ভূমিকাঃ
মাঝে মাঝে আমাদের চারপাশের জীবন, প্রকৃতি, পরিবেশ, সৌন্দর্য্য ও নানাবিধ বিষয় নিয়ে লিখতে ইচ্ছে হয় যেসব লিখার বিষয়বস্তুকে কোন নির্দিষ্ট গন্ডীর মধ্যে ফেলা যায় না। এরকম বিষয়বস্তুগুলোকে নিয়ে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি
-তে আমি একটি সিরিজ লিখছি যার নাম দিয়েছি প্রাসঙ্গিক প্রসঙ্গ
যেখানে কোন বিষয় বা প্রসঙ্গ নিয়ে ব্যাক্তিগত মতামত ও পর্যালোচনা করে থাকি। এই লিখার বিষয়গুলো হচ্ছে ব্যাক্তিগত শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধির সমন্বয়। পড়ে দেখুন, আশা করি ভাল লাগবে।
পর্ব ১৬ : ইন্টারনেট ছাড়া আমরা অচল (ইন্টারনেটের সুফল ও কুফল)
ইন্টারনেট। স্মার্টফোন যেমন আমাদের এখন নিত্যসঙ্গী ঠিক তেমনি ইন্টারনেট বর্তমান সময়ে আমাদের এক নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ। ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের দিন যাপন করা অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ দৈনন্দিন ছোট-বড় কাজগুলো আমাদেরকে ইন্টারনেটের সহযোগিতা নিয়ে করতে হয়। অনেকেই আছেন ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের ব্যক্তিগত অনেক প্রয়োজনীয় অফিশিয়াল কিছু ই-মেইল চেক করছেন আবার অনেকেই খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো বাসায় বসে কিংবা বিভিন্ন সময়ে সময়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে চেক করে নিতে পারছেন। তাই ইন্টারনেট ছাড়া আমাদের দৈনন্দিন জীবন অনেকটাই স্থবির। গত দুই দিনে 3g এবং 4g কানেকশন না থাকার কারণে ইন্টারনেট সংযোগ থেকে আমি অনেকটাই বিচ্ছিন্ন ছিলাম। সে অভিজ্ঞতার আলোকে আজকে ইন্টারনেট, এর প্রয়োজনীয়তা ও কুফল এবং এই সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে আলোচনা করব।
ইন্টারনেট না থাকলে প্রয়োজনীয় কাজ যেমন আমরা করতে পারি না আবার অন্যদিকে যখন ইন্টারনেট থাকে তখন কিন্তু আমরা অনেক অপ্রয়োজনীয় কাজও করে থাকি। দেশের একটা কারিগরি ত্রুটির কারণে নেট কানেকশন বিশেষ করে 3g এবং 4g কানেকশন বন্ধ ছিল আর সেজন্য আমি গ্রামে থাকার কারণে ইন্টারনেট সংযোগ থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন ছিলাম। সপ্তাহের প্রত্যেক বৃহস্পতিবার আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি-তে হ্যাংআউট অনুষ্ঠিত হয় এবং রাতে সেই হাংআউট এর জন্য অনেকটাই মুখিয়ে থাকি কারণ শুভ ভাই এর উপস্থাপনায় এটি অনেক চমৎকার একটি শো হয়। কিন্তু ইন্টারনেট সংযোগের কারণে এটি আমি মিস করে ফেলেছি। তাছাড়া দুইদিন ধরে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল এবং নোটিফিকেশন চেক করতে পারিনি।
Source: Image by mohamed Hassan from Pixabay
আশেপাশে বাজারে কিংবা বাড়িতে যেখানেই গিয়েছি সবার মুখে ইন্টারনেট সংযোগের ব্যাপারটি আলোচিত হয়েছে। আর এই সকল আলোচনা থেকে খুব সহজে এটা বুঝতে পেরেছি যে, সবাই ইন্টারনেটের প্রতি অনেকাংশে নির্ভরশীল এবং এটাতে খুব বেশী অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। শহরে যারা জীবন যাপন করে তারা অনেকেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ চালান তাই তাদের ক্ষেত্রে সমস্যা হয়নি কিন্তু গ্রামে যারা মোবাইল ফোন ইন্টারনেট সার্ভিস ব্যবহার করে থাকেন তাদের সমস্যাগুলো আমি কাছ থেকে দেখেছি।
যারা প্রতি আধা ঘণ্টায় মোবাইল ফোন একবার হাতে না নিলে তাদের দিনই কাটতো না তারা দুইদিন খুব কষ্ট করে কাটিয়েছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে কারণ অনেককে দেখেছি একটু পরপর মোবাইল ফোন নিয়ে থ্রিজি চালু করে চেষ্টা করে দেখছেন ইন্টারনেট সংযোগ ফিরে আসলো কিনা।
প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সাথে সাথে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে এটাই হচ্ছে স্বাভাবিক কারণ প্রযুক্তির সাথে যদি আমরা খাপ খাইয়ে এগিয়ে যেতে না পারি তাহলে আমাদের জন্য পিছিয়ে পড়া অনেক সহজ হবে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে উন্নত প্রযুক্তি সেবাগুলোর সাথে মানিয়ে নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কিন্তু গত দুই দিনের অভিজ্ঞতা থেকে আমি বুঝতে পারলাম যদি আমাদের কাছে এরকম ইন্টারনেট সংযোগ সার্বক্ষণিক না থেকে কিছু সময়ের জন্য থাকতো তাহলে আমরা হয়তোবা গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ওই সময়ের মধ্যে করতে পারতাম। আর বাকি সময়টাতে আমাদের অন্যান্য যেসব ইন্টারনেট এর বাইরের কাজগুলো এবং আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় কাজগুলো রয়েছে সেগুলো খুব সহজেই সেরে ফেলতে পারতাম।
গত দুই দিনের অভিজ্ঞতা থেকে আমার কাছে একটা উপলব্দি এসেছে যে, যদি আমরা ইন্টারনেটকে কিছুটা পরিমাণে লিমিটেড করে দিতাম যেমন একটা নির্দিষ্ট সময় ব্যবহার করা যাবে তাহলে হয়তোবা ব্যাপারটা আরো সুন্দর হতো কারণ ইন্টারনেটের প্রতি তরুণ সমাজ এবং সাধারণ মানুষের যে আসক্তি এবং অনেক বেশি সময় অপচয় এর যে প্রবণতা সেটা অন্তত কিছুটা হলেও কমে আসত।
Source: Image by 愚木混株 Cdd20 from Pixabay
আর বর্তমান সময়ে আমরা এমন একটা অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যে, আমরা তরুন প্রজন্মকে এবং বিভিন্ন বয়সের ও শ্রেণী-পেশার মানুষকে ইন্টারনেটের প্রতি অনেক বেশি আসক্ত হতে দেখছি যে কারণে তারা তাদের স্বাভাবিক যে কাজকর্ম রয়েছে এবং তাদের ব্যক্তিগত যে প্রফেশন রয়েছে সেখানে অনেক বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। কারণ অফিসে বসে ইন্টারনেটে সময় কাটিয়ে দিচ্ছে কিংবা একটা ছাত্র পড়াশোনা বাদ দিয়ে ইন্টারনেটে অনেক বেশি সময় কাটিয়ে দিচ্ছে। প্রয়োজনে ইন্টারনেট ব্যবহার করাটা আমাদের জন্য স্বাভাবিক কিন্তু যখন আমরা এটার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ি তখন বিষয়টা কিন্তু আর প্রয়োজন এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনা। আসক্তি একটা ভিন্ন বিষয় আর প্রয়োজন সেটা অন্য বিষয়।
আমার মনে হয় আমরা দিনে দিনে ইন্টারনেটের প্রতি অনেকটা নির্ভরশীল এবং অনেকাংশে আসক্ত হয়ে যাচ্ছি। এটি মোটেও জাতি হিসেবে আমাদের জন্য ভাল ইঙ্গিত নয়। প্রযুক্তির সাথে আমাদেরকে অবশ্যই মানিয়ে নিতে হবে এবং সবকিছুর পরে আমাদেরকে নিজেদের কাজটা নিজেদেরকে ঠিকভাবে করার জন্য ইন্টারনেটে অপ্রয়োজনীয় সময় ব্যয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এরকম মানুষকে পাওয়া খুব কঠিন হয় যারা কিছুক্ষণ পরপর মোবাইল ফোন হাতে নেন না আর এটার পেছনে অন্যতম দায়ী হচ্ছে ইন্টারনেট কারণ যারা মোবাইল ফোনে একটু পর পর হাতে নেয় তারা ইন্টারনেট কানেকশন চালু করেই বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন এ প্রবেশ করেন।
এক্ষেত্রে বলা যায় স্মার্টফোন আমাদের জন্য সমস্যা নয় কারণ গত দুই দিনে আমি দেখেছি সবার হাতে স্মার্টফোন ছিল কিন্তু ইন্টারনেট না থাকার কারণে তারা স্মার্টফোনের অন্য যে ব্যবহার রয়েছে বা কাজ রয়েছে সেগুলো করার প্রতি খুব বেশি মনোযোগী ছিল না। আমরা চাইলে স্মার্টফোনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন এডিটিং, বিভিন্ন হিসাব-নিকাশ, টাইপিং সহ বিভিন্ন কাজ করে ফেলতে পারছি কিন্তু কতজন স্মার্টফোনের মাধ্যমে এসব কাজ করছেন? বরং বেশিরভাগই রয়েছেন যারা স্মার্ট ফোন দিয়ে কেবল ইন্টারনেট ব্যবহার করে যাচ্ছেন।
Source: Image by Mediamodifier from Pixabay
আমরা হয়তো ইন্টারনেট মুক্ত একটি দেশ গড়তে পারব না এবং সেটা প্রয়োজনীয়ও নয়। তবে আমাদের সবার উচিত ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ করে সরকার, উচ্চতর মহল ও বিজ্ঞাপন সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে মানুষকে আরো বেশি সচেতন করা কারণ আমার মনে হয় এটা এখন একটা সময়ের দাবি হয়ে গিয়েছে যে, ইন্টারনেট ব্যবহারের খারাপ দিকগুলো মানুষের মাঝে তুলে ধরা। ইন্টারনেটের অপ্রয়োজনে ব্যবহার গুলো কে কমিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন করা টা অনেক বেশি জরুরী।
দুদিন ইন্টারনেট না থাকার কারণে আমি প্রাকৃতিক পরিবেশকে অনেক বেশি উপভোগ করেছি এবং আমার অফলাইনের অনেকগুলো কাজ আমি খুব সহজভাবে করতে পেরেছি হয়তোবা এই কাজগুলো ইন্টারনেট থাকলে করতে পারতাম না বা করা হতো না অথবা অনেকদিন পরে করা হতো। এই দুই দিনের একদিনে একটি প্রায় ৭০ পৃষ্ঠার বই পড়া শেষ করেছি। তাই ইন্টারনেটের খারাপ দিকগুলো তে সচেতন করে আমাদের উচিত এবং ইন্টারনেট আসক্তি কমিয়ে বরং অফলাইনে বিভিন্ন কার্যক্রমের দিকে আরো বেশি মনোযোগী হওয়ার সময় এসেছে। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকুই ইন্টারনেট ব্যবহার করা এবং সময়ের যথাযথ ব্যবহার করা আমাদের এখন সময়ের দাবী। বর্তমান সময়ের এটি খুব আলোচিত এবং ট্রেন্ডিং টপিক' যেটা নিয়ে আমাদের সবার এখন ভাবার এবং কাজ করার সময় এসেছে আমি বলে আমি মনে করি। ধন্যবাদ।
এই সিরিজে পূর্বের পোস্টগুলোর তালিকাঃ
পর্ব | ০১ | সবার সম্মিলিত খুদ্র প্রয়াসে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ | ০২ | একজন ফুটবল কিংবদন্তী ও ইতিহাস | ০৩ | পড়ন্ত বিকেলে ছুটি খা দিঘীর পাড়ে | ০৪ | করোনার অসুবিধাকে সুবিধায় রুপান্তর | ০৫ | গ্রামে গ্রামে মোবাইল আসক্তি | ০৬ | মরে গিয়েও বেঁচে থাকা | ০৭ | প্রতিযোগিতা নাকি প্রতিদ্বন্দ্বিতা | ০৮ | প্রতিকার নাকি প্রতিরোধ | ০৯ | অনলাইন পরীক্ষা রস | ১০ | পরিবার নাকি গ্যাজেট | ১১ | শান্ত সমুদ্রে দক্ষ নাবিক তৈরি হয় না | ১২ | বরশি দিয়ে মাছ ধরার অভিজ্ঞতা | ১৩ | আসল স্বাদ এর রসমলাই | ১৪ | শিক্ষক দিবস ও শিক্ষা নিয়ে কিছু কথা | ১৫ | ব্যাটসম্যান পরিবর্তন হয়ে এখন ব্যাটার |
|
---|
ঠিক বলছেন ভাইয়া। আমরা অনেকটায় ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করি। আমাদের প্রত্যাহিক জীবনের এর প্রভাব পরিমাপ করা যাবেনা৷ তবে এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা উচিত । সব কিছুর ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক থাকবেই কিন্তু আমাদের ইতিবাচক দিকেই খেয়াল রাখা উচিত অকারণে সারাদিন ইন্টারনেটে বসে থাকার প্রয়োজন নাই। অনেক সুন্দর লিখেছেন ভাইয়া।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইন্টারনেট বিশ্বকে করেছে সংক্ষিপ্ত। সারাবিশ্বের সকল তথ্য মুহুর্তের মধ্যে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। তবে ইন্টারনেটের মাধ্যমিক যে শুধু উপকারী তথ্যই পাওয়া সম্ভব তা নয়, এর মাধ্যমে যুবসমাজ অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। খুব সুন্দর তথ্য দিয়েছেন আপনার লেখায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাল হচ্ছে কিন্তু অতিরিক্ত ব্যবহারে খারাপও হচ্ছে অনেক।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইন্টারনেট বিশ্বকে করেছে সংক্ষিপ্ত। সারাবিশ্বের সকল তথ্য মুহুর্তের মধ্যে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। তবে ইন্টারনেটের মাধ্যমিক যে শুধু উপকারী তথ্যই পাওয়া সম্ভব তা নয়, এর মাধ্যমে যুবসমাজ অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। খুব সুন্দর তথ্য দিয়েছেন আপনার লেখায়। ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ধন্যবাদ আপনাকেও মন্তব্যের জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর একটা বিষয় উপস্থাপন করেছেন। আপনার মনের অনুভূতি গুলো আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন ইন্টারনেটের বিষয় নিয়ে। একটা সময় আমি দেখেছি যে আমার পাড়াতেই আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে পড়ে ৩২ বছর আগে ইন্টারনেট তেমন একটা সচারাচর ছিল না খুবই কম ছিল। যদিও দুই একজনে ব্যবহার করত। বিদেশে লোকটা মারা যাওয়ার প্রায় এক বছর পরে তার লাশ বাড়িতে আসলো। এই একটা বছরে তাঁর পরিবারের আহাজারি সবাই কান পেতে শুনেছি দেখেছে কিছু করার ছিল না। তখন উপলব্ধি করতে পারলাম যদি ভালো একটা ওয়ে থাকতো খুব সহজে দিনে দিনে বা এক সপ্তাহ বা এক মাসের মধ্যে নিয়ে আসা যেত। আবার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে এটাও দেখেছি ভড় ভাইয়া চাকরি করতো বান্দরবান, এখনো আছে, বাড়িতে কোনো সমস্যা হলে একটা চিঠি পোস্ট করলে প্রায় ১৫ দিন, দশ দিন, লেগে যেত ওই চিঠি গন্তব্যে পৌঁছতে। আবার ওই চিঠির উত্তর আসতে লেগে যেত আরো ১৫ দিন প্রায় এক মাস। অপেক্ষা করতে হতো একটা চিঠির উত্তরের জন্য। এই এক মাসে কত অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে যেত যা বলা বাহুল্য। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সবকিছু পরিবর্তন হতে লাগলো। দেশে ইন্টারনেট আসলো, ওয়াইফাই আসলো, আমাদের এভেলেবেল হ্যান্ডসেট হয়ে গেল। অনেকটা সহজ হয়ে গিয়েছে চলাফেরা থেকে দৈনন্দিন কাজকর্ম। বর্তমানে আমরা ইন্টারনেটের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছি। ইন্টারনেট ছাড়া এখন আমাদের চলাফেরা থেকে শুরু করে অফিশিয়াল কাজকর্ম ব্যাংক-বীমা সবকিছু অচল। এই দুইদিন নেটের সমস্যা থাকার কারণে কমবেশি আমরা সবাই উপলব্ধি করতে পেরেছি যে বর্তমানে ইন্টারনেট আমাদের জন্য কতটা প্রয়োজনীয় এবং জরুরী।
আর খারাপ দিক বলতে গেলে বর্তমান সময়টা আসলে খুবই খারাপ। যেটা বাচ্চাদের জন্য হোক আর যারা পড়াশুনা করছে উচ্চমাধ্যমিক এবং কি কলেজে যে শিক্ষার্থীরা মোবাইল ব্যবহার করছে তাদের জন্য খুবই খারাপ একটা জিনিস। ঠিকমতো পড়াশোনা করে না। সারাদিন গেমস নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এবং কি আরও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয় এই মোবাইলের কারণে এবং ইন্টারনেটের কারনে। অতএব আমাদের সবদিক থেকে সতর্ক থাকতে হবে। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। এবং কি আপনার পোস্টে যথাযথ বেক্ষা করা আমার পক্ষে সম্ভব না। তবুও নিজের মনের ভাব যতটুকু সম্ভব প্রকাশ করেছি। এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনার প্রতি শুভেচ্ছা রইল ভাই
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ঠিক বলেছেন। উপকার যেমন আছে তেমনি খারাপ দিক আছে বিশেষ করে বর্তমান সময়ে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তথ্যপ্রযুক্তি উন্নতি ফলে পুরো বিশ্বকে হাতের মুঠোয় করেছে। এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং বিশ্ব অনেক এগিয়ে যাচ্ছে তথ্য প্রযুক্তির উন্নতির কারণে। তবে যুবসমাজ ভালো দিক ব্যবহারয়ের চেয়ে খারাপ দিক টাই দিন দিন বেশি ব্যবহার করেছে। যার কারণে আমাদের যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাই ইন্টারনেটের খারাপ দিক গুলো বর্জন করে, ভাল দিক গুলো ব্যবহার করা আমাদের সমাজ এবং দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক বলেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
একদম ঠিক বলেছে ভাইয়া কথা গুলি। আপনি অনেক সুন্দর করে নিজের মনের ভাব গুলি প্রকাশ করতে পারেন।
নেট কি জিনিস তা গত পরশুদিন বুঝেছিলাম🥺🥺🥺যাই হোক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জীবন সম্পর্কে একটি খুব ভাল পোস্ট, এবং একটি ভাল বিষয় যা আমাদের সকলের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে, শুভকামনা সবসময়। @engrsayful.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
শিক্ষনীয় পোস্ট। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া, আমি অনেকের মুখে শুনেছি বাংলাদেশেই নেট সমস্যাটি বেশি দেখা যায়।ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারে ভোগান্তি পোহাতে হয়।কিন্তু আমাদের এখানে নেট সমস্যাটি নেই বললেই চলে।আমাদের 4g নেট সবসময় ভালো সার্ভিস দেয় আর তার সঙ্গে আনলিমিটেড ফ্রি কল 24 ঘন্টা।হ্যাঁ, এটি সত্য আধুনিক যুগে যেমন ইন্টারনেট ভালো তেমনি আবার খারাপ প্রভাব বিস্তার করছে।ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
3G ভালো পাওয়া যায় শহরে তবে গ্রামে কিছু এলাকায় ৩ জি পাওয়া যায় না। শহরে টাওয়ার এর আশেপাশে থাকলে ৪ জি পাওয়া যায়। কারিগরি সমস্যার জন্য দুইদিন খুব ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইন্টারনেট জীবনকে সহজ করেছে ঠিকি কিন্তু প্রাকৃতিক পরিবেশকে, আপন জন দের থেকে দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। ভাইয়া খুবি বাস্তবিক ছিলো আপনার পোস্ট টি এবং খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখেছেন। অনেক ধন্যবাদ এতো সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক গুরুত্তপূর্ন তথ্য দিয়েছেন। আসলেও আমরা এখন সকলেই ইন্টারনেট এর উপর এতো টায় নির্ভর আসক্ত হয়ে পড়েছি যেটা ভবিষ্যৎ এর জন্য হুমকিসরূপ। অনেক ভালো ভাবে বিষয় টা উপস্থাপন করেছেন, বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit