এটাই অপ্রিয় সত্যি কথা |
---|
সবাই তো চেষ্টা করে সবার কাছে প্রিয় ব্যক্তি হতে, কিন্তু কতজন ব্যক্তি সবার কাছে প্রিয় হয়ে ওঠে? সত্যি বলতে আপনি যত চেষ্টাই করুন না কেন, সবার কাছে প্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন না। ধরুন আপনি একটি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন থেকে সততা এবং নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। কেউ আপনার কোন ভুল ত্রুটি খুঁজে পাচ্ছে না। কিন্তু তবুও একটু ভালোভাবে খেয়াল করলে দেখবেন, কিছু মানুষ আপনাকে অপছন্দ করছে। খোঁজখবর নিয়ে দেখুন কোন না কোন ভাবে সেই লোকগুলোর কোন কাজে আপনি অসুবিধা সৃষ্টি করেছেন এবং হতে পারে তারা আপনাকে প্রতিপক্ষ ভেবে বসে আছে। এর কারণগুলো খুব সহজ হয়তো আপনি তাদের অন্যায় আবদার গুলো পূরণ করছেন না, অথবা তার খারাপ কাজগুলোতে বিভিন্ন ভাবে বাধার সৃষ্টি করছেন। সে আপনাকে আপনার অবস্থান থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য বদ্ধপরিকর।
এমন পরিস্থিতিতে আপনি কি করবেন আপনি কি তাদের প্রিয় ব্যক্তি হতে গিয়ে নিজের মনুষত্ব এবং সততা বিসর্জন দিবেন? নাকি নিজের সততা রক্ষার্থে নিজের অবস্থান থেকে সরে দাঁড়াবেন?
আমার কাছে মনে হয় কে কি ভাবলো কিংবা আপনি তার কতটুকু আপন পর এগুলো চিন্তা না করে নিজের কাজগুলো গুছিয়ে নিয়ে এগিয়ে যাওয়াটাই সবথেকে বড় বিষয়। সবার প্রিয় হতে যাবেন না কারণ আপনি কখনোই সবার মন রক্ষা করে চলতে পারবেন না। যদি সেটা করতে যান তাহলে আপনার জন্য বিপদ অনিবার্য।
আবার আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ক গুলোর মধ্যেও এই সমস্যাটা বিরাজমান যেমন ধরুন একসাথে কলেজ পড়ুয়া বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। একজনের বাবা বেশ বিত্তশালী এবং তার গাড়ি বাড়ি সবকিছু রয়েছে। সবাই তাকে বেশ পাত্তা দেয় এবং ছেলেটিও তার সাধ্যমত বিভিন্ন পার্টি এবং খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করে থাকে। আপনি লেখাপড়া এবং তার মানবিক গুণাবলী দিয়ে সবার কাছে মোটামুটি প্রিয় ব্যক্তি। কিন্তু যার টাকা আছে সেই ছেলেটিকেই ক্লাসের প্রত্যেকটি মানুষ কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ সে সবার জন্য প্রচুর পরিমাণে খরচ করতে পারে।
এখন গরিব ছাত্রটি সে যদি কোনক্রমে চিন্তা করে সে সবার প্রিয় হয়ে উঠবে এবং ওই বড়লোক ছাত্রটির মতো সবার পিছনে অঢেল খরচ করবে। তাহলে সত্যিই কি এটা আদৌ সম্ভব হবে অন্তত গরিব ছাত্রটির দিক থেকে। আমার মনে হয় ওই ছাত্রটির নিজের গণ্ডির মধ্যে থেকে নিজের মানবিক গুণাবলী দিয়ে যতটুকু মানুষকে কাছে টেনে নিতে পারে ঠিক ততটুকুই তার জন্য যথেষ্ট।
একটি পরিবারের ভাই বোন বাবা মা সবাইকে নিয়েই সুখী পরিবার। হঠাৎ করেই যদি কোন একটি ভাই আর্থিকভাবে ফুলেফেঁপে উঠে। দেখা যায় পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের কাছে সে ভীষণ প্রিয় হয়ে ওঠে। অপরদিকে একটু কম অবস্থা সম্পন্ন ভাইটি থেকে সবাই কেমন যেন একটু সরে আসতে চায়। এখানে স্পষ্ট বোঝা যায় আর্থিকভাবে অসচ্ছল ভাইটি সবার চাহিদা পূরণ করতে না পেরে, সবার অপ্রিয় ব্যক্তিকে পরিণত হয়। এখানেও ঠিক তাই সেই ভাইটি যত চেষ্টাই করুক না কেন তার স্নেহ মমতা কিংবা ভালোবাসা দিয়ে কারোরই প্রিয় ব্যক্তি হয়ে উঠতে পারবেনা কারণ সে কারোর চাহিদা পূরণ করতে পারবে না। ঠিক এমনি ভাবে কিছু স্বামী তার স্ত্রীদের কাছে শুধুমাত্র প্রয়োজনের মানুষ হয়ে ওঠে। কখনোই আপন জন হতে পারে না, স্ত্রীরা শুধুমাত্র সেই স্বামীদের ভারবাহি গাধা মনে করে এবং কখনোই তাদের যোগ্য মূল্যায়ন করতে জানে না। কারণ তাদের পাহাড়সম চাহিদা সেই পুরুষটি পূরণ করতে পারে না, তাই সে দিন দিনই অপ্রিয় ব্যক্তি হয়ে ওঠে।
আমি উপরে যে উদাহরণ গুলো দিলাম এগুলো নিজের জীবনে চোখে দেখা বাস্তব ঘটনা গুলো থেকে লিখা। আসলে আমরা নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও সবার কাছে কখনোই প্রিয় মানুষ হয়ে উঠতে পারবো না। কেউ আমাদের পছন্দ করবে আবার কেউবা অপছন্দ করবে। তাই আমাদের সবকিছু মানিয়ে নিয়ে এবং নিজের অবস্থানটাকে মেনে নিয়ে জীবনে চলার পথে এগিয়ে যেতে হবে।
এটা সত্যি অনেক সময় হতাশা কাজ করবে কিন্তু সেই হতাশাগুলোকে পাশ কাটিয়ে নিজেকে নিজে মোটিভেশন দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। মনে রাখবেন পৃথিবীতে একমাত্র আপনি নিজেই নিজের প্রিয় ব্যক্তিত্ব আর কেউ নয়।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম না আমার মনুষ্যত্ব আমার ব্যক্তিত্ব বিসর্জন দিয়ে আমি কারো প্রিয় হতে চাই না। এমন প্রিয় হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। যখন সত্যি কথা বলতে যাবেন সঠিক বিচার করতে যাবেন তখন আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্তটা মেনে নিতে হবে। একটা সঠিক বিচার করতে যেয়ে একটা সঠিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে হয়তো সেটা অন্যের কাছে অপছন্দ হতে পারে। যার পরিণাম স্বরূপ সেই ব্যক্তির কাছে আপনি অপরাধী হবেন। সে মানুষের কাছে আপনি একজন অপছন্দের মানুষ হয়ে থাকবেন। তাই বলে কি তার প্রিয় হওয়ার জন্য ব্যক্তিত্বকে এবং মনুষ্যত্বকে বিসর্জন দিতে হবে? সেটা কখনো পারবো না এবং কখনো করিও নাই। আপনার মতামতের সাথে আমিও একমত অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক তাই, আমিও সবার প্রিয় হতে চাইনা কারন এতে হয়তো আমার মনুষ্যত্ববোধ হারিয়ে যাবে। তার থেকে যারা আমায় প্রিয়জন মনে করে তাদের নিয়েই বাঁচতে চাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আসলে একজন মানুষ যতই ভালো হোক না কেনো, যতই সৎ হোক না কেনো, তবুও সবার চোখে ভালো হতে পারে না। কারণ বেশিরভাগ মানুষের বিবেক বুদ্ধি লোপ পেয়েছে এবং একে অপরকে হিংসা করে। কর্মক্ষেত্রে, স্টুডেন্ট লাইফে মোটকথা সব জায়গায় একে অপরকে হিংসা করে। অনেক সময় পরিবারের মধ্যেও একে অপরকে হিংসা করে। সুতরাং সবার কাছে ভালো হওয়ার চেষ্টা করা, নেহাৎ বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। নিজের কাছে যেটা ভালো বা মঙ্গল জনক মনে হয় সেটাই করা উচিত। যাইহোক দারুণ লিখেছেন ভাই। এতো চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit