ইদের দিন অন্যদের কাছে হয়তো বিশেষ একটি দিন,প্রচুর আনন্দের দিন।কিন্তু আমার কাছে ক্যানজানি তেমনটা না।সাধারণ দিনের মতো করেই এই দিনটাও কাটাই।হয়তো ব্যস্ততার পরিমাণ একটু বেশি হয়।সেই ধারা অনুযায়ী এই ইদেও ব্যতিক্রমধর্মী কোনো স্বাদ পাইনি।
ইদের আগেরদিন রাতেই আম্মু বলে দিয়েছিল সক্কাল সক্কাল ঘুম থেকে ওঠার জন্য।ফোনে তাই ৬ টার এলার্ম সেট করেই রেখেছিলাম।কিন্তু পরেরদিন আমি ৫ঃ৩০ এ আপনাআপিনিই জাগা পাইছিলাম।দু হাত দিয়ে চোখ দুটো ঘষেই বালিশের নিচ থেকে ফোন বের করে ফেসবুকের নোটিফিকেশনগুলো চেক করার পর হাত-মুখ ধুয়ে এসে ল্যাপটপ নিয়ে বসলাম ইদের নতুন নাটক দেখার জন্যই।মুশফিক ফারহান অভিনীত "জুতা খোলা নিষেধ"এবং চাষী আলম,মারজুক রাসেল ও তানজিম হাসান অনিক অভিনীত "গরুর মাংস-২"দেখা শেষ করতে না করতেই বাবা তারা দেয়া শুরু করেছিল গোসল করার জন্য।কারণ এবার কুরবানি দেয়া হবে গ্রামের বাড়িতে,যেতেও তো সময় লাগবে।বাবার কথা শুনে গোসল করে আসার পর ইদের জন্য তৈরি করা আমার নতুন কাবলি পড়ে ফেললাম। ওদিকে টেবিলে আম্মু খাবার সাজিয়ে বসেছিল।রেডি হওয়ার পর সামান্য একটু খাওয়া-দাওয়া করতেই রিকশা চলে আসছিল।তারপর বাপ-বেটা রওনা দিলাম গ্রামের বাড়ির উদ্দ্যেশে।রাস্তা ছিল বেশ ফাঁকা।মৃদু ঠান্ডা বাতাস।মোট কথা সুন্দর একটা পরিবেশ ছিল।বাড়ি পৌছানোর পর ঘরিতে দেখলাম জামাত শুরু হওয়ার মাত্র ১০ মিনিট বাকি।অযু করেই দিলাম মাঠের দিকে এক দৌড়।গ্রামের বারিতে খুব বেশি যাইনা,তাই সেখানে আমার চেনা-জানা লোকের সংখ্যা খুবই কম।নামাজ শেষেও তাই একা একাই বাড়িতে ফিরলাম।কিছুক্ষনপর গ্রামের মুরুব্বিরা গরু-খাসি নিয়ে প্রস্তুত হয়ে গেল।মসজিদের হুজুর আসার পর একেক কর সব পশু কুরবানি করা হলো।
বাবা-আমি বসে বসে সব কাজ দেখতেছিলাম।খাইছি সেই ৭ টায়,তখন বাজে ১২ টা।ক্ষুধার জ্বালা সহ্য না করতে পেরে,পাশের গ্রামে আমার মেজো খালার বাড়িতে গিয়েছিলাম।সেখানে গিয়েও দেখি আন্টি নিজেও কুরবানির কাজে ব্যস্ত।মনে মনে ভাবলাম,এত্তোখানি হেটে এসে ক্ষুধার পরিমাণ না বাড়ালেও পারতাম।এসেই পরছি কি আর করার।বাড়ির ভেতোর গিয়ে টিভি দেখতে দেখতেই খালাতো বোন এসে খাইতে দিল।খাওয়ার পর কিছুক্ষন বিশ্রাম না নিতেই বাবা ফোন করে জানালো,আমাদের সব কাজ শেষ।একটু পরই রওনা দেবো,চলে এসো।আন্টির থেকে বিদায় নিয়ে আবার গেলাম দাদিবাড়ি।সেখান থেকে ভ্যানে করে চলে আসলাম বাসায়।বাসায় এসেই আবার গোসল করেছিলাম।বলুন তো তারপর কি করেছিলাম?কি আবার সকালে যে সব নাটক দেখতে পারিনি,সেগুলো দেখতে হবেনা?তারপর আরো ৪ টা নাটক দেখেছিলাম।এর ভেতোর আম্মুর রান্নাও হয়ে গেছিল।খেয়ে দেয়ে আবার নাটক দেখা শুরু করেছিলাম।১০ টা পর্যন্ত ওসব করার পর ঘুমের সাগরে ডুবকি লাগাইছিলাম।
এভাবেই কেটেছে আমার গতকাল।কোনো কাজই কিন্তু করিনি তবুও আমিই সবার থেকে ক্লান্ত ছিলাম।বলেন তো কেনো?আরে বাবা বুঝাইতে হবে তো যে আমি অনেক কাজ করেছি।
SHOT BY:@farhantanvir
SHOT ON:huawei u29
DATE:21/07/21
LOCATION
ভাই এটা সোস্যাল সাইট সবাই সকল দৃশ্য সহ্য করতে পারে না, বিশেষ করে জবাই করার দৃশ্যগুলো। যেমন আমার ছেলে খুব ভয়পায় এবং এগুলো সব সময় এড়িয়ে চলে। সুতরাং এই রকম দৃশ্যগুলো সামাজিক সাইটে শেয়ার না করারই উত্তম। আশা করছি আমি কি বুঝাতে চাইছি সেটা বুঝতে পারছেন। ধন্যবাদ
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া আমি বুঝতে পেরেছি।আমি আমার কৃতকর্মের জন্য অত্যন্ত দুঃখিত।আশা করি,ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।ইনশাল্লাহ পরবর্তীতে এমন ভুল হবেনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit