টমেটো ও পালংশাক
টমেটো চাষ
শীতকালীন সবজি হিসেবে টমেটো পছন্দ করে না এমন লোক পাওয়া দুঃষ্কর।শীতের সময় টমেটো ছাড়া রান্না অসম্পূর্ণ লাগে।বাজার থেকে পাকা টমেটো এনে বেশিদিন রাখাও যায় না তাই ছাদে কিংবা বাগানে কয়েকটা গাছ লাগিয়ে দিলেই পুরো সিজন চাহিদা পূরণ সম্ভব হয়।
এবারও তেমনি মাত্র ১০ টাকার চারাগাছ আনা হয়েছিলো বাজার থেকে ১৫/১৬ টা চারা ছিলো এক আটিতে। সবগুলো চারা যত্ন করে লাগানো হলেও মাত্র ৮ টি গাছ বেঁচে আছে। যেগুলো এখন বড়ো হয়ে ফুল- ফল হচ্ছে।
টমেটো গাছ ভেজাসহ্য করতে পারে না তাই পানি একদিন পর পর দিলেই চলে।ছাদে হলে যেদিন রোদের তাপ বেশি থাকে সেদিন শেষ বিকালে অল্প ভিজিয়ে দিলে হয়। সার হিসেবে সবজি কাটার পর উচ্ছিষ্ট, ডিমের খোসা, ব্যবহার করা চা পাতি, আর শুকনো গোবর ই যথেষ্ট। গাছের কান্ড অনেক বেশি নরম ফলন বেশি হলে ভার সহ্য করতে পারে না। তাই খুটি দিয়ে ঠেস দিতে হয় যেন ভেঙে না পড়ে।
চারা রোপণের ১০ -১৫ দিন পর যখন সবুজ হয়ে উঠে নতুন খুশি আসতে শুরু করে তখন গাছের নিচের দিকের খুশি ভেঙে দিয়ে ওপরের আগা কাটতে হয়। এটা একবার কাটলে ওয়ান জি পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় বার কাটলে টু জি,থ্রি জি নামে পরিচিত। এভাবে কাটিং করলে গাছ বেশ ঝোপালো আর বড়ো হয় ফলনও অনেক বেশি পরিমাণে হয়। এভাবে কাটিং দেওয়ার সময় ২০ দিন পর পর দুইবার অল্প পরিমাণে ইউরিয়া ব্যবহার করা হলে গাছ দ্রুত বাড়তে থাকে। যখন ফুল ফুটতে শুরু করে তখন গাছের গোড়ায় কালোসার টিএসপি ওটা অল্প ব্যবহার করলে অনেক বেশি ফল আসে। এবারের বাগানের কিছু পিকচার যেখানে ফুল আসার শুরু থেকে ফল হওয়া পযন্ত। টবের গাছ একটু হেলদি হয় গাছের গোড়ায় পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান থাকায় আর গাছের শিকড় গভীরে যায়না বলে টবে চাষ করা তুলনামূলক সহজ।
পালং শাক চাষ
যেসব বড়ো বড়ো গাছ আছে সেগুলোর গোড়ার দিকে ফাঁকা জায়গা থাকে অনেকটা।সেগুলোকে কাজে লাগানোর চেষ্টা থেকেই প্রতিবার ধনিয়াপাতা ও পালংশাক, লালশাকের বীজ বুনে দেই।এবাও তেমনি ধনিপাতা ও পালংশাকের বীজ বুনেছি। কমলা গাছের টবে সবচেয়ে সুন্দর হয়েছে পালংশাক। অল্প পালং বীজ এনে কাচের জারে রেখে দিলে যে টবে শাক খালি হয় সেখানে আবার বীজ ছড়িয়ে দিলেই নতুন শাক গজাতে শুরু করে।
এভাবে করে পুরো শীতকালে নিজের বাগানের পালংশাক খাওয়া যায়। পালংশাক মাটির তুলনায় টবের মাটিতে ভালো হয় এটির বেশি যত্ন নিতে হয় নয়তো বড়ো হতে চায় না। বেশি বয়স্ক শাক খেতে তেমন ভালো লাগে না একটু শক্ত হয়ে যায়।উর্বর জমি বা উর্বর মাটিতে পরিপূর্ণ টবে চাষ করলে বেশ তুলতুলে আর দ্রুত বাড়তে শুরু করে পালংশাক। পালংশাক ও বেশি ভেজা সহ্য করতে পারেনা নেতিয়ে পড়ে তাই বেশি পানহর দরকার হয়না। অল্প পানি
দিয়ে চাষ করা যায় পালংশাক।
পালংশাক আমাদের প্রায় সবারই পছন্দের একটি শাক। আয়রন সমৃদ্ধ ও নরম প্রকৃতির হওয়ায় বাচ্চাদের জন্য ভীষণ উপকারী। আমি নিজেও অনেক বেশি পছন্দ করি পালংশাক। বাচ্চার জন্য খিচুড়ি রান্না করতেও এটা আমার অন্যতম পছন্দের যেমন সুন্দর ফ্লেভার তেমনি দ্রুত গলে যায় যেটা অন্য শাকের ক্ষেত্রে একটু ঝামেলা হয়।
আজ এই পযন্ত ফিরে আসছি নেক্সট টপিক নিয়ে সেই পযন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।আল্লাহ হাফেজ
পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণি | ফটোগ্রাফি |
ক্যামেরা | স্মার্টফোন |
পোস্টতৈরি | @farhanaaysha |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
ডিভাইস | iQOO Z3 5G |
https://twitter.com/farhana87988/status/1756292464330305971?t=--8gMDpQ0eTpA_1GIauALg&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বেশ দারুণ একটি ছাদ বাগান দেখে ফেললাম। যেখানে শীতকালীন শাকসবজি হিসেবে টমেটো ও পালন শাকের সুন্দর দৃশ্য ফটোগ্রাফি করে দেখিয়েছেন। আমরা চাইলে ঠিক এভাবে আরো অনেক শাকসবজি উৎপাদন করতে পারি পড়ে থাকা জায়গা বা স্থানগুলোতে। খুব সুন্দর টমেটো ধরেছে দেখছি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ফ্রেশ খাবার ও খাওয়া যায় মনের ভেতর আলাদা আনন্দ ও হয় নিজের উৎপাদিত ফসল তুলতে গেল।মন খারাপ হলেও বাগানে গেলে মন ভালো হয়ে যায় এমন অপরূপ সুন্দরী গাছ ফুল-ফল দেখে।একটা পরিবারের জন্য এমন কয়টা টমেটো, মরচি,ধনেপাতা চাইলেই উৎপাদন করা যায়।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অনেক সুন্দর পরিকল্পনা করেছেন আপু। এভাবে ছাদ বাগানে সবজি চাষ করলে অনেক ভালো হয়। এতে টাটকা শাকসবজি খাওয়া যায়। আমিও আমাদের বাড়িতে পড়ে থাকা জায়গা গুলো এভাবে সবজি চাষ করি। আপনার আজকের পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit