বাইক এক্সিডেন্ট

in hive-129948 •  25 days ago 

আজ - শুক্রবার

০৮, কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
অক্টোবর ২৫, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

🌺 চলুন শুরু করি 🌺

হিন্দু ভাইদের নমস্কার এবং মুসলমান ভাইদের কে সালাম জানিয়ে আজকের নতুন আরেকটি ব্লগ শুরু করতে যাচ্ছি..! আশা করি সবাই শেষ পর্যন্ত পাশে থাকবেন

সবাইকে সুস্বাগতম জানিয়ে আবারো আমি নতুন একটি পোস্ট আজকে শুরু করছি। প্রত্যেকটা মানুষের একটি শখের বয়স থাকে যেমন আমরা ছোটবেলায় টমটম গাড়ি পেলেই খুশি হয়ে যেতাম কিন্তু যখন এই বয়সটা ধীরে ,ধীরে বাড়ছে তখন আমাদের স্বপ্ন পরিবর্তন হচ্ছে। যদি আমার কথাই বলি আমি ছোটবেলায় ইলেকট্রিক খেলাধুলা অনেক বেশি পছন্দ করতাম তারপরে যখন একটু বড় হলাম ঘুড়ি ওড়ানো এবং এটি তৈরি করার উপরে একটি অন্যরকম নেশা কাজ করতে লাগলো যেন সারাদিন এটাই করি এমন মনে হতো। আবার যখন বয়সের তারতম্য ঘটল তখন মোবাইলের প্রতি একটা অন্যরকম সখ কাজ করল মনে হল যে যদি একটা মোবাইল পেয়ে যেতাম তাহলে হয়তোবা জীবনটা সেট হয়ে যেত। আর যখন মোবাইলটা পেয়ে গেলাম তখন বুঝতে পারলাম যে লাইফ এখনো সেট হয়নি লাইফ সেট করার জন্য একটা বাইক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তো এভাবে মানুষের চাওয়া পাওয়া বয়সের সাথে, সাথে পরিবর্তন হতে থাকে। তো আজকে আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে আমাদের এলাকার মধ্যবিত্ত একটি ছেলে আবিরের কথা বলব।

1000003403.jpg

source

সবাইকে সুস্বাগতম জানিয়ে আবারো আমি নতুন একটি পোস্ট আজকে শুরু করছি। প্রত্যেকটা মানুষের একটি শখের বয়স থাকে যেমন আমরা ছোটবেলায় টমটম গাড়ি পেলেই খুশি হয়ে যেতাম কিন্তু যখন এই বয়সটা ধীরে ,ধীরে বাড়ছে তখন আমাদের স্বপ্ন পরিবর্তন হচ্ছে। যদি আমার কথাই বলি আমি ছোটবেলায় ইলেকট্রিক খেলাধুলা অনেক বেশি পছন্দ করতাম তারপরে যখন একটু বড় হলাম ঘুড়ি ওড়ানো এবং এটি তৈরি করার উপরে একটি অন্যরকম নেশা কাজ করতে লাগলো যেন সারাদিন এটাই করি এমন মনে হতো। আবার যখন বয়সের তারতম্য ঘটল তখন মোবাইলের প্রতি একটা অন্যরকম সখ কাজ করল মনে হল যে যদি একটা মোবাইল পেয়ে যেতাম তাহলে হয়তোবা জীবনটা সেট হয়ে যেত। আর যখন মোবাইলটা পেয়ে গেলাম তখন বুঝতে পারলাম যে লাইফ এখনো সেট হয়নি লাইফ সেট করার জন্য একটা বাইক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তো এভাবে মানুষের চাওয়া পাওয়া বয়সের সাথে, সাথে পরিবর্তন হতে থাকে। তো আজকে আমি এই পোষ্টের মাধ্যমে আমাদের এলাকার মধ্যবিত্ত একটি ছেলে আবিরের কথা বলব।

1000003404.webp

source

ছেলেটার নাম আবীর বর্তমানে ও ক্লাস টেনে পড়ে। ওর বাবা একজন সৌদি আরব প্রবাসী মোটামুটি মধ্যবিত্ত পরিবারের থেকে ছেলেটি বিলং করে। তারপরে তার যখন একটা নির্দিষ্ট বয়স এলো তখন বাইকের জন্য বাড়িতে আবতার করলো কিন্তু তার স্বাদ থাকলেও সাধ্য ছিল না তাই অনেক কান্নাকাটি করার পরেও শেষ পর্যন্ত সে বাইকটা পায়নি কিন্তু সে এতে থেমে থাকে নি বিভিন্ন রকম কাজ করতে শুরু করলো তখন বিশেষ করে পাইপ লাইনের কাজ এবং ইলেকট্রনিক কাজ এগুলো করার পরে মোটামুটি একটা ভালো পরিবারের অ্যামাউন্ট জোগাড় করল। এবং পরবর্তীতে যখন সে এক লাখ টাকা মত জোগাড় করে বাসায় এনে দিল তখন বাকি টাকা দিয়ে তার বাবাকে বলল যে আমাকে একটা বাইক কিনে দিতে। আসলে উনারা তার ছেলের এত আগ্রহ এবং কষ্ট দেখে শেষ পর্যন্ত তার শখ টা পূরণ করে দিতে বাধ্য হলো এবং এক পর্যায়ে তারা অ্যাপাচি একটা বাইক তাকে কিনে দিল। তো সে প্রথমে বাইক পেয়ে মহা খুশি মাঝেমধ্যে দেখতাম আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে খুব জোরে বাইক চালিয়ে যেত। সত্যি বলতে অনেকে বলে হচ্ছে বাইক মরণ গাড়ি এটা আমিও বিশ্বাস করি করি।

1000003405.jpg

source

কারণ বাইকটা এমন একটি দুই চাকার গাড়ি যদি গাড়ি কোনভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করে তাহলে জীবন শেষ। বলা যায় একদম স্পট ডেট আর যদি নিজের ভুলবশত বড় কোন যানবাহনের সঙ্গে এক্সিডেন্ট করা যায় সেই ক্ষেত্রেও স্পট ডেট বেশিরভাগই হয়ে যায়। তো ওই জন্য বাইক খুবই সাবধানে আমাদের চালানো উচিত।কিন্তু কেন জানি না ও সব সময় রাফ গাড়ি চালাতো সে গ্রামাঞ্চল থেকে শুরু করে শহর অঞ্চলের সব জায়গায় খুব দ্রুত গাড়ি চালাতো যার কারণে এই দ্রুতগামী গাড়ি চালানোই তার জীবনের কাল হয়ে দাঁড়ালো। একদিন সে মেহেরপুরের ওই সাইডে ঘুরতে গিয়েছিল এবং আসার পথে একটা ট্রাকের সঙ্গে বাইকটি লাগিয়ে দিল এবং তখনই সে বাইক নিয়ে ওখানেই পড়ে গেল এবং বাইকটা ট্রাকের চাকা নিচে পড়ল এবং মুহূর্তের মধ্যে বাইক তছনছ হয়ে গেল। কিন্তু সৌভাগ্যবশত সে চাকার তলে পড়ি নাই কিন্তু ছেঁচড়ানোর কারণে তার মুখমাথা এবং হাতে প্রচুর পরিমাণে আঘাত পেয়েছিল। বিশেষ করে কপাল এবং মাথায় সবচেয়ে বেশি আঘাত পেয়েছিল কারণ সে হেলমেট ব্যবহার করতো না। তো হঠাৎ যখন এক্সিডেন্ট হয়ে গেল তখন আশেপাশের লোক কোনভাবে ওর বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করল।

এবং তখন ওই তাকে নিকটতম হসপিটালে ভর্তি করিয়ে দেয়া হলো কিন্তু এই সাধারণ হসপিটালে তাকে ভোট দিলো না কারণ তার অবস্থা খুবই সিরিয়াস হয়ে গিয়েছিল। তারপর পরবর্তী তাকে রাজশাহীতে শিফট করা হলো এবং মোটামুটি দুইদিন পরে তার জ্ঞান ফিরলো। তবে সত্যি বলতে সারা জীবনের জন্য ছেলেটাও একেবারেই অক্ষম হয়ে গেল কারণ তার মুখের দাঁত ভেঙে গেছে হাত ভেঙে গেছে এবং পায়ে অনেক বড় আঘাত পেয়েছে। বিশেষ করে পায়ের যেই হার রয়েছে ওটা ভেঙে গেছে। তো এখান থেকেই তার জীবনের কষ্টের সূত্রপাত শুরু হলো এখন হয়তো বা বয়স কম রক্তের অনেক তেজ হয়েছে তাই তেমন একটা বেশি কষ্ট হবে না কিন্তু যখন রক্তের তেজ কমতে থাকবে তখন এই ক্ষতস্থানগুলো তাকে প্রচুর পরিমাণে কষ্ট দিবে আর বলা যায় যে তার ভবিষ্যৎটাও অনিশ্চিত থেকে গেল। আমার কাছে ছেলেটি ছবি রয়েছে তবে স্টিমিটের বিভিন্ন রকম কমিউনিটি গাইড লাইনের জন্য আমি এটা এখন এখানে পাবলিশ করতে চাচ্ছি না। তো এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিত যে অবশ্যই আমরা বাইক সাবধানে চালাবো এবং সময় এর চেয়ে নিজের জীবনের মূল্যটা অনেক বেশি এটা সবসময় মাথায় রাখবো তাহলে হয়তো বা অনেক দুর্ঘটনা থেকে আমরা রেহাই পাব।

যাই হোক ধন্যবাদ আপনাদের সবাইকে এতক্ষণ পাশে থেকে ব্লগটি উপভোগ করার জন্য আবারো খুব শিগগিরি দেখা হবে নতুন কোন পোস্টে ততক্ষণ সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন এবং সাবধানে থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png


💯⚜2️⃣0️⃣2️⃣4️⃣ This is a manual curation from the @tipu Curation Project

@tipu curate

আপনি খুব বেদনাদায়ক একটি পোস্ট লিখলেন। কিন্তু এই পোষ্টের মাধ্যমে সকলকে একটা সাবধান বার্তাও পৌঁছে দিলেন। আমি দীর্ঘ পাঁচ বছর বাইক চালাই। বহুবার পড়ে গেছি। এখন অনেক সাবধানে চালাই। আসলে বাইক এমন একটি দুই চাকার যান, যা একটু অসাবধান হলেই অনেক বিপদ ডেকে আনে। সেই ছেলেটার জন্য খারাপ লাগছে। এভাবে দুর্ঘটনাগ্রস্ত হলে জীবন বিবর্ণ হয়ে যায়। পরিবারের মানুষগুলো দিশাহারা হয়ে ওঠে। তাই আমিও সকলকে আবেদন জানাচ্ছি সাবধানে বাইক চালানোর জন্য।

  ·  25 days ago (edited)

জি ভাই পোস্টটা একটু দুঃখের ছিল ধন্যবাদ দেখার জন্য।