🥰আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকল সদস্যেরা🥰
আমি বাংলাদেশ থেকে @emonv
আজ শুক্রবার , সেপ্টেম্বর ০৩/২০২২
আসসালামুয়ালিকুম প্রিয় বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি মহান আল্লাহ তাআলার অশেষ রহমতে আপনারা সবাই সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন আমি অনেক ভালো আছি । আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন আরো একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার এই পোস্টের মাধ্যমে অপেক্ষা নিয়ে কিছু কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব আসলে এই কথাগুলো আমার বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া হয়েছে এবং আমার কিছু ব্যক্তিগত মতামত এবং ছোট কিছু আলোচনা এই পোস্টের মধ্যে থাকবে। আসলে অপেক্ষা শব্দটি আমাদের প্রতিটি মানুষের জীবনের সঙ্গে জড়িত এবং এই শব্দটি আমার জীবনে আসলে অনেক প্রভাব ফেলেছে। আসলে ধৈর্য এবং অপেক্ষা এই দুটি একটির সঙ্গে অপরটি খুবই সুন্দরভাবে জড়িত রয়েছে অতএব যদি অপেক্ষা নিয়ে কথা বলতে হয় তাহলে এর সাথে ধৈর্য শব্দটিও উঠে আসবে যাই হোক আমি আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে এবং আমার জীবনের কিছু অভিজ্ঞতা থেকে আপনাদের মাঝে কথাগুলো শেয়ার করছি আশা করছি আপনাদের সবার অনেক ভালো লাগবে তবে চলুন শুরু করি।
image sourcehere
পোষ্টের প্রথমে আমি বলে রাখি আমার তেমন একটা ধৈর্য নেই, এটি বলা যেতে পারে আমার ছোটখাটো একটি প্রবলেম তবে এটি আমি প্রতিনিয়ত উপলব্ধি করার চেষ্টা করি এবং এর মাত্রা দিন ,দিন আরো বাড়াতে পারি সেই চেষ্টাও করি কেননা এটি আমাদের জীবনের সঙ্গে আসলেই অনেক ভাবে জড়িত এবং একজন মানুষকে তার কাজ এবং তার স্বপ্ন সম্পূর্ণ এবং পূরণ করতে এই ধৈর্য অনেক বড় একটি ভূমিকা রাখে। ধৈর্য এবং অপেক্ষার বিষয়টি আমি তখন উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম যখন আমার জীবনের প্রথম আমি স্মার্টফোন কিনতে গিয়েছিলাম। আমি যখন প্রথম স্মার্ট ফোন কিনতে গিয়েছিলাম সেদিন ছিল শনিবার সেদিন বলা যেতে পারে আমার জীবনের অনেক খুশির একটা দিন, কেননা সেদিন আমি প্রথম স্মার্টফোন হাতে পেয়েছিলাম।
তো যখন গাড়িতে যাচ্ছি এবং বাইরে থেকে ফির ফিরে করে বাতাস এসে গায়ে লাগতেছে তখন আসলে মনটা প্রফুল্ল হয়ে উঠছিল এবং মনের ভিতরে যেন একটা অজানা আনন্দ কাজ করছিল যাই হোক এভাবে অনেকক্ষণ যাওয়ার পরে আমি আমার নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে গেলাম তখন একটি কম্পিউটার রুমে আমার বড় ভাইয়ের জন্য বসে রয়েছি। এখানে বড় ভাইয়ের জন্য বসে থাকার একটি মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে আমার বয়স তখন হয়তো বা ১৪ বছর থেকে ১৫ বছর হবে তখন আমি মোবাইল সম্পর্কে তেমন একটা অজ্ঞ ছিলাম না বিশেষ করে এটা জানতাম না যে মোবাইলের কোন প্রসেসর নিলে ভালো হবে এছাড়াও কত জিবি র্যাম নিলে মোবাইলটি ভাল চলবে এই বিষয়গুলো তখন আমি কিছুই জানতাম না তো এই বিষয়ে সম্পর্কে আমার বড় ভাই অনেক ভালো জানতেন।
image sourcehere
এদিকে আমার বড় ভাই তার কাজের উদ্দেশ্যে কোন একটা নির্দিষ্ট গন্তব্যের রওনা দিয়েছিলেন এবং সেখান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন আমাদের এলাকাটি বলা যায় গ্রাম তবে শহরের বেসিক সুযোগ-সুবিধা গুলো এখানে পাওয়া যায় তবে যদি উন্নত কোন সেবা নিতে হয় তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে শহরে যেতে হয়। তো ভাইয়া তার কাজের জন্য শহর থেকে আসছিলেন এবং তখন আমি ভাইয়ির সাথে যোগাযোগ করি এবং তিনি বললেন যে আমি আসতেছি তুমি যেহেতু ফোন ক্রয় করবা তো তুমি বাজারে চলে আসো তারপরে আমি এসে একসঙ্গে গিয়ে ফোন কিনে নিব। এবার আমি ভাইয়ার কথা অনুযায়ী বসে রয়েছি একটি রুমে তো প্রায় দুই ঘন্টা কেটে যায় তবুও ভাইয়া আসতে দেরি করে এর মূল কারণ হলো সেদিন মোটামুটি আকাশে অনেক মেঘ হয়েছিল বৃষ্টি হতে হতে এক সময় মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছিল তাই অনেকটা দেরি হয়ে গেছিল।
তো আমার জীবনে যেহেতু এটি প্রথম স্মার্ট ফোন ছিল তাই আমি একটু বেশি আগ্রহী ছিলাম তারপরে ভাইয়া প্রায় তিন ঘন্টা পরে আমার কাছে এসে পৌঁছালো এবং তখন ভাইয়ের সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয় এবং
দীর্ঘ অপেক্ষার পরে ভাইয়ের সঙ্গে গিয়ে মোবাইলের শোরুমে যাই এবং সেখান থেকে পছন্দের মোবাইল গুলো দেখতে থাকি তবে একপর্যায়ে আমার একটি ফোন অনেক পছন্দ হয়ে যায় ফোনটি এখন তেমন একটা পাওয়া যায় না ফোনটির নাম ছিল পিচ অর্থাৎ শান্তি। তো ফোনটি মোটামুটি ভালোই চলত কিন্তু কয়েক বছর পরে বুঝতে পারলাম ফোনির প্রসেসর তেমন একটা ভালো না যার ফলে মাঝেমধ্যে ফোনটি হ্যাং করতো। তবুও অনেক ভালো লাগতো তখন হাতে গোনা কিছু মানুষের ফোন ছিল এবং তখন স্যামসাং ফোন অনেক পপুলার ছিল, তো যাই হোক সেদিন আমি বুঝেছিলাম অপেক্ষা করা আসলেই অনেক কষ্টের একটি বিষয় এটি সবার দ্বারা সম্ভব না ।
- ১০% বেনিফিসার প্রিয় @shy-fox কে দেওয়া হয়েছে।
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অপেক্ষা করতে ধৈর্য্য ধরতে সবাই পারে না এটা ঠিক বলেছেন এটা অনেক কঠিন একটি কাজ। এবং ঠিকই বলেছেন ভাই প্রথমবার স্মার্টফোন হাতে পাওয়ার অনূভুতি টা আলাদা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনার মত আমারও ধৈর্য খুবই কম । ধৈর্যশক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করছি। আসলে আপনি মোবাইল কিনতে গিয়েছিলেন দেখে ৩ ঘন্টা অপেক্ষা খুব একটা খারাপ লাগে মনে হয়। তা না হলে তিন ঘন্টা কারো জন্য অপেক্ষা করা আসলেই খুবই কষ্টকর। যাইহোক অনেক সময় অপেক্ষা করার পর আপনার মোবাইলটি পেয়েছেন এজন্য আসলেই মনে হয় অনেক খুশি হয়েছিলেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit