যানজটের অর্থনৈতিক এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যার প্রেক্ষাপট। ||Context of economic and health problems of traffic congestion.

যানজটের অর্থনৈতিক এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যার প্রেক্ষাপট

_{^{সংগ্রহশালা}}

শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ পরিবার, সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আজকের পোস্ট। আমি বলবো না ভালো আছি আর আমি এটাও জানি আপনি আপনার অবস্থান থেকে জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এমন এক দেশে বাস করি যেখানে পরিস্থিতি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হতে থাকে আর এই বিরূপ পরিস্থিতি আমাদের মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করতে হয়।

আমাদের দেশের অনেকগুলো সমস্যার মধ্যে যানজট একটি প্রধান সমস্যা। এই সমস্যায় শুধুমাত্র হাত পা গুটিয়ে রাস্তার দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। মাঝে মাঝে তো জ্যামের মধ্যে এম্বুলেন্সে রোগী মারা যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটে চলছে, তাহলে একবার ভেবে দেখুন আমাদের অসহায়ত্ব কোন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে।

আমাদের প্রিয় দাদা কিছুদিন আগে বাংলাদেশ সফরে এসে পুরো পরিস্থিতি দেখে বলেছিলেন ঢাকা শহর বসবাসের অযোগ্য একটি শহর। এটা একদমই বাস্তব কথা, আমরা প্রতিনিয়তই এই করুন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে জীবন যাপন করছি। তবে একটা কথা আমি বিশ্বাস করি আসলে মানুষ একমাত্র বিপদে পরে এই বসবাসের অযোগ্য শহরে নিজের অবস্থান জানান দিচ্ছে।

এবার আসি ভিন্ন প্রসঙ্গে, আমি যখন পোস্টটি লিখছি তখন নিজেও তীব্র যানজটে আটকে রয়েছি এবং মনে মনে প্রার্থনা করছি যাতে সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে পারি। আজকে রাস্তার পরিস্থিতি এতটাই খারাপ বলে বোঝাতে পারবো না। আমার কাছে মনে হচ্ছে আমি যদি হেঁটে রওনা দেই তাহলে হয়তো আগে পৌঁছাতে পারবো। একটা জরিপে দেখা গেছে ঢাকা শহরে গড়ে গাড়ির গতি মাত্র চার কিলোমিটার অথচ আমরা সাধারণ মানুষ যদি হাঁটি তাহলে আমাদের গতি হচ্ছে পাঁচ কিলোমিটার।

আমাদের দেশে হাজার হাজার কর্ম ঘন্টা নষ্ট হয় এই যানজটের কারণে এটা অর্থনীতির উপর অনেক খারাপ একটা প্রভাব ফেলে, তবুও এই যানজট নিরসনে নেই কোন সুষ্ঠু পদক্ষেপ। আমি মানছি আগের থেকে রাস্তা এবং ফ্লাইওভার বেড়েছে কিন্তু নিয়ম কানুন কয়জন মানুষ মানে? বিশেষ করে ঢাকা শহরে ব্যাক্তিগত গাড়ির সংখ্যা এতটাই বেড়েছে মাঝে মাঝে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট খুঁজে পাওয়া যায় না। আরো রয়েছে ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা, সবমিলিয়ে ভীষণ খারাপ একটা পরিস্থিতি।

এবার কথা বলি স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলো নিয়ে, আমরা যখন জ্যামে বসে থাকি তখন অসংখ্য গাড়ি আশেপাশে কালো ধোঁয়া নির্গত করতে থাকে। এর ফলস্বরূপ আমাদের ফুসফুস বিভিন্ন ক্ষতিকর বায়ু উপাদান দ্বারা আক্রান্ত হতে থাকে। দীর্ঘদিন এভাবে চললে ফুসফুসের জটিল সমস্যা দেখা দেয়। আরো একটা ব্যাপার খেয়াল করবেন, জ্যামের কারণে অনেকেই অনবরত গাড়ির হর্ন বাজাতে থাকে। এই হর্ন বাজানোর ফলে শব্দ দূষণ বাড়তে থাকে, এতে মানুষের শ্রবন শক্তি কমতে থাকে। আরো রয়েছে মানসিক সমস্যা, মানুষ জ্যামে বসে থাকলে তীব্র মানসিক বিষণ্নতায় ভোগে যা তার শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।

আর কিছু কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত কষ্টদায়ক ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটতে থাকে, যেমন গাড়িতে অসুস্থ রোগী পরিবহনের সময় মারা যায় সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছাতে না পেরে। এই হলো আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি যা প্রতিনিয়ত সামলিয়ে আমরা জীবন পরিচালনা করছি। হয়তো কোন একদিন পরিস্থিতি ভালো হবে তবে আমার মনে হয় দেখে যেতে পারবো না। দোয়া একটাই ভবিষ্যত প্রজন্ম যেন এই খারাপ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পায়।

---

---

---

আমাদের উইটনেসকে সাপোর্ট করুন

https://steemitwallet.com/~witnesses

---

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

_{Posted using SteemPro Mobile}