজ করে ১০০ টাকা ইনকাম করা অনেক কঠিন , আমাদের চিন্তা ধারার এবং আত্নমর্জাদার যতনা উন্নতি হয়েছে ইকোনমিক অপোর্চুনিটি ঠিক ততটাই লিমিটেড হয়ে আসছে, আমরা রিক্সা চালিয়ে শহজেই দিন শেষে ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারি আমাদের সেই এবিলিটি আছে, কিন্তু আমাদের আত্নমর্জাদা বাধা দিবে। আমরা এর চাইতে আরো বেটার ওয়ে খুজি । একজন গ্রাজুয়েট বা অল্প শিক্ষিত বেকার রিক্সাও চালাবে না আবার চাকরিও পাবে না ফলে ভিবিন্ন পরিস্থিতে পড়তে হয় , ডিপ্রেশন, ফ্রাস্টেশন, ইল্লুশন আমাদের ঘিরে ধরে, আমরা তখন শুধু একটা ওয়ে খুজে বেড়াই, একটা ইনকাম সোর্স খুজে বেড়াই । ফলে আমরা পরে যাই বর্তমান ন্যাশনাল ইন্টারন্যাশ্নাল ব্রোকার, ফ্রড, এন্ড স্ক্যামের ফাদে, এরা ট্রার্গেট করে টাকার খুদার্থ বাঙালিদের, তারা টোপ ফেলে, ফিশিং করে প্রতিনিয়ত স্ক্যাম করে যাচ্ছে আর আমরা হারাচ্ছি আমাদের সর্বস্ব।
##এখন আসি দেশের প্রসাশন কেন এদের এগেস্টে কোন লিগ্যাল একশন বা পদক্ষেপ নিচ্ছে না?
প্রথমেই আইনের ফাক ফোকোর নিয়ে একটু বলি, কোন ইললিগ্যাল অবজেক্ট কে ঘিরে যত এগ্রিমেন্ট, লেনদেন, বিজনেস, ইত্যাদি কাজ হয়ে থাকে সেগুলো Judicially Enforceable নয়। যদি কোন ব্যক্তি অবৈধ এসব বিষয়ের সাথে যুক্ত থাকে আর সে যদি প্রতারনার ভূক্তভোগী হয় তাহলে সে কোর্টে এর প্রতিকার পাবে না। সে কোন ক্ষতিপূরন পাবে না। এমটিএফই একটি অবৈধ প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশে এটা বৈধ নয়, সরকার কতৃক অনুমোদিত নয়। সো এমটিএফটি এর সাথে যুক্ত সকল লেনদেন , বা ট্রেডিং একটিভিটিস, ট্রানসেকশন বা ভার্চুয়াল মানি এক্সচেঞ্জ ইত্যাদি সংক্রান্ত সকল কাজ অবৈধ, এবং যদি এসব বিষয় নিয়ে কোন ব্যক্তি ব্যক্তিগত ক্ষতি বা কোন গ্রাহক প্রতারনার স্বিকার হয় তাহলে তাকে কোর্ট থেকে কোন রিমেডি দেয়া হবে না। সরকার এটার জন্য দায়ী থাকবে না। কারন আইনত অবৈধ বস্তুর উপর সকল কার্জক্রম বাতিল বলে গণ্য হবে।
সুতরাং এমটি এফই এর প্রতারনার স্বিকার কোন ব্যক্তি যদি কোর্টে যায় তার আর্থিক ক্ষতিপূরনের জন্য যেটা সে হারিয়েছে বা কেইস ফাইল করার জন্য তাহলে তার কেইস গ্রহনযোগ্য হবে না বা সরকার থেকেও ক্ষতিপূরন পাবে না।
##সরকার কি সেই প্রতারকদের শাস্তির আওতায় আনতে পারবে না?
সরকার একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান বা এর সাথে জড়িত বিদেশি প্রতারকদের শাস্তির আওতায় আনতে পারবেনা, কারন একটি দেশের বিচারিক কার্যক্রম কেবল ওইদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। কোন রাষ্ট্রের বা দেশের সরকার অন্য দেশের নাগরীকদের বিরুদ্ধে মামলা করে নিজের দেশে তাদের শাস্তি দিতে পারবেনা। কাজেই সরকার কোন ভাবেই ওই বিদেশি প্রতারকদের শাস্তির আওতায় আনতে পারবে না । তবে হ্যা, রাষ্ট্র যদি বাদি হয়ে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস এ মামলা করে তাহলে তাদেরকে শাস্তি দেয়া যেতে পারে। কিন্তু তাদেরকে নিজ দেশে নিয়ে এসে শাস্তি দিতে পারবে না।
##সরকারের দায়িত্ব
সরকারকে এসব বিষয় গুলোকে গুরত্বসহকারে পর্যবেক্ষন করতে হবে। প্রসাশনকে আরো ইফেক্টিভ হতে হবে, এসব ফ্রডিউলেন্ট সাইটগুলোর একসেস বাংলাদেশে রেস্ট্রিকটেড বা সম্পুর্ন নিষিদ্ধ করে দিতে হবে।
পাশাপাশি আমাদের সাধারন জনগনের অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে,মেধা পরিশ্রম দিয়ে টাকা আয় করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। সৎ পথে থেকে টাকা ইনকাম করাটা কস্টের হলেও তৃপ্তি আছে শান্তি আছে, হারানোর ভয় নেই ।
এটা আমার প্রথম পোস্ট আইন সম্পর্কে একটু ধারনা দেওয়ার চেস্টা। আপনাদের সমর্থন এবং সহায়তা পেলেই আইনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচোনা করবো ইনশাল্লাহ।
ইমন আলী আহসান
শিক্ষার্থী
আইন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
ফটো সোর্স উল্লেখ করুন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit