আমাদের দেশে আম ,জাম, কাঁঠালের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন তৃপ্তির আরেকটি নাম হলো তাল শাঁস বা যেটাকে আমরা অনেকেই তালখুর নামেই চিনি।এখন যে সময়টা সেই তাল শাসেরই। যেহেতু আমি তাল শাঁসের একজন নিয়মিত ভোক্তা তাই ভাবলাম একে নিয়ে ছোট একটা আর্টিকেল লিখেই ফেলি।
তাল শাঁস এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যদিও ফলটি প্রধানত পাকা অবস্থায় খাওয়ার জন্য,কিন্তু কাঁচা অবস্থাতেও এটি বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে,পাশাপাশি পটাশিয়াম,দস্তা,আয়রন,কপারসহ আরো অনেক বেশ কিছু উপকারী উপাদান থাকে।রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও খুব ভাল ভূমিকা রাখে। উপকারি দিকতো বললাম,এবার নাহয় আমার এবং তাল শাঁসের একটু কাহিনী শুনাই।
সকাল ১০ টা থেকে ১১ টা আমার রসায়ন প্রাইভেট চলে। ঐ প্রাইভেট শেষে আমরা পাঁচজন বন্ধু প্রতিদিনই তাল শাঁস খাইতে যাই।একটা বাসার কাঁঠাল গাছের ছায়ায় রাস্তার পাশে বস্তার উপর বসে একজন আঙ্কেল যিনি তাল শাঁস বিক্রি করেন।অন্য দশজনের মতো আমাদেরও নরম শাঁসই পছন্দ।যেহেতু দিন দিন তাল পেকে যাচ্ছে তাই এমন সময় নরম তাল পাওয়া একটু কঠিন ব্যাপার।যাইহোক আমরা পাঁচজন মনের আনন্দেই খাই পাশাপাশি ঐ আঙ্কেলের সাথে এটা সেটা গল্পও করি।খাওয়া শেষে যাওয়ার সময় নিজেদের মাঝে তালের স্বাদ নিয়ে ছোট খাটো গবেষনাই করে ফেলি। শাঁসের ভেতোর রস থাকায় খাওয়ার সময় আমাদের সবারই হাত মাখে বিধায় কিছুদূর গিয়ে একটা কলের পানিতে হাত ধুয়ে নেই। সেসময় হয় আরেক কাহিনী। প্রায় সময়ই একজন আরেকজের গায়ে পানি দেই।প্রাইভেট থেকে বাসায় আসার সময়টুকু এরকম খুনশুটিতেই কেটে যায়।
খাইতে আমি একটু বেশিই ভালোবাসি।সেই খাতিরেই আজ তালখুর নিয়ে লেখা।আশা করি আর্টিকেলটা পড়ে খুব একটা খারাপ লাগবেনা।আমার জ্ঞানের পরিধি খুবই স্বল্প,তাও মাথায় যেটুকু আসে সেটুকুই তুলে ধরি।তবে আপনাদের সহযোগিতা পেলে আমার মনে হয় আমার লেখাকে আরো উৎকৃষ্ট করতে পারবো ।
এর ভেতরের নরম ও পানিয় অংশটা আমার খেতে খুবই ভালো লাগে। যাইহোক ভালো লিখেছেন আপনি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit