বাবা একটা ফোন কিনে দাও।কিছুদিন যাক,হাতে এখন টাকা নাই।না না হবেনা।খাওয়া বন্ধ করে,পড়াশুনা বন্ধ করে এরকম আরো টালবাহানা করে বাবার কাছে থেকে ফোনটা নিয়েই নিল সন্তান।কিছুদিন গেলো।
বাবা বাইক কিনে দাও।নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না করে আবারো সেই ছলাকলা করে সেটাও কিনে নিলো সন্তান।বাইক-ফোন দুটোই আছে।নিজেকে তখন স্মার্ট রোমিও ভাবে সেই সন্তান।
রাস্তা দিয়ে হাটার সময় চোখ থাকে ফোনের দিকে,মন থাকে মেসেজিং করাতে।আবার যখন বাইক নিয়ে বেরোয় তখন তো কোনো কথাই নাই।ভ্রুম ভ্রুম সাউন্ড করতে করতে বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে চলে।মাঝে মাঝে এক হাত দিয়ে গাড়ি কন্ট্রল করে আরেক হাত দিয়ে চুল ঠিক করে।এরই মধ্যে সামনে যদি কোনো মেয়ে চলে আসে,ব্যাস আর কোনো কথাই নাই।
গতকালের ঘটনা।আমাদের এখানকার একটা গ্রাম থেকে দুইটা তরুণ ছেলে মোটরসাইকেল চালিয়ে শহরের দিকে আসতেছিল।তখন সকাল ১০ টা কিংবা ১০ঃ৩০ এর মতো বাজে।বাড়ি থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়ে একটা বড় গাছের সাথে তাদের মোটরসাইকেল ধাক্কা লাগে এবং দুজন স্পট ডেট। আশেপাশের লোক জানায় তারা দুজন নাকি অনেক দ্রুতগতিতে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলো এবং তাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা খায় গাছের সাথে।এতেই শেষ হয়ে গেলো দুইটা জীবন।
ছবি
আমার কাছে তাদের দুজনেরই স্পট ডেটের ছবি ছিল কিন্তু এখানে সেগুলো দিলে হয়তো কমিউনিটি রুলস ব্রেক করা হবে।
একটাবার ভাবুন তো,তাদের বাবা মায়ের মনের অবস্থাটা কি?সামান্য একটু মজা আর ভাব নিতে গিয়ে জীবনটাই হারায় ফেললো দুইজন।
এই লেখাগুলো আমাকেও মানায়নি।কারণ আমি নিজেও তাদের বয়সী একজন তরুণ।তবুও বলছি।যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন,যানবাহন চালানোর সময় সর্বোচ্চ ভাবে সতর্কতা অবলম্বন করবেন।হেলমেট,গ্লভস,সেফটি প্যাডসহ আরো যা যা নিরাপত্তা সরঞ্জাম আছে সব ব্যবহার করবেন এবং গাড়ি চালানোর সময় বেশি গতিতে চালাবেন না।লাগুক না একটু সময় বেশি,তাও তো লাইফ সেফ থাকবেন