জেনারেল রাইটিং ‌(ছোট গল্প) || সত্যি কি এটা ভালোবাসা !!‌‌|| শেষ পর্ব

in hive-129948 •  4 months ago 

আজ - শনিবার

২ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

🌺 চলুন শুরু করি 🌺

হিন্দু ভাইদের নমস্কার এবং মুসলমান ভাইদের কে সালাম জানিয়ে আজকের নতুন আরেকটি ব্লগ শুরু করতে যাচ্ছি..! আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন

সত্যি কি এটা ভালোবাসা ছিল‌ ? এমন একটা সিরিজ আমি আপনাদের মাঝে কিছুদিন আগে নিয়ে এসেছিলাম। সেখানে আমি প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম এবং ওই পর্বটাতে আপনাদের অনেক মতামত পেয়েছি এবং আপনারা অনেকেই দ্বিতীয় পর্বের কথা বলেছেন। তাই আজকে আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে দ্বিতীয় পর্ব শেয়ার করতে যাচ্ছি বলা যায় যে এই পড়বে আমি এই গল্পটি শেষ করে দিব। আপনারা ওই পর্বে দুর্যয় এবং মেঘলার প্রেম কাহিনী শুনেছেন এই পর্বে আমি পরবর্তীতে প্রেম হওয়ার পরে কি হল এই বিষয়টা নিয়েই শেয়ার করব। চলুন তাহলে শুরু করি..। তো এক পর্যায়ে যখন দুর্জয় ও মেঘলা প্রেমে আসক্ত হয়ে যায় তখন মেঘলা এই বিষয়টার সম্পূর্ণভাবে ফায়দা তুলতে থাকে এবং সে দুর্যোগকে চাপ দেয় যে আমাকে বিয়ে করতে হবে। এদিকে দুর্জয় এর বয়স তেমন একটা বেশি নয় মাত্র 18 বছর। সে কর্মের দিক থেকেও তেমন একটা এগিয়ে নয় অর্থাৎ আমি বোঝাতে চাচ্ছি যে তার কোন নির্দিষ্ট স্কিল নেই অথবা কোন ব্যবসাতেও সে জড়িত নেই। কারণ আপনারা হয়তোবা জানেন যখন দুইটা দম্পতির বিয়ে হয় তখন রিজিকের একটা ভালো সোর্স থাকাটা অবশ্যই জরুরী।

1000000033.jpg

source

কারণ শুধুমাত্র পেটে খেয়ে জীবন যাপন হয় না। জীবন অতিবাহিত করার জন্য অনেক জিনিসের প্রয়োজন হয় যার জন্য অবশ্যই একটা ভালো আর্নিং সোর্স প্রয়োজন। তবে দুর্জয় মেঘলার প্রেমে পড়ে আসক্ত হয়ে গিয়েছিল সে এইসব বিষয়গুলো মাথায় না নিয়েই আবেগে পড়ে বিয়ে করার জন্য বলা যায় একপর্যায়ে পাগল হয়ে যাই। সে ঘর থেকে একেবারেই বের হয় না শুধুমাত্র খাওয়া দাওয়ার সময় বের হয় এবং সব মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। পরবর্তীতে দুর্যয়ের আব্বা এবং আম্মু দুজনে মিলে মেঘলার বাড়িতে খোঁজ নেই যে মেয়েটা কেমন কিন্তু? কিন্তু তারা আসানরূপ কোন ফলাফল পায় না। অনেক জায়গা থেকেই খারাপ রিপোর্ট আসতে থাকে তখন দুর্যয়ের বাবা-মা তাকে বলে যে আমরা তোকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়ে দিব তুই বল যে তোর কোন মেয়ে পছন্দ। কিন্তু দুর্জয় সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়ে নিয়েছে যে যদি সে জীবনে বিয়ে করে তাহলে সে মেঘলা কেই করবে। ‌ পরবর্তীতে দুর্যয়ের বাবা-মা ভয় পেল যে হয়তোবা যদি দুর্যয় আত্মহত্যা করে বসে তাহলে তাদের ছেলেটা অকালে মৃত্যু হবে তাই তারা এই ভয়ে শেষ পর্যন্ত দুর্জয় এবং মেঘলার বিয়েটা দিয়ে দেয়।

1000000030.jpg

source

তাদের বিয়ের পরে প্রতিদিনই ঝগড়াঝাঁটি লেগে রয়েছে কারণ দুর্জয় তখন আবেগের বশে বিয়েটা করে ফেলেছিল কিন্তু এখন যখন সে বাস্তবতা বুঝতে পেরেছে তখন তার আর কিছুই করার নেই। কারণ সে না চাইতেও এখন তাকে সংসার জীবন পালন করে যেতে হবে। আর সংসার জীবনটা এমন একটা জীবন যে আপনি যদি একবেলা নাও খেতে পারেন তাও আপনাকে আপনার স্ত্রীকে অবশ্যই আহার জোগাড় করে দিতে হবে। তো শেষ পর্যন্ত যখন সে বাস্তবতার শিকার হয় তখন রাজমিস্ত্রির কাজ করতে নেমে পড়ে। আসলে অল্প বয়সে যারা বিয়ে করে ফেলে আমি দেখেছি তারা অধিকাংশই মানুষের রাজমিস্ত্রির কাজ এ যোগদান করে। কারণ এখানে প্রচুর পরিমাণে শ্রমিক লাগে এবং তারা মোটামুটি দিন গেলে 5 থেকে 600 টাকা ইনকাম করতে পারে এজন্যই এই বিষয়টা আমি সবার মধ্যেই প্রায় লক্ষ্য করেছি। তবে আমি আগেই বলেছিলাম যে দুর্জয় tiktok করা শুরু করেছিল সে এখন পর্যন্ত টিকটক করা ছাড়েনি। যখন সে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে যায় তখন সে এগুলো ভিডিও করে টিকটকে আপলোড করে এবং তার কষ্টের এবং দুঃখের অনুভূতিগুলো শেয়ার করে।

1000000031.jpg

source

তবে একটা জিনিস নিশ্চিত সেটা হচ্ছে মানুষকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে সেটা হোক বেশি অথবা কম। কিন্তু শুধু পরিশ্রম করেই এখন আর তার হয় না কারণ বর্তমানে অর্ধগতির কারণে বাংলাদেশের প্রত্যেকটা পণ্যের দাম দিন, দিন বেড়েই চলেছে তার অল্প রুজিতে এখন সে আর কুলাতে পারেনা এবং শশুর শাশুড়ির দিক থেকেও সে তেমন আর কোন সাপোর্ট পাইনা তবে দুর্জয় যদি এমন আবেগে না পড়ে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে তারপরে বিয়ে করত তাহলে হয়তো বা এই দিনগুলো তাকে আর দেখতে হতো না। আর যদি মেঘলার কথা বলি সে এখন পর্যন্ত শুনেছি অনেকগুলো রিলেশন করে যেটা খুবই দুঃখজনক একটা বিষয়। যদিও সংসার করার অভিজ্ঞতা আমার নেই তবুও এখন বুঝতে পারি যে বর্তমানে সংসার জীবনটা অনেক বেশি জটিল। কারণ আমার বয়সী যেই ছেলে মেয়েগুলোকে আমি বিয়ের পিঁড়িতে বসতে দেখেছি তাদের জীবনেই বিভিন্ন দিক থেকে অনেক বেশি সমস্যা নেমে এসেছে। কারণ তাদের সঙ্গে যখনই দেখা হয় তখনই তারা এক কথায় বলে যে বন্ধু যাই করিস বিয়ে করিস না। আসলে বিয়ে করাটা তো ফরজ তবে সব জিনিসেরই একটা সময় থাকে যদি সময়ের আগেই আমরা কোন কাজ করতে যাই সে ক্ষেত্রে সেটা হয়ে যাবে অ্যাক্সিডেন্ট। তাই সময় মত সবকিছু করা উচিত।

1000000034.webp

source

তো যাই হোক আপনাদের দুর্যয়ের গল্পটি কেমন লেগেছে চাইলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন এবং আপনাদের সাথে এমন কোন ঘটনা ঘটেছে কিনা এ কথাটাও জানাতে পারেন। ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে এতক্ষণ পাশে থেকে আমার ছোট্ট এই ব্লগটি উপভোগ করার জন্য আবারও খুব শীঘ্রই দেখা হচ্ছে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

ব্লগার@emonv
ডিভাইসTecno camon 20
শ্রেণী ‌জেনারেল রাইটিং

🔚 সমাপ্তি

Screenshot_20240511-225100.jpg

আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPjVagCKakAuSTsQyj2bkd5a1qGy627tazWyRR8KvSGF5XUzUYGAJxbEm1Wagp...Lv2At2mGmrfEMg6f1U32Fbx5AMXoYvtwxPoGN64iEBA4Rv1YhRRuUftAwRmKthwLZXLSTwWxtFD7Sj1QyBBErTgPny6vsjAKSJvXy9ovR9TDNhx7vqPZQ8nKqg.png


VOTE @bangla.witness as witness

witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy


witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

সব কিছুরই একটা সময় আছে। অল্প বয়সে বিয়ে করলে মানুষের আরো বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয়। তাছাড়া ঠিক মত নিজে ইনকাম করতে না পারলে বউকে কি খাওয়াবে। তখন ভালোবাসা এমনি পালিয়ে যায়। তারপরও দুর্জয় রাজমিস্ত্রির এবং টিকটক করে নিজের সংসার চালানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু মেয়েটি ভালো না জেনে খারাপ লাগলো।

সত্য ঘটনা অবলম্বনে আপনি অনেক সুন্দর করে এই গল্পটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে এই গল্পটা সম্পূর্ণ পড়তে। দুর্জয় যদিও আবেগের বসত এক পর্যায়ে মেঘলা কে বিয়ে করে নিয়েছে। কিন্তু তার জীবনে তো দেখছি কষ্টের কোনো শেষ নেই। আসলে সবকিছুর একটা নির্দিষ্ট বয়স থাকে। দুর্জয় যদি নির্দিষ্ট বয়স অনুসারে বিয়ে করতো, ভালো কোনো কাজ করতো তাহলে হয়তো ভালো হতো তাদের সংসারটা।

আসলে এই বয়সের এগুলো মন ভুলানো কিছু আবেগ। আর এই আবেগ যার ভেতরে একবার ঢুকে যায় তার সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। সবকিছুর সময় থাকে তেমনি বিয়ের একটা সময় আছে। দুর্জয় এখন অনেক খারাপ একটা পরিস্থিতির সম্মুখীন। তার একেবারেই উচিত হয়নি এই বয়সে বিয়ে করে সংসার করা। সে নিজের জীবনটাকে চাইলে অনেক সুন্দর ভাবে গোছাতে পারতো। সময় অনুযায়ী সবকিছু করাই ভালো। তার পাগলামির কারণে এখন তার এরকম অবস্থা।

একে বলে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা।অকাল পক্ক ও বলা যায়। অসময়ে যেমন কোনো ফল ভালো হয় না। তেমনি ভাবে সময়ের আগে কোনো কাজ করলেও সেটির জন্য খেসারত দিতে হয়। দূর্জয় এর অবস্থাও তেমন হয়েছে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।