আমার বাসায় একজন খুদে বিজ্ঞানী রয়েছে 😄
তিনি যেনো তেনো মানুষ নন, রিতিমত সব বিষয়ে সমান দক্ষতা সম্পন্ন। না ব্যাপারটা আবার অন্যদিকে নেবেন না।
আপনারা জানেন জন্মের পরপরই ছেলেটা ভীষণ অসুস্থ ছিল, উপর ওয়ালার ইচ্ছায় সে এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। তবে পুরোপুরি সুস্থ বলাটা আবার ঠিক না কারন মাঝে মাঝেই চিকিৎসকের শরনাপন্ন হতে হয়। যাইহোক ইদানিং তিনি ভীষণ দুষ্টুমি করে, মানে একেবারে যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তিনি যতক্ষণ ঘুমিয়ে থাকেন ঘর ততক্ষন ঠাণ্ডা কিন্তু ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই শুরু হয় বিভিন্ন ধরনের গবেষণা। গবেষণা আবার যেরকম সেরকম না, একদম ভাংচুর চলে মাঝে মাঝে যদি মেজাজ বিগড়ে যায়।
ইদানিং আমি বেশ ব্যাস্ত থাকায় আমায় তেমন জ্বালাতন করতে পারেনা, তবে যখন বাসায় ফিরি তাদের মা ছেলের বিচার শালিস করতে করতেই আমার অনেক সময় লেগে যায় 😄
যাইহোক সেদিন আমি দুপুরের দিকে বাসায় ছিলাম, আমার স্ত্রী ঘুমিয়েছে আর আমি কিছুক্ষণের জন্য ছাদে গিয়েছিলাম। আর এসে দেখি রিতীমত সবকিছু এলোমেলো আর বিশাল গবেষণা চলছে। ড্রেসিং টেবিলের ভেতরের কাপড় চোপড় আর ড্রয়ারে যতরকম জিনিসপত্র ছিল সব নিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছে।
সবথেকে মজার ব্যাপার হলো বড় একটা চশমা পরেছিল আর সারা মুখে পাউডার লাগিয়ে কি একটা অবস্থা। তাকে দেখে আমার ভীষণ ভালো লাগছিলো, তাই কিচ্ছু বললাম না। আমি বেশ কিছুটা সময় নিয়ে তার কর্মকাণ্ড উপভোগ করছিলাম। তখন একটা ব্যাপার উপলব্ধি করলাম সে বিভিন্ন জিনিস ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখছে আর বোঝার চেষ্টা করছে, আসলে কোনটার কাজ কি।
ইয়ানের আরো একটা ব্যাপার সবথেকে বেশি ভালো লাগে তা হলো আমাকে ফলো করা। সে প্রতিনিয়ত আমার কাজগুলো দেখে করার চেষ্টা করে। যাইহোক আমি বেশ কিছুটা সময় নিয়ে খুদে বিজ্ঞানীর ধ্বংসযজ্ঞ দেখলাম, তবে আজ কিছুই বললাম না। কারন আমি সত্যিই চাই আমার সন্তান সবকিছু বোঝার চেষ্টা করুক এবং জ্ঞানী অর্জন করুক। যাইহোক আমি ধীরে ধীরে সবকিছু গুছিয়ে নিলাম এবং আমার স্ত্রীকে বুঝতে দিলাম না। এরপর দুই বাপ বেটা ছাদের উপর বেশ কিছু সময় হৈচৈ করেছিলাম। সবমিলিয়ে খুদে বিজ্ঞানীর সাথে দারুন সময় কাটালাম, ভাবলাম আপনাদের সাথে অনুভূতিটা শেয়ার করি। যাইহোক আমাদের এই ছোট্ট খুদে বিজ্ঞানীর জন্য দোয়া করবেন।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
পুশ প্রমোশন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
দোয়া করি ভাইয়া ক্ষুদে বিজ্ঞানী এক দিন এক বড় বিজ্ঞানী হবে। আসলে ভাইয়া বাচ্চারা যা দেখে তাই অনুসরণ করে। তবে এদের সামলানো মুশকিল। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু, দোয়া করবেন ইয়ানের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমাদের খুদে বিজ্ঞানীকে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি তো ছোট বেলায় বেশ কিছু জিনিসের উপরে গবেষণা চালিয়েছিলেন। এখন যদি ইয়ান বাবু এসব না করে তাহলে হবে। ইয়ান বাবুর এধরনের কাজ গুলো দেখে আমার কাছে ও ভীষণ ভালো লাগলো। দোয়া রইল এভাবেই এগিয়ে যাক এই কামনাই করি। আপনার পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ লিমন।
ও ঠিক আমার মতো সবকিছু করার চেষ্টা করে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit