আসসালামু আলাইকুম,আশা করি সবাই কুশল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ,আমিও ভালো আছি।
ব্যবসা,এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে এটা চলেনা।ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে চিকিৎসা কিংবা শিক্ষার মতো জায়গাগুলোতেও এখন ব্যবসা চলে।এখন বললে হয়তো ভুল হবে,অনেক আগে থেকেই চলে তবে আমি হয়তোবা শিকার হয়েছিলাম না।এস,এস,সি এক্সাম শেষ করেছি।কলেজে ভর্তির আবেদন করেছি,কলেজ চয়েজের রেজাল্ট এসেছে।প্রথম চয়েজে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ,ঢাকা এসেছিল।কিছু কারণে সেখানে ভর্তি নিশ্চায়ন করিনি।দ্বিতীয়বার আবার চয়েজ দিয়েছিলাম।সেবার এলো আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ,বগুড়া।আর চিন্তা ভাবনা করিনি।ভাবলাম এখানেই ভর্তি হই🙂।বাসা থেকে বগুড়া এসেছি এক সপ্তাহের বেশি হলো।বাবা আজ এসেছিল,কলেজে ভর্তি করানোর জন্য।
কলেজের গেটই দেখেন,ভেতরে আর কিছু আপাতত না দেখলেও চলবে।প্রয়োজন হলে কোনো একদিনের পোস্টে আমি দেখায় দিবো সব।
যাক গে,কথায় আসি।তো বাবা আসলো,এসে আমায় ফোন দিয়ে ডাকার পর আমি বাবা আর আমার খালাতো ভাই সাকিব এই তিনজন মিলে গেলাম কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য।গেটের পাশেই দেখি বেশ কয়েকজন লোক দাঁড়িয়ে।আমরা ভেতরে ঢোকার আগেই একজন জিজ্ঞাসা করলো কলেজে ভর্তি হতে যাবেন?বললাম হ্যাঁ।তিনি বললেন,আমার সাথে চলেন।যা যা করা লাগে করে দিচ্ছি।ভাবলাম সুবিধা হবে তাই তার কথায় সম্মতি জানিয়ে তার সাথেই গেলাম।
কলেজ ভবনের নিচ তলায় ভর্তি ফর্ম দিচ্ছিল।আগে সেটা নিয়ে পূরন করতে হবে।৫০০ টাকা দিয়ে সেই ফর্ম নিয়ে পূরন করেছিলাম।তারপর আবার সেই ফর্ম এবং আনুষাঙ্গিক কাগজ-পাতি নিয়ে স্যারদের রুমে যেতে হয়েছিল যাচাইয়ের জন্য।সেখানে গিয়ে সব যাচাই করার পর আবার সহকারী পরিচালকের কাছে যেতে হয়েছিল কাগজপাতি আবার দেখানোর জন্য।তিনি অনুমতি দেয়ার পর আবার দ্বিতীয় তলায় যেতে হয়েছিল সফটওয়্যারের কাজের জন্য এবং টাকা জমা দেয়ার জন্য।সফটওয়্যারের কাজ শেষে একটা রিসিট দিয়েছিল।সেই রিসিট নিয়ে আবার বুথে গিয়ে আমায় ১৫৮৩০ টাকা পরিশোধ করতে হয়েছিল ভর্তি বাবদ।
এখান থেকে দেওয়া রিসিট নিয়ে আবার যেতে হয়েছিল বুথের পাশের রুমে ড্রেসের টাকা দেয়ার জন্য।সেখানে গিয়ে আমায় দিতে হলো ২৫৩০ টাকা।
তারপর আবার পাশের রুমে গিয়ে সেখানে আমায় ড্রেসের মাপ দিতে হলো।বাবা জিজ্ঞাসামূলক ভংগিমায় বলেছিল,আমি যদি অন্য কোথাও থেকে বানায় নেই?তো উত্তরে বসে থাকা দর্জি বললো,কলেজ থেকে আমাদের কাছে কাপড় দিয়েছে এবং আমরা কলেজের সাথে চুক্তি করেছি।কলেজে কি সু পরতে হবে ভাইয়া আবার সেটা শুনতে গেলে তাকে বলা হয়েছিল,সাতমাথায় এপেক্স শো-রুমে গিয়ে কলেজের নাম বলতে।
মাপ দেয়া শেষ এবং ভর্তির যাবতীয় ক্রিকলাপও শেষ।তারপর সেখান থেকে চলে এসেছিলাম।
এখজ বলি।শিক্ষকদের থেকে যাচাই করে নেওয়ার পর যখন সহকারী পরিচালকের কাছে গিয়েছিলাম তিনি বাবার বার্ষিক আয় ১৮০০০০ টাকা দেখে জিজ্ঞাসা করেছিলেন,খরচ বেয়ার করতে সমস্যা হবেনা তো?মানে,অবস্থা দেখে গলায় ছুরি ধরছে।অনেকে এই প্রশ্নের সম্মুখীন না হওয়ার জন্য হুদাই ৩/৪ লক্ষ টাকা বার্ষিক আয় দেখাচ্ছে এবং তা দেখে এরা ভাবছে নির্দ্বিধায় এই ফ্যামিলি খরচ চালাতে পারবে।
একদিক দিয়ে পোষাচ্ছেনা,আবার টেইলার্সের সাথেও চুক্তিবদ্ধ।টাকা আনার কোনো ওয়ে বাদ যায়নি।
কি আর বলবো,যুগটাই এমন।মেনে নিয়েই চলতে হবে😊।শুধু যে এই এক প্রতিষ্ঠানই এমন তা তো না,দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে আছে এমন প্রতিষ্ঠান।
cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.22/02/22