নব্বইয়ের দশকের সেলুন : ১০% লাজুক খ‍্যাঁকের জন‍্য বরাদ্দ।

in hive-129948 •  3 years ago  (edited)

আজ - ১৪ আশ্বিন | ১৪২৮ বঙ্গাব্দ |বুধবার| শরৎকাল |

আসসালামু আলাইকুম,আমি ফারহান সাদিক , আমার ইউজার নাম @farhanshadik। বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমি আপনাদের দোয়ায় ভালোই আছি মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন।

আমি বাংলাদেশে প্রাচীনকালে মানুষের চুল কাটার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করব।আশা করি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে। আমার এই পোস্টের ১০% @shy-fox এর জন্য।

IMG_20210929_201120.jpg


ভাম্যমান সেলুনের দৃশ্য
Device : Realme 7
What's 3 Word Location: https://maps.app.goo.gl/9oGPAwcJKwz98Fuf6

চলুন শুরু করা যাক

প্রাচীনকালে মানুষের চুল কাটার জন্য কোন সেলুন ছিল না। হাটে, মাঠে, ঘাটে, বাজারে, ভ্রাম্যমান কিছু নাপিত ছিল যারা মানুষের চুল কাটার কাজে সাহায্য করতো।এখন আধুনিক সেলুনের ভিড়ে এবং কালের বিবর্তনে এই চুল কাটার ব্যবস্থা দেখা যায় না।উপরোক্ত ব্যক্তি নাপিতের নাম বিদু দাস ৭ বছর বয়স থেকে এমন ভাবে চুল কাটার প্রশিক্ষণ নিয়ে চুল কাটছে।আমি তার থেকে জানতে পেরেছি যে তার বাপ-দাদার কর্মকে ছোটবেলা থেকে অনুসরণ করে আসছে।গ্রামে এ সে বিদু নাপিত নামে পরিচিত।

IMG_20210929_201311.jpg
ভাম্যমান সেলুনের দৃশ্য -২
Device : Realme 7
What's 3 Word Location: https://maps.app.goo.gl/9oGPAwcJKwz98Fuf6

গ্রামের বৃদ্ধ মানুষ গুলো তার কাস্টমার।তার ভাম্যমান দোকানে দু ধরনের সেবা পাওয়া যায় চুল কাটা এবং সেভ করা।তার ওখানে চুল কাটার জন্য ১৫ টাকা এবং সেভ করার জন্য ১০ টাকা চার্জ নিয়ে থাকে।সে আমাকে জানায় আধুনিক সেলুন গুলোর জন্য তার ভাম্যমান দোকানে আর কাস্টমার পাওয়া যায় না।

এই ভাম্যমান সেলুন ব্যবস্থাকে দেখলে বোঝা যায় প্রাচীনকালে মানুষ কিভাবে।নিত্য প্রয়োজনীয় কাজগুলো পরিচালনা করত।

বিদু নাপিত এর ইচ্ছে ঃ-
সে এই পেশার মাধ্যমে তার জীবনের শেষ সময়টুকু পার করে দিতে চাই।এবং তার সংসারে ৪ সন্তানকে উচ্চশিক্ষিত করতে চাই।

             💗ধন্যবাদ সবাইকে💗
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

অনেক পুরনো স্মৃতি জাগিয়ে দিয়েছেন আপনি।আমিও এক সময় এই ভাবে চুল খেয়েছিলাম।এখনও মনে আছে আমার।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

ধন্যবাদ ভাইয়া

সত্যি বলতে অনেক আগেকার স্মৃতি যখন ৫ টাকা নিয়ে দাদার সাথে হাটে যেতাম হাটে গিয়ে চুল কাটতাম খুবই ভাল লাগত। তখন মুহূর্তগুলো অসাধারণ ছিল। এখন ধরেন 100 দেড়শ টাকা ও কিছু হয়না আনন্দ পাওয়া যায় না কিন্তু সেই সময় অনেক আনন্দ ছিল। এখন সচরাচর দেখা যায় না আপনি অনেক সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন আর লোকটির জন্য দোয়া রইল তিনি যেন তাঁর সন্তানকে উচ্চশিক্ষিত করতে পারে। অনেক ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।

ধন্যবাদ ভাইয়া

পুরনো স্মৃতি জাগিয়ে দিয়েছেন আপনি।আপনার পোস্ট দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পরে গেলো ভাইয়া।
শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন ভাইয়া।

ধন্যবাদ ভাইয়া