“মুজিব নগর ভ্রমনকাহিনী।” : (10% beneficiaries to @shy-fox)

in hive-129948 •  3 years ago 

বন্ধুরা,
আমি @farhansajid2003 আপনারা সবাই কেমন আছেন?আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আজ আপনাদের মাঝে একটা ভ্রমন কাহিনী শেয়ার করবো।


১১-১০-২০২১ আমি মুজিবনগর ঘুরতে গিয়েছিলাম সেটাই আপনাদের কাছে শেয়ার করবো। আমরা কয়েকজন মিলে গিয়েছিলাম মুজিবনগর।সবাই ছিলো পরিবারের সদস্য।আমরা কুষ্টিয়া থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম।কুষ্টিয়া থেকে মুজিবনগর এর দূরত্ব ৭৪ ‍কি:মি: । আমরা রওয়ানা দিয়েছিলাম সকাল ৯ টায়।যদিও আমাদের আরো আগে রওয়ানা হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু শেষমেষ ৯ টা বেজে গেছিলো।আমরা মুজিবনগর সকাল ১১টাই পৌছালাম।


আমরা গাড়ি করে গেছিলাম।কিন্তু ওখানে পৌঁছানোর পর গাড়ি নিয়ে আমাদেরকে ভেতরে ঢুকতে দেই নাই।এজন্য গাড়ি পার্কিং এ রেখে তারপর গেছিলাম।গেইট থেকে মেইন ভিউ দেখার জন্য অনেকটা ভিতরে যেতে হয় এজন্য আমরা একটা ভ্যান ঠিক করেছিলাম।তারপর ভ্যানে করে আমাদের গন্তব্যে গিয়েছিলাম।ওখানে আমরা ২ঘন্টা সময় ছিলাম।


270813981_690297335301644_366734751612623661_n.jpg

মুজিবনগর একটা বাংলাদেশের মানচিত্র আছে।আর সেক্টর ভাগ করে দেওয়া আছে সেই মানচিত্রে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিবনগর ছিলো ৮ নাম্বার সেক্টর এর অধীনে।


272591470_1731308843737557_4742521050596530941_n.jpg

সিঁড়িদিয়ে সবথেকে উপরে গেলে আশেপাশের দৃশ্য গুলো অনেক ভালো দেখা যায়।মুজিবনগরে শহীদদের মূর্তি করা আছে।যারা শহীদ হয়েছিলেন মুক্তিযুদ্ধে।


259720241_1892840260916529_8643979291254245563_n.jpg

তারপর আমরা হাঁটতে হাঁটতে স্মৃতিসৌধের কাছে গিয়েছিলাম।ঐ স্মৃতিসৌধে ২৩ টা ফলক রয়েছে।এই ২৩ টা ফলকের অর্থ হলো পাকিস্তানের ২৩ বছরের শোষণ বঞ্চনার ইতিহাস।


257999696_1999534166869462_3467584717299907354_n.jpg

তারপর ওখান থেকে বের হয়ে আমরা খাওয়া দাওয়া করলাম।তারপর পাশেই একটা পার্ক আছে সেই পার্কে গেছি সবাই মিলে।পার্কের মধ্যে অনেক জায়গা কিন্তু ঐ ভাবে কোনো মানুষ জন ছিলো না।ভালোই মজা করেছিলাম ওখানে।


257927196_1089568325121826_2783188464871053837_n.jpg

তারপর আমরা চলে গেলাম নীলকুঠি দেখতে।যেখানে আগে নীল চাষ হতো। ব্রিটিশ শাসনামলে নীল চাষ করা হতো এখানে।কিন্তু এতে সাধারণ মানুষের উপর অনেক অত্যাচার করতো।এজন্য ১৮৬১ সালে নীল চাষের অবসান ঘটে।


আমরা নীল কুঠির মধ্যে ঢুকতে পারিনাই কারণ বিকাল ৫.০০ টার পর ওখানে আর প্রবেশ করা যায় না। তারপর আমরা ওখানে সন্ধ্যার নাস্তা করেছি।তারপর বাসায় চলে এসেছি রাত ২টাই ।


এই হলো আমাদের ভ্রমণ কাহিনী।


আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যবৃন্দকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ, সবাই সুস্থ থাকুন ভালো থাকুন। আজকের মতো আপনাদের মাঝ থেকে বিদায় নিচ্ছি, আবারো নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব।

ধন্যবাদান্তে,,

ফারহান সাজিদ (@farhansajid2003)

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

ভ্রমনের মুহূর্তগুলো খুবই অসাধারণ ভাবে কাটিয়েছেন আপনি। আপনার পোস্টটি দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আপনি ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এবং কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল, ভালো থাকবেন।

অনেক ভালো কাটিয়েছি সময় টা।

আপনার মুজিবনগরের ভ্রমণ কাহিনীটি আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো ।আপনার ছবিগুলো দেখে আমার পুরোনো কিছু স্মৃতি স্মৃতি মনে পড়ে গেল ।কারণ বেশ কয়েক বছর আগে আমিও মুজিবনগর ঘুরতে গিয়েছিলাম ।পুরনো ছবিগুলো আবার চোখের সামনে দেখে বেশ ভালই লাগলো। প্রতিটি ছবি খুবই চমৎকার ভাবে আপনি বর্ণনা সহকারে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। যেটি আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

আমি নিজেও ২০১৭ সালে মুজিবনগর ভ্রমণে গিয়েছিলাম। সেই স্মৃতিগুলো এখনো মনে আছে। এবং আপনার পোস্টের ছবিগুলো দেখে আবার মনে পড়ে গেল। বেশ ঐতিহাসিক একটি জায়গা এই মুজিবনগর। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।।

আমিও দ্বিতীয় বার ঘুরে আসলাম।

  • ভাই আমার কাছে অসম্ভব সুন্দর লেগেছে মুজিবনগর। ওইখানকার মূর্তি গুলো দেখতে খুব অসাধারণ লাগলো। আবার ইচ্ছে করতেছে এখনই গিয়ে সরাসরি এগুলো দেখে আসতে। ভাই দাওয়াত দিয়েন একদিন গিয়ে দেখে আসব। অসম্ভব ভালো লেগেছে আমার।

ওকে ভাইয়া

এই ধরনের পোস্ট এ লোকেশন কোড এবং ক্যামেরা ডিটেইলস অবশ্যই দিতে হবে। আর চেষ্টা করবেন আরো বেশী কিছু ছবি দিতে। মুজিবনগর আমার কখনো যাওয়া হয়নি। তবে যাওয়ার ইচ্ছে আছে। মোটামুটি ভালই লিখেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

আচ্ছা ভাইয়া।

মুজিবনগর একটি ঐতিহ্যবাহী স্থান বিশেষ করে বাঙালি জাতির কাছে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান । আমার বাড়ি হচ্ছে মেহেরপুরে অর্থাৎ প্রায় মুজিবনগরে । আমি এই জায়গাতে জন্মগ্রহণ করতে পেরে অনেক গর্বিত । আপনি মুজিবনগর ভ্রমণকাহিনীর অংশ গুলো আমাদের মাঝে খুবই চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে বাঙালির ঐতিহ্য সবার মাঝে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য আপনার জন্য শুভকামনা রইল ।

আসলেই অনেক সুন্দর জায়গা। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

মুজিবনগর ঘুরে আপনি সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে মুজিবনগর সম্পর্কে সুন্দর ইতিহাস তুলে ধরেছেন ।আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার খুবই ভাল লাগল ।এবং পুরনো দিনকে কল্পনা করতে থাকলাম। আমিও বেশ কিছুদিন আগে মুজিবনগরে ঘুরতে গিয়েছিলাম ।এবং সেখান থেকে ঘুরে এসে আমার বাংলা ব্লগ এ দুইটা পোষ্ট দিয়েছিলাম। মুজিবনগর আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য যুদ্ধের কাহিনী বহন করে ।যতবার যায় ততবারই আমার খুবই ভালো লাগে ।গেলেই ইতিহাসের সাথে মেলাতে থাকি আমাদের সেই মুজিবনগর। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য 🌹🌹❤️

ধন্যবাদ ভাইয়া।