আমার বাংলা ব্লগের শ্রদ্ধেয় ভাইয়া এবং আপুরা
আমি বাংলাদেশ থেকে @emonv
আজ বুধবার, জুন ২৯/২০২২
সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানিয়ে আজকে আমার নতুন একটি পোস্ট শুরু করছি । আজকের এই পোস্টটা অনেক স্পেশাল হতে যাচ্ছে কেননা এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আমার ছোটবেলার কিছু বৃষ্টির দিনে ভেজার আনন্দময়ী মুহূর্তগুলো শেয়ার করতে যাচ্ছি আমি গল্প গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক বেশি এক্সাইটেড ☺️☺️। আমার পোস্টের প্রথমে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমাদের সবার প্রিয় "আমাদের হ্যাংআউটের প্রাণ" শ্রদ্ধেয় @shuvo35 ভাইয়াকে যিনি আমাদের জন্য এত সুন্দর একটি কনটেস্ট আয়োজন করেছেন। আমাদের প্রিয় শুভ ভাই যেদিন থেকে এই কনটেস্ট আয়োজন করেছেন সেদিন থেকে আমি পথ চেয়ে আছি যে কবে বৃষ্টি নামবে আর আমি বৃষ্টিতে ভিজবো এবং সেই মুহূর্ত গুলো ক্যামেরাবন্দি করে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করব এবং সেই সাথে আমার গল্পটি শেয়ার করবো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেদিন থেকে মাত্র একদিন একটু বৃষ্টি হয়েছে তাও আবার রাতে তাই আমার কনটেস্ট অংশগ্রহণ করতে এত লেট হয়ে গেল। আজকের দিনটা অনেকটাই মেঘলা রয়েছে তবে বৃষ্টির ছিটেফোটাও চোখে পড়ছে না 😅। আমার মনে হয় আমার মত কমিউনিটির অনেক ব্লগার এই পরিস্থিতিতে পড়েছেন তাই সবাই দেখছি পিক্সিবে থেকে ছবি ব্যবহার করছেন তাই আমিও পিক্সিবে থেকে কিছু ছবি সংগ্রহ করে ফোনটা নিয়ে বসে পড়লাম আমার গল্পটি আপনাদের মাঝে শেয়ার করার উদ্দেশ্যে। 🙂
imagesource pixabay
যেহেতু জীবনের কিছু বিশেষ মুহূর্ত আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি তাই অল্প বয়স থেকেই শুরু করি, আমার বয়স তখন আনুমানিক ৯ থেকে ১১ বছরের মধ্যে হবে তখন আমি প্রাইমারিতে পড়ি। ওই সময় যখন বৃষ্টি হত তখন চলে যেতাম বাইরে ভিজতে। ছোটবেলা থেকেই আমার বৃষ্টির পানিতে ভিজতে অনেক ভালো লাগে তাই বৃষ্টি হলেই আমি নিজেকে আটকে রাখতে পারতাম না চলে যেতাম বৃষ্টির পানিতে ভিজতে এর জন্য বকাও খেতাম বাড়ি থেকে এবং প্রায়ই আমার সর্দি কাশি লেগেই থাকতো এই বৃষ্টির তে ভেজার কারণে আর আম্মু তো প্রতিনিয়তই বকাবকি করতেন বৃষ্টিতে ভেজার জন্য তবুও ভিজতাম অনেক মজা লাগতো ☺️।একদিন স্কুল ছুটি হয়ে গেছে এবং বাড়িতে ফেরার পথে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলো, কি করা যায় 🤔 পাশেই ছিল অনেক কচু গাছ , কচুর পাতা ছিঁড়ে মাথার উপরে একটা টুপি বানালাম তার পরে সেটা মাথায় দিয়ে ছুটতে লাগলাম বাড়ির দিকে কিছুক্ষণ যাওয়ার পরে ধপাস করে খেলা এক আচর 😁 কি আর করা যাবে গা-হাত-পা পুরো কাদায় মাখামাখি । তখন শুধু ভাবছিলাম বাড়িতে গিয়ে আম্মু যে কি বলে আজকে মনে হয় খবর আছে আমার।😅 তারপর মাথায় আইডিয়া এলো বকা তো এমনিতে খেতেই হবে এই সুযোগে একটু ভিজে নি সেদিন অনেক বৃষ্টির পানিতে ভিজে ছিলাম এবং বাড়িতে আসতে অনেক সময় লেগে গিয়েছিল বাড়িতে আসার পরে আম্মু একটু বকা,ঝকা করল অবশেষে নিস্তার পেলাম ।
imagesource pixabay
এবার আরো একদিন শুরু হলো বৃষ্টি সেদিন দিনটা ছিল শুক্রবার তাই স্কুল বন্ধ এদিকে বন্ধুরা এসে বাড়িতে উকি মারছে চল বন্ধু আজকে দুপুরে জাফর সাহেবের গাছের আম পেড়ে খাব , বলে রাখা ভালো জাফর সাহেব আমাদের এলাকার একজন নামকরা মন্ডল। ওনার অনেক আমগাছ এবং কাঁঠাল গাছ রয়েছে তার আম গাছের মধ্যেও কিছু ,কিছু আম প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি যা খেতে পুরাই অমৃত । ছোটবেলায় আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল আশেপাশে কেউ না থাকলে তার গাছে আম পেড়ে খেতে হবে। যেহেতু বাইরে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে তাই আম গাছের এদিকে তেমন কেউ ছিল না তাই বন্ধুরা মিলে সেদিন অনেক আম পেরেছিলাম তারপর আমাদের এক বন্ধু নাম তার পরশ ওর একটা ফুটবল ছিল ওর ফুটবলটা নিয়ে চলে গেলাম ফুটবল খেলতে। ফুটবল খেলছিলাম কিন্তু কোন ফুটবল খেলার মাঠে নয় ফুটবল খেলছিলাম সদ্য চাষ দেওয়া ধানের মাঠে। ☺️ যেহেতু ধানের মাঠে সদ্য চাষ দেওয়া হয়েছে তাই প্রচুর পরিমাণে কাদা ছিল ওই মাঠে এবং পানিতে প্রায় ডুবোডুবু অবস্থা। এমন সময় বল নিয়ে দৌড়ানো মুশকিল সেদিন মনে হয়েছিল সবকিছু যেন স্লো মৌসন হয়ে গেছে কেউ নিজ জায়গা থেকে ঠিকমতো নড়তে পারছে না।😂 আসলে এ সেই দিনকার কথা আজও আমি ভুলিনি আমাদের বন্ধুদের মধ্যে কয়েকটা বন্ধু আবার সাইজ অনেক মোটা ছিল তাদের তো বেহাল অবস্থা।
imagesource pixabay
আরো একটি ঘটনা হচ্ছে,আমাদের এদিকে নুরু মিয়া বলে একজনের বাড়িতে অনেক জামরুল গাছ ছিল এবং যখন অধিক পরিমাণে মুষলধারে বৃষ্টি হতো তখন ওই জামরুল ফল খুব দ্রুতই পেয়ে যেত । তখন আমরা তাদের বাড়িতে জামরুল খেতে যেতাম তবে সমস্যার বিষয় হচ্ছে ওদের বাড়িটা একটু ছ্যাঁৎসিত পরিবেশের ওই কারণে ওখানে সাবধানতা অবলম্বন না করলেই বিপদ । অর্থাৎ খেতে হবে ঠাস করে আচার ☺️ একদিন জামরুল খেতে গিয়ে জামরুল গাছের দিকে তাকিয়ে রয়েছি এদিকে পায়ের দিকে আর খেয়াল করা হয়নি পড়ে গেলাম ধুম করে তারপরে অনেক পোশাকে অনেক নোংরা হয়ে গেছিল। ছোটবেলার ওই দিনগুলোর কথা যখন মনে পড়ে নিজের কাছে অনেক লজ্জা লাগে আবার অনেক আনন্দোও লাগে ছোটবেলায় যে কি না কি করতাম। ছোটবেলার মুহূর্তগুলো সবচেয়ে সেরা মুহূর্ত হয়ে থাকে। এখন বৃষ্টি হলেই আমি বাইরে চলে যাই এবং বাইরে গিয়ে ভিজতে থাকি এখন যেহেতু বড় হয়ে গেছি তাই মাঝেমধ্যে কানের ভিতরে ইয়ারফোন দিয়ে গান শুনি আর টিপটিপ বৃষ্টিতে ভিজতে থাকি এভাবে আমার অনেকগুলো এয়ারপোর্ট নষ্ট হয়েছে তবুও অনেক মজা পাই।" জিৎ গাঙ্গুলীর একটা গান রয়েছে টিপ টিপ বৃষ্টিতে কি যে ভালো লাগছে" এই গানটি আমি বৃষ্টির দিন হলেই শুনি খুব ভালো লাগে আমার। আজকের আয়োজন এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনাই করি।
❤️ধন্যবাদ!!!❤️
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix hot 11s |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @emonv |
[[প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]"ইমন ব্লগ" এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য। আসলে বৃষ্টির দিনে আমাদের অনেক অনুভূতি রয়েছে, কচুপাতা মাথায় দিয়ে বৃষ্টির মধ্যে চলা এবং কাঁদের মধ্যে আচার খাওয়া। এই কাদের মধ্যে আচাড় খাওয়ার ব্যাপারটা খুবই ভালো লাগলো, কারণ এটা আমার মনে হয় সবাই খেয়েছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বৃষ্টির দিনের কিছু মজাদার মুহূর্ত অসাধারণ ভাবে বর্ণনা করেছেন আমাদের মাঝে। বিশেষ করে ছোটবেলার জামরুল ফল ওয়াও চুরি করে খাওয়ার কাহিনী এবং ফুটবল খেলার স্মৃতি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনি কনটেস্ট অংশগ্রহণ করেছেন যিনি আমার খুব ভালো লাগলো। আসলেই বৃষ্টির পানিতে আছাড় খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে এখন আর সেটা সম্ভব নয়। ছোটকালে তো কত খেয়েছি। আনন্দ পেয়েছি, কান্নাও করেছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit