নারকেল পুলি রেসিপি (পিঠা মেকার ও ট্রেডিশনাল পদ্ধতি) প্রতিযোগিতা - ৪৯

in hive-129948 •  last year 

আসসালামু আলাইকুম


আল্লাহর অসীম রহমতে নিশ্চয়ই সবাই ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার সবচেয়ে পছন্দের একটি পিঠা রেসিপি।"আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটির ৪৯তম প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করার জন্য নারকেল পুলি পিঠার রেসিপি, এই পিঠা প্রায়ই তৈরি করি আমি।

এই পিঠা একবার তৈরি করে বেশ কয়েকদিন রেখে খাওয়া যায় একটু স্বাদ পরিবর্তন হয়না। নারকেল পুলি অনেক রকমভাবে তৈরি করা যায় ঝুরঝুরে নারকেল পুলি এটা কম মিষ্টি কিছুটা নোনতা টাইপ খেতে এটাও বেশ মজার।নারকেলের পুরের সাথে সামান্য সুজি মিশিয়েও তৈরি করা হয়। সবচেয়ে বেশি পছন্দের হলো রসে ভরপুর নারকেল পুলি অর্থাৎ রসে ভরা পুলিপিঠা।আজ আপনাদেরই সাথে রসালো পুলির রেসিপি শেয়ার করবো।

নারকেল পুলি পিঠা

পিঠার ডো|তৈরির জন্য
|--|--|--
১ কাপ|ময়দা
১ কাপ|পানি
২ টেবিল চামচ|সয়াবিন তেল/ঘী
১টি|আস্ত এলাচ
১টি|লবঙ্গ
১/২চা চামচ|লবণ
১/২ চামচ মৌরি
প্রস্তুত প্রণালী

★ চলুন জেনে নেই উপকরণ সমূহ
পুরেরজন্য
------
নারকেল কোড়ানো১ টা
চিনি১/২ কাপ (২৫০ এমএল)
লবণআধা চা চামচ
এলাচগুড়োসামান্য /১ টা আস্ত এলাচ

দুই রকম পুর

একটি হাড়িতে পানি নিয়ে তাতে লবঙ্গ,এলাচ দিয়ে বলক আসা পযন্ত জ্বাল করতে হবে। ফ্লেভার চলে আসলে এলাচ আর লবঙ্গ উঠিয়ে নিতে হবে। পানি গরম হতে হতে শুকনো উপকরণ রেডি করে নিতে হবে। একটা চালনির সাহায্যে ময়দা চেলে নিয়ে তাতে লবণ আর তেল মিশিয়ে নিতে হবে।

তেল মেশানোর পর হাতে মুঠো করলে দলা বেঁধে থাকবে তাহলেই রেডি। এবার ফুটতে থাকা পানি টা চুলায় লো ফ্লেম এ রেখে শুকনো উপকরণ ঢেলে দিতে হবে। তারপর ভালোভাবে নেড়েছেড়ে মিশিয়ে নিতে হবে যেন শুকনো উপকরণের দলা না থাকে সম্পূর্ণ মিশে যায়।এবার পরিষ্কার থালাতে ঢেলে নিয়ে হাত দিয়ে অথবা স্প্যাচুলা দিয়ে ভালোমতো মথে নিতে হবে।

চাইলে এইসময় একটু মৌরিও এড করতে পারেন এতে করে ফ্লেভার হাল্কা হবে খেতে গেলে কামড়ে পড়লে তবেই ফ্লেভার পাওয়া যাবে। সরাসরি পানিতে দিয়ে ফুটালে ঘ্রাণ একটু তীব্র হয় যেটা আমার পছন্দ না। বেশির ভাগ সময়ে আমি মৌরি স্কিপ করি, তবে আমার মায়ের পছন্দের তাই মায়ের জন্য করলে মৌরি এড করি এতে একটা ভিন্ন স্বাদ আসে।

এবার তৈরি করা ডো টার ওপর সামান্য একটু তেল দিয়ে ঢেকে রাখুন এতে করে ডো শক্ত হবে না তুলতুলে থাকবে।

★ পিঠার ডো তৈরি

চুলার তাপ লো ফ্লেম এ রেখে হাড়িতে চিনি দিয়ে আস্তে আস্তে নেড়ে গলিয়ে নিতে হবে।তারপর এলাচ নারকেল মিশিয়ে সামান্য ভেজা আঠালো থাকা অবস্থায় সোনালি কালার আসলেই নামিয়ে ফেলতে হবে ব্যাস পুর রেডি।
কালার না চাইলে সরাসরি নারকেল দিয়ে তারপর চিনি দিবেন অথবা চিনিতে ১ টেবিল চামচ পানি দিয়ে গলাবেন।

★পিঠার জন্য পুর তৈরি

ছোট ছোট টুকরো করে নিন ডো এরপর সরাসরি পিঠা মেকারের রুটি তৈরির অংশে দিয়ে হাল্কা চাপ দিন ব্যাস রেডি সুন্দর গোল পাতলা রুটি। রুটিটি নিয়ে ছাঁচের ওপর রাখুন এক চামচ পুর দিন এবার অপর পাশের ছাঁচ টেনে একটার সাথে আরেকটা চেপে দিলেই রেডি হয়ে যাবে সুন্দর একটা পুলি পিঠা।এভাবেই সবগুলো তৈরি করে নিন।

★এবার চলুন প্রসেস এ

পাতলা করে রুটি বেলে নিন একটা গোলাকৃতি শেপের বক্সের সাহায্যে গোল শেপ করে কেটে নিন।
গোলরুটির মাঝখানে পুর দিয়ে দুপাশ আঙুলের সাহায্যে চেপে বন্ধ করে দিন এবার ধারবিহীন চুরির সাহায্যে বন্ধ মুখটাতে পিঠার শেপ করে নিন ব্যাস তৈরি হয়ে গেল একটি সুন্দর পুলি পিঠা।

★মেকার ছাড়া তৈরি

একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে নিন। এই পিঠার ভাজার জন্য চুলার তাপ হাই হিটে রাখতে হবে। গরম তেলে একটা একটা করে পিঠা ছাড়ুন দ্রুত হাতে নেড়ে দিন ফুলে উঠবে পিঠা।এবার নেড়েচেড়ে সোনালি করে ভেজে নিন পিঠার গায়ে বারি দিলে শক্ত ও মচমচে টাইপ আওয়াজ হবে তাহলেই পিঠা নামিয়ে ফেলতে হবে।পিঠার গা নরম থাকলে পিঠা মচমচে হবে না।

এমন হলে ২য় বার আবার একটু ভেজে নিবেন তাহলেই মচমচে টাইপের পুলি পিঠা তৈরি করতে পারবেন।এভাবে সবগুলো পিঠা ভেজে নিন। চিনির পরিমাণ বেশি থাকার কারণে গরম তাপে সিরা গলে রসালো হবে নারকেলের তেল বের হয়ে।প্রতিটি পিঠার ভেতরটা হয়ে উঠবে রসে ভরপুর।ব্যাস তৈরি হয়ে গেল খুবই মজাদার একটি রসেভরা নারকেলপুলি। এই পিঠা খেতে সাবধান নয়তো হাত আর পোশাকে লেগে যাবে মুহুর্তেই।

Happy Writing

★ভাজার প্রসেস
পোস্টবিবরণ
শ্রেণিশীতের পিঠা রেসিপি
ক্যামেরাস্মার্টফোন
পোস্টতৈরি@farhanaaysha
লোকেশনবাংলাদেশ
ডিভাOPPO Find X3 Pro

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

আপু আপনি পিঠা মেকার দিয়ে খুব সহজেই মজাদার পিঠা তৈরি করেছেন। এতেই বুঝা যায় আমরা কতটা ডিজিটাল হয়ে গিয়েছি। এখন আর কোনো কাজের জন্য মানুষকে কষ্ট করতে হয়না। বর্তমানে বেশ কিছু কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের মেশিন বানানো হয়েছে। এতে করে মানুষের পরিশ্রম যেমন কমেছে তেমনি বিভিন্ন রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে। যাই হোক আপনার পিঠা দেখে তো খুব খেতে ইচ্ছে করছে। ধন্যবাদ মজাদার পিঠা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

পিঠা তৈরি আসলেই সহজ হয়ে গিয়েছে সত্যিই পরিশ্রম কম লাগছে আগের তুলনায়। সময়ও বাঁচছে
এটা মায়েদের জন্য খুবই হেল্পফুল একটি প্রোডাক্ট। একজন মা সারা দিনে যে পরিমাণ পরিশ্রম করে তাতে করে এই মেকারের জন্য উপকৃতই হচ্ছে।

অনেক আকর্ষণীয় ও লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে এটা খতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপির ধাপ গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।

নারিকেল পুলি রেসিপিটা আমি অনেকবার খেয়েছি। আমার কাছে খুবই ভালো লাগে এই পিঠাটি খেতে। আপনি দুই পদ্ধতিতে আমাদেরকে পিঠা বানিয়ে দেখিয়েছেন।খুব ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

আপনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। মেকার দিয়ে আপনি খুব সহজেই এই পিঠা তৈরি করেছেন। নারকেল পুলি পিঠা আমার অনেক বেশি পছন্দের। যার কারনে আপনার মাধ্যমে দেখে আমার এই পিঠাগুলো খাওয়ার ইচ্ছা জেগেছে। অনেকদিন আগে খাওয়া হয়েছিল এই পিঠাগুলো। নিশ্চয়ই এই পিঠাগুলো খুব মজা করে খেয়েছিলেন আপনি।

সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ। জেনে ভালো লাগলো এই পিঠা আপনারও পছন্দের আমার মতো।সত্যিই পিঠাগুলো দারুণ হয়েছিলো খেতে। এই রেসিপি ফলো করলে আপনিও খুব সহজেই তৈরি করে নিতে পারবেন। আশা করি আপনিও এই মজাদার পিঠাটি উপভোগ করবেন।

  ·  last year (edited)

আপু আপনি দেখছি পিঠাপুলি বাণীয়ে খাওয়া শুরু করে দিয়েছেন। আপনার নারকেলের এভাবে ভাপা পিঠা দেখে লোহার সামলাতে পারছি না আমি জানি সত্যিই পিঠাগুলো খেতে খুবই স্বাদ লাগে। তবে এভাবে খালি পোস্ট করলে হবে না আমাদের জন্য বানিয়ে রেখে দাওয়াত দেন খেতে যাব। আপনার এই পিঠা খেতে খুবই স্বাদ হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

সত্যিই তাই আমি বেশ কিছু দিন যাবত পিঠাপুলি তৈরি করছি। আমার বাচ্চার স্ন্যাকস হিসেবে নানান রকম সহজ পিঠা তৈরি করি যাতে সময়ও কম লাগে দারুণ দারুণ সব খাবারও তৈরি করা যায়। নারকেল পুলি কুড়কুড়ে পিঠা খেতে সত্যিই দারুণ লাগে। আপনারকে আমন্ত্রণই রইলো পিঠা খেতে।

শীতকালীন পিঠার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ থেকে ভালো লাগলো । নারকেল পুলি রেসিপি শীতকালীন খুব জনপ্রিয় একটি রেসিপি। এই রেসিপি আমার খুব প্রিয় একটি রেসিপি।

শীতকালীন পিঠার প্রতিযোগিতার কারনে আজ অনেক দিন পর এই পিঠাটি দেখতে পেলাম। এটি আমার অনেক শখের একটি পিঠা। এই পিঠাটি ছোট বেলায় আমার মা প্রায় বানাতো। আজ আপনার এই পিঠা দেখে মার কথা খুব মনে পড়ছে। মনে পড়ছে সেই ফেলে আসা অতীতের কথা। ধন্যবাদ আপু আপনাকে আমার পছন্দের পিঠাটি বানিয়ে সুন্দর করে ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

আমিও আনন্দিত এই প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করতে পেরে।এই পিঠাটি আপনারও পছন্দের জেনে আমার ভালো লেগেছে। সত্যিই ছেলেবেলা গুলো দারুণ ছিলো মায়ের হাতের তৈরি নানান রকম পিঠাপুলির জন্য। এসব পিঠা তৈরির সময় ছোটবেলায় মায়ের পাশে বসে দেখা স্মৃতিগুলো বার বার মনে পড়ে। মায়ের কাছে শেখা রেসিপি

চলমান প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। খুবই মজাদার একটি পিঠার রেসিপি তৈরি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। নারকেলের পুলি পিঠা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে আপনার এই পিঠার রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল আর এই পিঠা অনেকদিন রেখে খাওয়া যায়। মজাদার এই পিঠা রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Posted using SteemPro Mobile

শীতের পিঠা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই। নারকেল পুলি রেসিপি খুবই অসাধারণ হয়েছে। আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। নারকেল পুলি পিঠা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।