DIY:- || বিলুপ্তপ্রায় মৃৎশিল্প তৈরি \\ পর্ব :-২ || ১০% @shy-fox এর জন্য

in hive-129948 •  3 years ago 

IMG_20211118_135919.jpg

আমার বাংলা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম


• মৃৎশিল্প বা মাটি তৈরি জিনিসপত্র আমাদের ঐতিহ্য যা এখন কালের বিবর্তনে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। অতীতে এমন একটা সময় ছিল যখন কুমোর পাড়াতে প্রতিদিন নিত্যনতুন মাটির জিনিসপত্র তৈরি হতো যার মধ্যে থাকতো ছোট মেয়েদের খেলনা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন রকম আসবাবপত্র এছাড়াও সৃষ্টিশীল কিছু আবিষ্কার । যা দেখতে অসাধারণ লাগত। যেহেতু বাংলাদেশ থেকে এইসব শিল্প দিনদিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে তাই আমি ভাবলাম এই শিল্প নিয়ে প্রতিদিন প্র্যাকটিস করা যায়। অর্থাৎ এই শিল্পকে আমি আপনাদের মাঝে আবার নতুন করে উপস্থাপন করতে চাই । এইজন্য আমি একটা সিরিজ চালু করেছি আজকে তার ধারাবাহিকতায় দ্বিতীয় পর্ব চুলা এবং কড়াই তৈরি করার প্রসেস পাবলিশ করছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে ।

# আজকের বস্তুটি তৈরি করতে প্রয়োজনীয় উপাদান

উপাদানপরিমাণ
বালিকাদাপ্রয়োজন মতো

চুলা তৈরির প্রসেস

⬇️ ধাপ :-১ ↙️


IMG_20211118_120859.jpg

প্রথমে বালিগাদা ভালো করে সেনে নিতে হবে । তারপরে হাতের তালু দ্বারা গোল আকৃতির করে নিতে হবে যেমনটা ছবিতে দেখানো হয়েছে।

⬇️ ধাপ :-২ ↙️


IMG_20211118_120950_Burst02.jpg

এবার অনেকটা হাঁড়ির মত গোল আকৃতি করে নিতে হবে। এবং হাতের আংগুল দ্বারা ভিতরে গোল করে গহবর করতে হবে।

⬇️ ধাপ :-৩ ↙️


IMG_20211118_121146.jpg

এবার হাতের তালু দ্বারা পুনরায় ছোট, ছোট করে কিছু পরিমাণ কাদা গোল আকৃতির করে নিতে হবে।

⬇️ ধাপ :-৪ ↙️


IMG_20211118_121429.jpg

এবার কাদা গুলোকে ধারির উপরে বসাতে হবে অনেকটা
চিন আকৃতিরর মত করে।

⬇️ ধাপ :-৫ ↙️


IMG_20211118_123053.jpg

এবার আঙ্গুলের মাধ্যমে ঝিক‌গুলোকে খাড়া করে নিতে হবে।

⬇️ ধাপ :-৬ ↙️


IMG_20211118_131312.jpg

এবার ভাল করে হাতের আঙ্গুলের মাধ্যমে নেপে নিলে তৈরি হয়ে যাবে চুলা

কড়াই তৈরির প্রসেস

⬇️ ধাপ :-১ ↙️


IMG_20211118_133103.jpg

কড়াই তৈরি করার জন্য পুনরায় আবার কাদা গুলোকে গোল আকৃতির করে নিতে হবে

⬇️ ধাপ :-২ ↙️


IMG_20211118_133638.jpg

এবার বাটি আকৃতির করে নিতে হবে

⬇️ ধাপ :-৩ ↙️


IMG_20211118_134530.jpg

এবার মাঝখানে সামান্য পরিমাণ আলতো করে ঘপ্পো করে নিতে হবে।

⬇️ ধাপ :-৪ ↙️


IMG_20211118_135042.jpg

অবশেষে তৈরি হয়ে গেল মাটির তৈরি কড়াই
image.png

IMG_20211118_135914.jpg

  • এই বিলুপ্তপ্রায় মৃৎশিল্প গুলো আপনারা বাড়িতে প্র্যাকটিস করতে পারেন । আমি আশা করি আপনাদের পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যাবে এবং অনেক আনন্দ পাবেন।

🫂ধন্যবাদ!!!🤵


ফটোগ্রাফার@emonv
ফটোগ্রাফি ডিভাইসVIVO Y12 A

image.png

[[🔉‌‌প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩‍💻"ইমন ব্লগ"👩‍💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।

image.png

image.png

qjrE4yyfw5pEPvDbJDzhdNXM7mjt1tbr2kM3X28F6SraZjhKfwarvyppgw9vqb9HZvwjHzdVYbXjNSwmxX8BvQtkJibkzjkMfqSg4GHwc6sRTpcDcvAvyxra.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অসাধারণ প্রতিভা আপনার ভাইয়া। সত্যি আপনার এই কাদা মাটির চুলা এবং কড়াই দুটোই অনেক সুন্দর হয়েছে। আসলে আমি কিন্তু এটা বানাতে পারি না কিন্তু আপনার তৈরি করার ধাপগুলো দেখলাম এখন মনে হয় চেষ্টা করলে পারব।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই অনেক সুন্দর মতামত করেছেন।

ভাই আপনার মাটি দিয়ে তৈরি চুলায় কড়াই টি অনেক সুন্দর হয়েছে। আগের কার মানুষ এইসব জিনিসের ব্যবহার করত। কালের বিবর্তনে আজ সব হারিয়ে গেছে তবুও কিছু জায়গায় সব দেখা যায়।

ধন্যবাদ ভাই আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য

ওয়াও অসাধারন। বিলুপ্তপ্রায় মৃৎ শিল্পের ঐতিহ্য বহন করেছেন আপনি। খুবই সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর আকর্ষণীয় লাগছে। আপনার হাতের কাজ দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। ছোটবেলায় এরকম অনেক হাড়ি পাতিল তৈরি করতাম। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

অনেক সুন্দর একটি কমেন্ট করেছেন ধন্যবাদ

মাটি দিয়ে খুবই সুন্দর করে আপনি চুলা এবং কড়াি তৈরি করেছেন। এটি প্রাচীন ইতিহাসকে স্মরণ করিয়ে দেয়। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

ধন্যবাদ ভাই একটি গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য

সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোষ্ট লিখেছেন ভাই। আসলেই মৃৎশিল্প গুলো দিনদিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত এগুলোর ব্যবহার বাড়িয়ে দেয়া। আর আপনার মাটির কাজের বেস্ট দক্ষতা রয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে।

অসংখ্য ধন্যবাদ, ভালো কিছু করার ট্রাই করছি

বা দেখে বেশ আশ্চর্য হলাম। মাটি দিয়ে এত সুন্দর মৃৎশিল্প তৈরি করেছেন। আর আপনি প্রতিটি ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ।

ধন্যবাদ ভাই আপনাকে একটি গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য

মৃৎশিল্প গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। মৃৎশিল্প এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে, মৃৎশিল্প নিয়ে লেখা আপনার একটি ব্যতিক্রম পোস্ট। অনেকদিন পর এমন একটি পোস্ট দেখতে পেলাম । মনের মধ্যে অন্যরকম একটা আনন্দ বিরাজ করছে। ছোটবেলায় দেখতাম প্রতিটি বাড়িতে এমন একটি করে উনুন থাকতো। আর সেখানে মায়েরা রান্না করতো। মনে হচ্ছিল অল্প সময়ের জন্য শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি স্মৃতি মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য

মাটির চুলা ও কড়াইটি অসাধারণ হয়েছে।মনে হচ্ছে কোনো পাকা হাতের কুমোরের তৈরি করা মৃৎশিল্প।মৃৎশিল্প প্রায় বিলুপ্তির পথে, তবে মাটির চুলা এখনো গ্রামাঞ্চলে দেখা যায় প্রত্যেক ঘরে ঘরে।সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ ভাইয়া।

গ্রিন দিদি অনেক সুন্দর মতামত মতামত দেন , আজকের মতামত অনেক ইউনিক ছিল।

আপনার মৃত শিল্পের প্রতি একটা আকর্ষন আছে সেটা আপনার কাজ দেখেই বোঝা যায়। আপনার হাতের কাজ দারুন । সুন্দর ভবে তৈরী করেছেন জিনিস গুলো। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মৃত শিল্পের কাজে অনুপ্রানিত করার জন্য।

অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই একটি গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য

ভাইয়া সত্যি অনেক সুন্দর একটা পোস্ট করেছেন আজকে। সত্যি মৃৎশিল্প আর চোখেই দেখা যায় না। অনেক সুন্দর বানিয়েছেন ভাইয়া একটা চুলা ও কড়াই। এটা দেখে সত্যিই আমি মুগ্ধ হলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার কাঙ্ক্ষিত মতামতের জন্য

আজকের বিষয় বস্তু টা খুব ভালো লাগলো। একটা সময় আমাদের মা ঠাকুমারা বাড়িতেই এমন চুলা বানাতেন রান্নার জন্য। কালের বিবর্তনে আজ হারাতে বসেছি এসব ঐতিহ্য। তবে এখনো গ্রামে কিছু কিছু বাড়িতে দেখা যায় মাটির চুলা , পাতিল।

সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো যেটা , আপনি নিজের হাতে একদম দক্ষ ভাবে পুরো কাজ টা তৈরি করে দেখিয়ে দিলেন ।

আপনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ