গ্রাম ভ্রমণ পর্ব-২
গতরাতে কাকিমার হাতে গরম গরম পিঠা খেয়েছিলাম। পিঠাগুলো এতোটাই তৃপ্তি সহকারে খেয়েছিলাম সেটা হয়তো বলে বোঝাতে পারবোনা। এরপর দেশি মুরগির মাংসের তরকারি এবং পুকুরের মাছের ঝোলের তরকারি খেয়ে বেশ তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছিলাম। খেয়েদেয়ে যখন শুতে গেলাম সত্যি অসম্ভব রকম ঠান্ডা লাগছিল আসলে এবার গ্রামের দিকটাতে বেশ শীত পড়েছে।
যাই হোক সকাল সকাল উঠে ফ্রেশ হয়ে হালকা নাস্তা খেয়ে বেরিয়ে পড়লাম গ্রাম দেখার উদ্দেশ্যে আসলে গ্রামীণ প্রকৃতি সবসময়ই আমার মন ছুয়ে যায় তাইতো চেষ্টা করি একটু সুযোগ পেলেই প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে। আসলে ব্যাপারটা শুধুমাত্র ভালো লাগারই নয় বরং ভেতর থেকে অনুভবের বিষয়।
ঘুরে বেড়িয়েছি সরিষার খেতে আর ফসল শূন্য মাঠে। খুব সম্প্রতি ধান কাটা হয়েছে, আর কিছুদিন আগে এলে হয়তো সোনালী ফসলগুলো দেখতে পেতাম। যাইহোক সরিষার খেত দেখেই তৃপ্তি নিতে হয়েছে।
আমাদের গাছে কলা ধরেছে, তবে আকারে এখনো অনেক ছোট। যখন বড় হবে তখন আমি খেতে পাবো না, কারন সেই সময়টাতে হয়তো শহরের চার দেয়ালের মাঝে বন্দি। আসলে সবকিছু সবার কপালে থাকে না।
বেল আমার ভীষণ ভালো লাগে, তবে ভাগ্য এখানেও খারাপ কারন এগুলোও তেমন বড় হয়নি, খাওয়া যাবেনা এখন। গ্রামে এলে সব সময়ই এমন আফসোস নিয়ে ফিরতে হয়, কারন খুব অল্প সময় নিয়ে আসি আর অনেক কিছু খাওয়া হয় না।
বাড়ির পাশের গরুর বাছুর বাঁধা ছিল, তাকে দেখতে ভালোই দেখাচ্ছে। গ্রামে এই ছবিটি হর হামেশাই দেখা যায়। গরু এবং বাছুর একদমই পরিবারের একজনের মতো পালন করা হয়, ব্যাপারটা সত্যিই অনেক ভালো লাগে।
উঠানের পাশে উন্মুক্তভাবে হাস বিচরণ করছিলো, সত্যিই হাঁসগুলোকে দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। এরকম বেশ কিছু হাস রয়েছে বাড়িতে। দুই কাকা হাস মুরগি পালন করেন। যাইহোক বেশ খানিকটা ঘুরে এসে ক্লান্ত হলাম। এরপর কাকি দুপুরের খাবার পরিবেশন করলেন, বেশ তৃপ্তি সহকারে খেলাম। এরপর আমাদের ফেরার পালা কারন পরদিন আমার অফিস করতে হবে।
বাড়ি থেকে বের হবার সময় ভীষণ খারাপ লাগছিলো। মানুষগুলো বারবার বলছিলো আর একটা দিন থেকে যাওয়ার জন্য কিন্তু আমি তাদের আমার সমস্যার কথা বলে বের হতে পারলাম। বাড়ির বেশ কিছু ছোট ছোট ছেলে মেয়ে আমাদের বিদায় দিতে এসেছিল। সত্যি বলতে যদি সময় হাতে থাকতো তাহলে আরো কয়েকটা দিন থেকে যেতাম। যাইহোক বিষন্ন মন নিয়ে পা বাড়ালাম শহরের দিকে আর পেছনে ছেড়ে এলাম মুন্সি বাড়ির উঠান 😕
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
পুশ প্রমোশন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/emranhasan1989/status/1873425382910923260?t=UIH-BG9ITp-ebjpIvADWkA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রাম ভ্রমণ পর্ব-২ দেখা হয়ে গেলো। প্রথম পর্ব দেখেছিলাম। কয়েকদিনের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। গ্রামে গেলে শহরে আসতে মন চায়না এজন্য বেশি কিছু বছর থেকে গ্রামে যাই না। আশাকরি খুব তাড়াতাড়ি যাবো ইনশাআল্লাহ। গ্রামীণ পরিবেশে প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার মজাই আলাদা। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একবার গ্রামে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছা করে না লিমন তবু কি করা শহরে তো ফিরতেই হবে।
অনেক ধন্যবাদ তোমাকে চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গ্রাম ভ্রমণ পর্ব-২ পড়ে খুবই ভালো লাগলো ভাই। গ্রামীণ ফটোগ্রাফি গুলো ভীষণ ভালো হয়েছে। তাছাড়া আপনি ছুটিতে এসে গ্রামের বাড়িতে গিয়ে সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর ভ্রমণের অনুভুতি মূলক পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঐ মূহূর্তে খারাপ লাগাটা একেবারে স্বাভাবিক ভাই। কিন্তু সবকিছুই নিয়তি কিছু করার নেই। তবে গ্রামে গিয়ে সময় টা বেশ দারুণ কাটিয়েছেন। বিস্তৃর্ণ মাঠ। গ্রামের গাছপালা এবং অন্যান্য সাধারণ দৃশ্য সবকিছুই যেন প্রশান্তি এনে দেয়। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে পোস্ট টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে প্রতিবারই যখন গ্রামে যাই তখন সেখান থেকে আর ফিরতে ইচ্ছে করে না কেমন যেন ভীষণ মায়া কাজ করে। তবুও আমাদের তো শহরে ফেরা ছাড়া কোন উপায় থাকে না।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit