মুসলমানদের প্রধান দুটি ধর্মীয় উৎসব হলো ইদুল-ফিতর এবং ইদুল-আযহা।ইদুল-ফিতর শেষ হওয়ার প্রায় আড়াই মাস পরই ইদুল-আযহা বা কুরবানি ইদ এর আগমন ঘটে।আর কিছুদিন পরই ইনশাল্লাহ সেই পবিত্র ইদুল-আযহা।আমার কাছে ইদুল-ফিতরের তুলনায় ইদুল-আযহাই বেশি ভালো লাগে।এসময়ের সবচেয়ে ভালো লাগার মূহুর্তগুলোই ঘটে কুরবানির হাটে ।
উৎস
সাধারণত হাট বলতেই একটা রম-রমা পরিবেশকে বুঝায়।কিন্তু কুরবানির হাট একটু বেশিই কোলাহলপূর্ণ এবং জাক-জমক হয়।সাধারণত একটি বিস্তৃত খোলা মাঠে হাটের আয়োজন করা হয়।দৃষ্টিনন্দন করার জন্য মাঝে মাঝে দড়িতে রঙ্গিন কাগজ লাগিয়ে মাঠের চতুর্দিকে ঘেরাও করা হয়।
আমার যখন ১১ কিংবা ১২ বছর বয়স তখন থেকেই বাবার সাথে কুরবানির হাটে যেতাম।সে যেন এক অদ্ভুত রোমাঞ্চ।বাসা থেকে আমাদের গ্রামের হাটটা বেশ দূরেই ছিল।দুপুরে খাওয়া সেরে ৩টা কিংবা ৩ঃ৩০ এর ভেতরই বাবা এবং আমি হাটের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পরতাম।তারপর অটো কিংবা সিএনজিতে করে হাটে যেতাম।গাড়ি থেকে নামার পরপরই যেন ভেতোরে থাকা রোমাঞ্চ বেরিয়ে পরতো।হাটের প্রবেশদ্বারেই শত শত লোকের সমাগম দেখেই মনটা নেচে নেচে উঠত।বাদাম কিনে দেয়ার পর বাবা আমার শক্ত করে ধরে হাটের ভেতোর ঢুকতো।সর্বপ্রথম যেবার হাটে গেছিলাম সেবারের আনন্দ-আবেগ সবচেয়ে বেশি ছিল।ছোট্ট ছিলাম,সব বড়দের ভীড়ে আমি ছিলাম নিতান্ত এক পিঁপড়া।সেইবারের অভিজ্ঞতা বেশ তিক্তই ছিল।গরুর পায়ের ঘুতা যে কতগুলো খাইছিলাম তা বলার বাহিরে।ঘুতা নাহয় সাইডেই রাখি।আরেক সমস্যা গরুর গোবর।তখন তো ওতো সচেতন ছিলাম না,এদিক সেদিক দেখে হাটার হুসও নাই।নজর শুধু গরু-ছাগল এবং হাতের বাদামের দিকে।এসবের ফাঁকে কখন যে পায়ে গোবর লেগে যেত টেরও পাইতাম না।অনেক খোঁজাখুঁজির পর মনের মতো কুরবানির পশু পাওয়া গেলে তা কেনা হইতো।পশু কেনার যাবতীয় নিয়ম-কানুন শেষ করে বাবা আমি এবং গ্রামের কিছু লোকসহ হাটতে হাটতে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতাম।বাড়িতে রেখে বাবা-ছেলে আবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিতাম।বাসায় পৌঁছে আবার আম্মুর সাথে হাটের গল্প শুরু করে দিতাম।সব মিলে খুব উপভোগ করতাম সময়গুলো।
বিগত বছর থেকে হাটের মুখ দেখা হয়নি।মহামারির জন্য আশে-পাশে সেভাবে হাটও বসেনি।গতবারের তুলনায় এবার তাও একটু হাটে লোকজন বেশি বললেই চলে।বাসার সামনের রাস্তায় একসাথে ভাই-ব্রাদাররা দাঁড়িয়ে থাকি।কেউ গরু কিংবা খাসি নিয়ে গেলেই সবাই একসাথে বলে উঠি; কত হলো?এর ভেতোরেও একটা মজা আছে।দাম শোনার পর নিজেদের ভেতোর গবেষনা শুরু হয়ে যায়।এখনকার বিকেলগুলো এভাবেই কাটছে।আশা করি,পরেরবার থেকে ইনশাল্লাহ হাটে গিয়েই আগের মতো কুরবানির পশু কিনতে পারবো।
এই ছবিগুলো আপনি সোর্স যুক্ত করেও ব্যবহার করতে পারবেন না। কারণ তারা এটার অনুমতি দেয় না। এই ওয়েবসাইটে ছবি বিক্রি করা হয়। এগুলো ফ্রি ইউজের জন্য না।
https://www.google.com/search?q=kurbanir+hat&sxsrf=ALeKk00_gFfXAELMBfWqKiqWAD1Q8glvjw:1626447835974&source=lnms&tbm=isch&sa=X&ved=2ahUKEwiG0Yis7ufxAhWCXCsKHQ_UAtoQ_AUoAnoECAEQBA#imgrc=NsCKPRLeg0YsZM
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ভাইয়া আমি তো সে বিষয়ে জানতাম না।জানানোর জন্য ধন্যবাদ।তবে আমার কি এই কাজের জন্য কোনো সমস্যা হবে?
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
next time thake bisoita kheal rakben
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Obossoi vaiya🥰dhonnobad
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ইনশাআল্লাহ্
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি পড়ে দেখার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
তুমি ভালো লিখেছো ভাইয়া। কিন্তু ছবির বিষয়টি একটু যত্নশীল হতে হবে ।https://pixabay.com/ তুমি এই সাইট থাকে ফ্রি ফটো নিতে পারবে এবং এই সাইটের সোর্স দিবে ।তাহলে কোন সমস্যা হবে না ।তোমার লেখা যথেষ্ট ভালো। তোমার জন্য শুভেচ্ছা রইলো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit