এবং সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা |
---|
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা এরপর শুরু হবে নতুন বছর। প্রথমেই সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই এবং সুখকর হয়ে উঠুক আগামীর দিনগুলো এই কামনা করছি। পুরো বছর কেটেছে প্রাপ্তি, অপ্রাপ্তি, হতাশা, কষ্ট আর ব্যাস্ততার মাঝে।
এ বছরের শুরুটা তেমন ভালো হয়নি, আমার ছেলের অসুস্থতার কারণে বেশ কিছুদিন চাকরির থেকে দূরে ছিটকে যেতে হয়েছিল। আর মাথায় বিশাল কিছু মানসিক এবং আর্থিক চাপ ছিল। এরপর আবার স্টিমের দাম কমতে থাকায় ক্রমশ কোনঠাসা হতে থাকি কারন অনেকটাই এর উপর নির্ভরশীল হয়ে পরি। যাইহোক ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ভীষণ চেষ্টা করতে থাকি এবং পরিকল্পনা সাজাতে থাকি কিন্তু কিছুতেই যেন ভাগ্য সহায় হচ্ছিল না। এদিকে ঋণের বোঝা বাড়ছিল ক্রমশ এবং আমি অনেক বেশি চাপের মধ্যে পরে যাচ্ছিলাম।
তবে সবথেকে বড় বিষয় এই সময়টাতে মানুষ চিনতে শুরু করি। কারন আমি যাদের একসময় উপকার করেছিলাম তারাই আমার থেকে দূরে সরতে শুরু করে। আমি এমন কঠিন কিছু বাস্তবতায় পরেছিলাম, যা আমাকে ভেতর থেকে অনেক বেশি শক্ত করে তুলছিল ক্রমশ। সত্যি বলতে মানুষ আপনাকে টাকার ওজনে দাম কিংবা মূল্যায়ন করবে। আপনার পকেট যত ফাঁকা হতে থাকবে ঠিক ততটাই আপনি সম্মান, আদর আর ভালবাসা হারাতে থাকবেন। আবার পকেট ভারী হবার সাথে সাথে ভালোবাসা, মায়া, মমতা গভীর হতে শুরু করবে। যাইহোক আমার সবকিছুই ধীরে ধীরে কমতে থাকে। সত্যি বলতে একমাত্র আমি আমার নিজেকে ছাড়া আমার পাশে আর কোন ছায়া দেখতে পাচ্ছিলাম না।
জীবনের বেশ কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছে আমি যা আমার আজীবন মনে থাকবে। তাছাড়াও একটানা অনলাইনে কাজ করতে করতে আমার চোখের সমস্যা শুরু হয়েছিল। যাইহোক বলে না একটা কথা রাখে আল্লাহ মারে কে? ঠিক আমার ক্ষেত্রেও তাই হলো যখন কঠিন উত্তাল সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছিলাম তখন এক পরিচিত ইন্জিনিয়ারের মাধ্যমে চাকরির বন্দোবস্ত হলো। প্রথমে বেশ দুশ্চিন্তায় ছিলাম চাকরিটা আদৌ আমি করতে পারবো কিনা। কারন মাঝখানে আমার একটা গ্যাপ ছিল জবের এবং আমার মানসিক অবস্থা একদমই ঠিকঠাক ছিল না। আর আমার কাজ হলো ব্যাংক মেশিনারিজ মেইনটেন্যান্স করা। এটা বেশ জটিল, সুক্ষ এবং ঠান্ডা মাথার কাজ। মূলত মেকানিক্যাল, ইলেকট্রিকেল, ইলেকট্রনিক্স, কম্পিউটার সবকিছু মিলিয়ে আমার কাজ যা একটু ভুল হলেই বিপদ ঘটে যায়।
যাইহোক অফিসের ল্যাবে তিনমাস ট্রেনিং শেষে ভালুকা ময়মনসিংহে আমার পোস্টিং হয়। তবে আমার কাজ নিয়ে ম্যানেজমেন্ট খুশি ছিল। প্রথমে আমি আমার জোনে একা এসেই সবকিছু গুছিয়ে নিতে শুরু করি, তাছাড়াও কাজের মাঝে ডুবে যেতে শুরু করি। হতাশা আর ঘ্লানিকে পরিশ্রমের চাদরে মুড়িয়ে এগিয়ে যেতে থাকি। সকাল আটটায় বের হয়ে রাত দশটায় বাসায় ফিরতাম, এরপর আমার বাংলা ব্লগের কাজগুলো রাতে করতাম। আমি সারাদিন এতো পরিশ্রম করেও একটি দিনের জন্য পোস্ট মিস করিনি, তবে আগের মতো এতো বেশি কমমেন্ট করতে পারছিলাম না। ফলস্বরূপ সুপার একটিভ লিষ্ট থেকে ছিটকে যেতে থাকি, যা আমার জন্য অনেক বেশি কষ্টের। যাইহোক পোস্ট করা আর আপনাদের সাথে কথা বলা আমার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। আর আমার বাংলা ব্লগ অনেকটা রক্তের সাথে মিশে গেছে, তাই বারবার চেষ্টা করেও ছেড়ে দিতে পারছিনা ব্লগিংটা। কয়েকবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি পোস্ট লিখবো না কারন মাঝে মাঝে আমার পোস্টগুলো এখন মূল্যহীন মনে হয়।
যাইহোক অনেক কথা বলে ফেললাম। জানিনা সামনের বছরটা কেমন যাবে কারন কিছু মানুষ চাইলেও সুখের সিড়ি বেয়ে হয়তো উপরে উঠতে পারে না 😄 ভালো থাকার সিড়ি গুলো এতটা কঠিন যা বারবার আমাকে পিছলে নিচে ফেলে দিচ্ছে। তবে আমি আবার নাছোড়বান্দা এবং হাল ছাড়ার পাত্র আমি না। আমি আমার লক্ষ্যে ইনশাআল্লাহ পৌছাবো হয়তো একটু সময় লাগবে।
আগামী বছরটা সবার জন্য সুখের বার্তা নিয়ে আসুক আর অনেক বেশি আনন্দে কাটুক এই কামনা করছি। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1741501790234030358?t=3_hplaBpOQCWE-VOigX37g&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনিকে নতুন বছরের অনেক অনেক শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন, কিন্তু বুঝতে পারছি সময়টা আপনার খুব একটা ভালো যাচ্ছে না,সবকিছু বিবেচনা করে সময়টা একটু কঠিন যাচ্ছে, তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে দোয়া করি যেন আপনার সব বিপদ কেটে যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাই। আশা করি ফেলে আসা দিনের ভাল দিক গুলো সাথে নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো সেই প্রত্যাশা করতেছি। আপনার পরিবারের সবার দিন ভাল কাটুন সেই কামনা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমেই ভাইয়া আপনাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা! আসলে সংসারের দায়িত্ব মেইনটেইন করা অনেক কঠিন। চাকরি থেকে দূরে থাকার পরও আপনি চেষ্টা করে গেছেন। আপনার অবস্থা সম্পর্কে জানি। তবে মানুষ চিনতে পেরেছেন জেনে ভালো লাগলো। এ দুনিয়ায় আপন বলতে আমি ছাড়া আর কেউ নেই! নতুন বছরে আপনি আপনার লক্ষ্যগুলো যেন পূরণ করতে পারেন সেটাই কামনা করছি 🌼
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমে আপনাকে জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আমি একটা কথা বলি মানুষ সম্ভবত জন্মগতভাবে স্বার্থপর। নিজের স্বার্থের জন্য মানুষ অনেক কিছুই ভুলে যায়। মানুষ চেনা বড় কঠিন। কিছু মানুষের আড়ালে কিছু কালো রূপ থাকে যেটা প্রথম দিক দিয়ে দেখা যায় না। স্বার্থ হাসিল হলে সেই রুপটা ভেসে ওঠে। কিন্তু ঐসব মানুষগুলো ভুলে যায় যে আপনাকে পথ দেখিয়েছে সে নতুন পথ সৃষ্টি করতে জানে। কিন্তু যে দেখেছে সে কিন্তু নতুন পথের সৃষ্টিকর্তে পারেনা। পুরনো কে ঝেড়ে ফেলে দেন ভাই নতুনকে আঁকড়ে ধরেন। সত্যের পথে থাকলে অবশ্যই একদিন বিজয় হবে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
প্রথমেই আপনাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আপনার লেখা গুলো পড়ে ভীষণ খারাপ লাগলো। আসলে আমি অনেক কিছু কাছে থেকে দেখেছি আপনি অনেক পরিশ্রম একজন মানুষ এবং ভালো মনের মানুষ। একদমই ঠিক বলেছেন নিজের খারাপ সময় চারপাশের মানুষ গুলো কে ভালো করে চেনা যায়। আশাকরি আপনি ঠিক আপনার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন ইনশাআল্লাহ ❣️। আশাকরি নতুন বছর আপনার ভালো কাটবে। আপনার পুরো পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন সবসময় এই কামনাই করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit