প্রথম এস,এস,সি পরিক্ষা ও আমার অভিজ্ঞতা||

in hive-129948 •  3 years ago 

গতকাল রাতে ভীতিটা একটু বেশিই কাজ করছিল।ঘুমানোর আগে চোখ বন্ধ করলেই দেখি এক্সাম দিচ্ছি।যাইহোক,অনেকবার এদিক ওদিক হয়ে কোনো ভাবে ঘুমিয়েছিলাম।৪ টা ১৭ এর দিকে এলার্ম বেজে উঠলে ঘুম থেকে উঠে ব্রাশ করে নিয়েছিলাম।তারপর ওযু করে তাহাজ্জুদ এর নামাজ আদায় করে ফজর নামাজের জন্য মসজিদে গিয়েছিলাম।৫ঃ৩০ এর দিকে বাসায় এসেই আবার বই নিয়ে শর্ট কোয়েশ্চেন পড়া শুরু করে দিয়েছিলাম।আরো এটা-সেটা পড়ে যখন ৮ টা বেজেছিল তখন গোসল সেরে এসে খেয়ে নিয়েছিলাম।তারপর স্কুল ড্রেস পরে প্রয়োজনীয় জিনিসপাতি গুছিয়ে নিয়ে ৮ঃ৪৫ এ বাসা থেকে বের হয়েছিলাম।পাশের বাসার ভাড়াটিয়া,চাচু আর আংকেল আন্টিদের বলে বাবার সাথে রিক্সায় করে রওনা হয়েছিলাম হলের উদ্দেশ্যে।আমার সিট পড়েছে গার্লস স্কুলে আর গার্লস স্কুলদের সিট আমাদের হাই-স্কুলে🥱।
গার্লস স্কুলে যেতে হলে আমাদের স্কুলের উপর দিয়ে যেতে হয়।তো যাওয়ার সময় আমাদের স্কুলের সামনে অভিভাবকদের এত্ত ভিড় ছিল তা বলার বাহিরে।
আবার কেন্দ্রে তথা গার্লসের সামনে আরো বেশি ভিড়🥵।কোনো রকমে ভিড় এড়িয়ে ভেতরে ঢুকে দেখি আমার কক্ষ নাম্বার ২২৩।একটু খোজাখুজি করেই রুম পেয়ে গিয়েছিলাম।সিটে বসার পর তো হার্টবিট একদম হাই হয়ে গিয়েছিল।দুই পাশে লাইনে মেয়েরা ছিল শুধু আর মাঝের লাইনে ছেলে🥴।

IMG20211114144731.jpg

৯ঃ৩০ এ ওএমআর শিট এবং খাতা দিয়েছিল।তারপর এডমিট কার্ড দেখে সব পূরন করে খাতা সাইন করে নিয়েছিলাম।এবার এসেছিল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। প্রশ্ন নিয়ে পিয়ন এসেছিল।প্রথমে এমসিকিউ কোয়েশ্চেন দেয়া হয়েছিল।সময় ছিল ১৫ মিনিট আর এমসিকিউ দাগাইতে হবে ১২ টি।সাবধানতা অনুসরন করে আগে পেন্সিল দিয়ে দাগায় নিয়েছিলাম।যাইহোক,তখন ১১ মিনিট চলছে,শীট নিয়ে নেওয়ার ওয়ার্নিং বেল বেজে উঠেছিল।শেষে এ পাশের কয়জন সবাই সবগুলো দাগাতে পারলেও ওদিকের সবাই ৪/৫ টা করে দাগায়ছিল।শীট নেওয়ার পর একেক জন যে কান্না শুরু করেছিল যেন মানুষ মারা গেছে।কান্নাকাটি দেখে দায়িত্বরত শিক্ষক ওদের আবার শিট ব্যাক দিয়েছিলেন।
IMG20211114144704.jpg

IMG20211114144725.jpg

এবার পালা সিকিউ এর।দেড় ঘন্টায় লিখিতে হবে দুটি।লেখা প্রায় আমার শেষের দিকে।আর আছে তখন ৭/৮ মিনিট।আমার এক ফ্রেন্ড কান্না করে শেষ করে ফেলছিল।মানে ও তখনো একটা সিকিউও কমপ্লিট করেছিলনা। ওই বাকি সময়টুকু খাতা ওকেই দিয়ে দিয়েছিলাম।ওর লেখাও শেষ,বেল দেয়াও শেষ।তারপর রুম থেকে বেরিয়ে সবাই নিজেদের মাঝে নানান গল্প করতে করতে বাসায় এসেছি।
সব মিলিয়ে আল্লাহর রহমতে এক্সাম অনেক ভালো হইছে।হুদাই,ভয় পাচ্ছিলাম😅।

cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date. 14/11/21

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

যাই শেষ পর্যন্ত এসএসসি টা দিতে পারলে। এবং পরীক্ষার আগের রাতে প্রতিবারই আভি পরীক্ষা নিয়ে স্বপ্ন। কী ভয়ানক ছিল সেই স্বপ্নগুলো। এবং আমাদের স্কুলের সিটও গার্লস স্কুলে পড়ত।এবং গার্লস স্কুলের সিট টা আমাদের স্কুলে।

এসএসসির মতো বোর্ড পরীক্ষায় বন্ধুকে খাতা দেওয়ার এই ভুলটা করা ঠিক না।‍ যেকোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারত। পরবর্তীতে সাবধান থেক।

ভাই🥺🥺,,সে কথা মাথায় ছিলনা।এখন যে ভয় হচ্ছে,ভুলভাল করে দেয়নি তো😭😭

আসলে সত্যি বলতে কি পরীক্ষার অনুভূতিগুলি সত্যি মুখে বলে প্রকাশ করার মতো না ।যখন এক্সাম দিতাম এর আগের দিন রাতে সত্যি ঘুমাতে পারতাম না চিন্তায় চিন্তায় যে কাল কিভাবে কি লিখব পরীক্ষার প্রশ্ন কেমন আসবে এগুলো নিয়ে আসলেন নানান চিন্তা করতাম ।তবে আপনার পোস্ট পড়ে এতোটুকু বুঝতে পেরেছি আপনি খুব দয়াবান একজন মানুষ ।
কারণ বন্ধুকে আপনার খাতা দিয়ে অনেক বড় একটা হেল্প করেছেন আর নয়তোবা সে ফেল করে বসতো।

হয়তো 🙂 ভালোবাসা নিয়েন ভাইয়া😊

হ্যাঁ ভাইয়া আমারও এরকম হয়। এক্সামের আগের রাতে মনে হচ্ছে স্বপ্নে এক্সাম দিচ্ছি। আপনার মতই অভিজ্ঞতা আসলে আমরা যেটা নিয়ে ভাবে স্বপ্নে সেটাই দেখায়।যা হোক সকলের দোয়া নিয়ে গিয়েছেন খুবই ভালো লাগলো।সত্যি কথা বলতে ভাইয়া নৈবত্তিক মাথা নষ্ট করে দেয়। একদম সত্যিই আপনি খুব ধৈর্য্য নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছেন। যাই হোক সব মিলিয়ে ভালো ছিল।

ধন্যবাদ 🥰

আপনার অভিজ্ঞতা এবং আপনার এসএসসি পরীক্ষার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল। আর একটা কথাই বলি অনেক বাধা বিপত্তি পার করে সবশেষে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হলো। যাই হোক সব মিলিয়ে আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর ছিল। তাই আপনাকে আমার পক্ষ থেকে আপনাকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালোবাসা নিয়েন ভাই 🥰 দোয়া রাখেন।

সত্যি পরিক্ষার সময় সবার মধ্যে এক ধরনের ভীতি কাজ করে। অবশেষে অনেক জল্পনা-কল্পনার পর পরিক্ষা নিয়েছে সরকার। আপনার জন্য দোয়া রইল। আমি এর পরের বছর এস এস সি পরিক্ষা দিব। আমার জন্য দোয়া করবেন।
ধন্যবাদ!

অবশ্যই ভাইয়া🥰আপনাদের মেবি আগামী বছরের মে বা জুনে এক্সাম নেবে,,আজ বললো শিক্ষামন্ত্রী 🙂

ভয় পান আর টেনশন করেন যাইহোক ১০ বছরের সাধনা বলে কথা। রাতে ঘুমাতে পারেননি পরীক্ষার টেনশনে নাকি প্রেমিকা টেনশনে আপনিই ভাল জানেন,হাহাহা, আর এমন পরিস্থিতিতে আপনি ভোরবেলায় উঠে নামাজ পড়েছেন এবং কি ফজরের নামাজ আদায় করেছেন এটা শুনে খুবই ভালো লাগলো নিজের ভেতরটা আনন্দে ভরে উঠলো। অবশেষে আপনি অনেক সুন্দর করে ভালো করে পরীক্ষা দিয়েছেন। পরীক্ষার মুহূর্তগুলো খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। আমাদের সাথে আপনার এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।

আমি তো সেই ২০০৩ সালে গঠিত সিঙ্গেল কমিটির সভাপতি ভাই🙂প্রেমিকা ট্রেমিকা নাই😞
অশেষ ভালোবাসা 🥰

তোমার জন্য দোয়া রইল তোমার বাকি পরীক্ষাগুলো অনেক ভালো হোক। ভালো একটি রেজাল্ট নিয়ে সেই রেজাল্টের একটি পোস্ট দেখতে চাই। আশা করি তুমি অনেক ভাল রেজাল্ট করবে। তোমার মধ্যে সেই উদ্যম এবং শক্তি আছে। তুমি যে অনেক ক্রিয়েটিভ সেগুলো তোমার পোষ্টের মাধ্যমে প্রকাশ করো। শুভকামনা রইল তোমার জন্য ।আল্লাহ তোমার সহায় হোক।

আপনাদের দোয়া এবং ভালোবাসা ইনশাল্লাহ আমায় সফলতার দোরগোড়ায় নিয়ে যাবে ভাই🥰❣️
ভালোবাসা সীমাহীন 🔥

আসলে প্রথম পরীক্ষার অনুভূতি পরীক্ষার্থীদের কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি আপনার অনুভূতি গুলো সুন্দর হবে শেয়ার করেছেন আমাদের সাথে। আপনার প্রত্যেকটা পরীক্ষা ভালো হোক এই কামনাই করি। শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।

অনেক গুলা ধন্যবাদ ভাইয়া🥰

পরীক্ষা নিয়ে যতবারই স্বপ্ন দেখেছি ততোবারই ভয়াবহ স্বপ্ন দেখেছি। পরীক্ষার আগের রাতে সবারই এরকম অনুভূতি হয়। প্রথম জীবনের সবথেকে বড় পরীক্ষা অনুভূতিটা অন্য রকম থাকে সবারই। যাই হোক সব শেষে পরীক্ষা ভালো হয়েছে তাই অনেক। শুভকামনা রইল আপনার জন্য পরবর্তী পরীক্ষা গুলো যেন আপনার ভালো হয়।

দোয়া রাখবেন,ইনশাল্লাহ ভালো হবে🥰