শয়তানের পূজারী (শেষ পর্ব) |
---|
সময় যত বাড়তে থাকে চারিদিকে চিৎকার আর হাহাকার বাড়তে থাকে। মানুষজন ক্রমেই জন্তু জানোয়ারে পরিণত হতে শুরু করেছে। আর কিম্ভূতকিমাকার প্রকাশ্যে অভিশপ্ত কাসফ্লান শহরের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিমার এক অদ্ভুত আনন্দ লাভ করছে কারন এই মানুষগুলোর জন্য তার মাকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে এবং তাকে জঙ্গলে গিয়ে বসবাস করতে হচ্ছে।
হঠাৎ দূরে একটি বাড়িতে অনেক জোরে কান্নার রোল শোনা যায়। কিমারের বুঝতে বাকি নেই সেখানে কি ঘটেছে। তবুও মনের আনন্দের জন্য সে তাড়াতাড়ি সেখানে ছুটে যায়। সেই বাড়ির জানালার পাশে ছায়া মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকে কিমার। একটি মানুষ জানোয়ারে রুপান্তরিত হয়েছে এবং তার সময় ফুরিয়ে আসছে। তার পরিবারের লোকজন তাকে ঘিরে কান্নাকাটি করছে। হঠাৎ করেই কান্নার রোল আরো বেড়ে গেছে, মানে জানোয়ারে পরিণত হওয়া সেই মানুষটি মারা গেছে। কিম্ভূতকিমাকার নিজের চোখে কোন মানুষকে এভাবে মারা যেতে দেখে এক অদ্ভুত আনন্দ পেয়েছে। সে আরো বেশি খুশি হবে যখন পুরো শহরে একটি মানুষ জীবিত থাকবে না।
কিম্ভূতকিমাকার জানে খুব তাড়াতাড়ি পুরো শহরটাতে ভাইরাস ছড়িয়ে যাবে এবং ধীরে ধীরে সবাই মারা যাবে। সেদিনের মতো সে তার অভিযান এখানেই সমাপ্ত করে তার জঙ্গলে ফিরে যায়। তবে তার পরদিন যখন আবারো বের হয় তখন চারিদিকে শুধুই মৃত্যুর মিছিল দেখতে পায়, এতে সে আরো বেশি খুশি হয় এবং নিজেকে অনেক বড় বিজ্ঞানী ভাবতে শুরু করে। এভাবে যখন তৃতীয় দিন সে কাসফ্লান শহরে মানুষের মৃত্যুর মিছিল দেখতে বের হয় হঠাৎ করেই সে নিজেই আবারো ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পরে।
কিমার বুঝতে পারে পুরো শহর প্রায় খালি হবার পথে কিন্তু সে নিজে আবারো ঐ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে, কারন সে মৃত মানুষগুলোর কাছাকাছি ছিল। তবে এবার তার শরীরের উপসর্গ একদমই আলাদা মনে হতে লাগলো তার। মানে হচ্ছে তার তৈরি করা জীবাণু মানুষের শরীরে আক্রান্ত করে নিজেও অভিযোজন হয়ে নতুন এবং শক্তিশালী ভাইরাসে পরিণত হয়েছে।
কিমার মনে মনে ভাবে তার কাছে তো প্রতিষেধক রয়েছে কিন্তু অদ্ভুতভাবে তার তৈরি প্রতিষেধক নতুন এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে আর কাজ করতে পারছেনা। আর খুব দ্রুত কিমার কাবু হয়ে যায় এবং অদ্ভুত জানোয়ারে পরিণত হয়ে যায়। এরপর ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পরে, তার নিজের ভাইরাস একটা সময় তাকেই শেষ করে দেয়। তবে কাসফ্লান শহরের কিছু মানুষ অদ্ভুতভাবে বেঁচে যায় এবং তারা শহরটাকে আবারো নতুন করে গোছাতে শুরু করে।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/emranhasan1989/status/1867279846944178445?t=Bf7GmauuM-FM-E4FLztbzQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পুশ প্রমোশন
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit