আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ।
• আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন এবং সুস্থ আছেন আজকের পোস্টের শুরুতেই আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমার বাংলা ব্লগ এর প্রতিষ্ঠা @rme স্যার এবং তাদের সকল টিম দের যাদের অক্লান্ত এবং কঠোর পরিশ্রমের ফলে আজকে আমি আমার বাংলা ব্লগের এত সুন্দর একটা কমিউনিটি তে পোস্ট করতে পারছি এবং সব থেকে গর্বের বিষয় এটা হচ্ছে যে আমি নিজের মাতৃভাষায় বাংলাতে পোস্ট করতে পারছে সে জন্য আমি গর্ববোধ করি এবং তাদেরকে শুভেচ্ছা জানাই।
হারিকেন এর ব্যবহার
• যখনই সন্ধ্যা হত তখনই আম্মু হারিকেনের ব্যবহার করত। সন্ধ্যাবেলায় রাতের রান্না করতেন আম্মু তখন আমাদের হেঁসেলে অর্থাৎ যেখানে রান্না করে সেখানে হারিকেনের ব্যবহার হতো। এছাড়াও আমি নিজেও হারিকেন দিয়ে পড়াশোনা করেছি। তখন হারিকেনের ব্যবহার বেশি ছিল কারণ বর্তমানে ইলেকট্রনিক সাপ্লাইয়ের অনেক বেড়ে গেছে কিন্তু বিগত 10 বছর আগে গ্রাম অঞ্চলের লোডশেডিং হত দেখা যাচ্ছে তিন থেকে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকতো।
• হারিকেন আবিষ্কার ছিল মানুষের জন্য অগ্রগতির একটি মাধ্যম। হারিকেনের মাধ্যমে মানুষ রাতে চলাফেরা করতে পারত ।আমার দাদুরা গল্প করেন যে যখন বাংলাদেশের ঘোড়ার গাড়ি এবং গরুর গাড়িতে মানুষ চলাফেরা করতেন তখন নাকি বাঘের অনেক উৎপাত ছিল বাঘ মানুষকে খেয়ে ফেলত কিন্তু যদি হাতে হারিকেন থাকত অর্থাৎ আগুন যদি থাকতো তাহলে বাগ মানুষের পাশে আসতো না।
• বিগত পাঁচ বছর আগের কথা যদি আমরা চিন্তা করি তাহলে দেখবো যে বেশিরভাগ মানুষের কাছে টচ লাইট ছিলো না এবং যাদের কাছে ছিল সেগুলো ছিল রিচার্জেবল নয় । অর্থাৎ সেই লাইট গুলোতে বিদ্যুৎ দিয়ে চার্জ করার কোন ব্যবস্থা ছিলনা সুতরাং যদি একবার চার্জ ফুরিয়ে যেত তাহলে আবার নতুন করে ব্যাটারি কিনে ব্যবহার করত। তাই তারা জরুরী কাজ ছাড়া লাইট ব্যবহার করতেন না তারা।
• বর্তমান যুগ টেকনোলজির যুগ। এখন সকলের হাতে লাইট থাকে কিন্তু এখন টেকনোলজি আরো উন্নতি হওয়ায় বিদ্যুতের সাপ্লাই অনেক বেড়ে যাওয়ায় তেমন একটা লোডশেডিং এর ঝামেলায় পড়তে হয় না ।আবার টেকনোলজির দৌলতে আমরা এখন স্মার্টফোন ব্যবহার করি যেখানে ফ্লাশ দেওয়া থাকে যার মাধ্যমে আমরা ছবি তোলা থেকে শুরু করে রাতে পথ চলা কাজে ব্যবহার করতে পারি।
সবার জন্য শুভকামনা রইল
আশা করি আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে আপনার এবং পোস্টে কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে আশা করছি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন
অনুবাদে
@emonv