আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি @farhanshadik বাংলাদেশের নাগরিক।
আমি ফারহান সাদিক,আমার ইউজার নাম @farhanshadik।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।
চলুন শুরু করি
সমাজ মানেই কিছু মানুষ একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে বসবাস করে।আদিম যুগ থেকেই মানুষ দলবদ্ধ হয়ে বসবাস করে আসছে।শুরু থেকে মানুষ এর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ছিল।বনে জঙ্গল থেকে পশু শিকার করে সবাই ভাগ করে খেত।কিন্তু কালের বিবর্তনে মানুষ যত আধুনিক হচ্ছে সেই শুরুর অভ্যাস হারিয়ে পশুর আচরন করা শুরু করছে।মানুষ এখন সব সময় চিন্তায় থাকে কিভাবে অন্যের ক্ষতি করে নিজে বড় হওয়া যায়। এক অসুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে চলছি আমরা।বড়,ছোট, দামি,সস্তা,সাদা,কালো,ধনী,গরীব এমন হাজারো অসুস্থ প্রতিযোগিতার বৈষম্য আমাদের অমানুষ করে তুলেছে। সব কিছুর শেষে আমরা যে মানুষ এই কথা ভুলে যায়।কিসের এত দেশের বিভক্তি আমি বুঝি না।মানুষই আমাদের বড় পরিচয় এই ত্রিভুবন তো একটাই আর এই ত্রিভুবনে যারা বসবাস করে মানুষ পরিচয়ে তারা সকলে আমাদের ভাই।তাহলে কেন এতো কাঁটা তারের বিভক্তি কেন ছোট, বড় তুলনা করা হয়।সব কিছুর ঊর্ধ্বে আমরা মানুষ এই পরিচয়ে ছুড়ে ফেলা হোক পৃথিবীর দেশ নামের বিভক্তির কাঁটা তার।বৈষম্য নামের ভয়ংকর ব্যাধি থেকে মুক্ত হোক পৃথিবী।আমরা যুক্তিতর্ক করে থাকি যেমন ডিম আগে না মুরগী আগে। সবাই বলে ডিম আগে। তাহলে আমরা মানুষ ও তো এক জোড়া মানুষ হতে তৈরি। তাহলে কেন এত ধনী গরীব বৈষম্য কোন পৃথিবীর এক পান্তের মানুষ মানুষের মৌলিক অধিকার খাদ্য অভাবে মারা যায়।অন্য প্রান্তের মানুষ খাদ্য নষ্ট করে।কিন্তু হাজারো বছর আগে শিকার করে সবাই ভাগ করে খেতাম। উন্নতির সাথে বৈষম্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। কি আজীব পৃথিবী!!
আমি মনে করি মানুষে মানুষে ধনসম্পদের যে বৈষম্য, তা যদি মোটামুটি একটা সহনীয় পর্যায়ে আনতে পারা যায়, তাহলে মানুষের সঙ্গে মানুষের বিরোধ অনেকটা কমে আসবে। অস্থিরতা কমে আসবে। অস্থিরতা দেখা দিলে সাধারণ মানুষ এগুলো রুখে দাঁড়াবে।আমরা যেন নিজের মস্তিষ্ক কে শুধু নিজে ভালো থাকি এই মন মানসিকতা বাদ দিতে হবে।আমাদের চারিপাশে যেই মানুষ গুলো দেখি সবাই আমাদের ভাই বোন।পৃথিবীতে যারা মানুষ পরিচয়ে বসবাস করে।তারা সবাই আমার আপন জন।আপনার বাসার পাশে এক জন আপনার থেকে নিম্ন আয়ের মানুষ বসবাস করে।আপনার উচিত হবে বৈষম্য নয় ভালোবাসা দিয়ে কাছে টেনে নিতে হবে। সমাজে বিদ্যমান আলোচনা-সমালোচনা অন্ত নেই। বর্তমান সময়ের অনেক সমস্যার জন্য বৈষম্যই দায়ী।আইন নিয়ম কানুন দিয়ে বৈষম্য দুর করা সম্ভব নয়।বৈষম্য দুর করার একমাত্র উপায় হচ্ছে মানুষের প্রতি মানুষের ভাতৃত্ববোধ।সবমিলিয়ে সামাজিক বৈষম্য গোটা বিশ্বে ধারণ করছে বড় আকারের ব্যাধি। ধনীরা দিন দিন আরও ধনী হচ্ছে। অন্যদিকে, গরীবরা হচ্ছে আর বেশি গরীব। কিন্তু সমাজের উঁচু স্তরে উঠে নিজেদের দায়িত্বটা সে অর্থে ঠিকভাবে পালন করছে না ধনীরা। করোনাভাইরাসের মহামারির সময়েও বদলায়নি দৃশ্যপট। হাজার হাজার মানুষ না খেতে পেরে দিনের পর দিন অনাহারে থাকছ। মানুষের কঠিন সময় যেন আমরা মানুষের পাশে থাকতে পারি। বৈষম্য আমাদের সমাজের বৃহত্তম একটি সমস্যা এবং এটি সমাধানের জন্য আমাদের সকলের একত্রিত হয়ে কাজ করা উচিত।
আপনার লেখাটা চমৎকার। বৈষম্যের মূলে রয়েছে অর্থনৈতিক শ্রেণী বিভাজন। পৃথিবীর এক দল মানুষ ধনী থেকে ধনী হচ্ছে আরেকদল হচ্ছে সংকুচিত। অর্থের সুষম বণ্টন ভেঙে দিতে পারে এই বৃত্ত।ধন্যবাদ নির্মম সত্যটা তুলে ধরার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ❤️🙏
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হমম ভাই আপনি সঠিক বলেছেন উন্নতির কারনে মানুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি হচ্ছে। যে যত বেশি উন্নতির শিউরে তারমধ্যে ততবেশি বৈষম্য সৃষ্টি হয়েছে। আর সে নিচু জাতের মানুষকে অবহেলা করতে থাকে। যদি আমাদের মাঝে উঁচু-নিচু এভাবে না থাকতো তাহলে সবাই সুখে শান্তিতে বাস করত। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এরকম একটি পোষ্ট করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ ভাইয়া গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য❤️🙏
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit