এখন থেকে দু-দশক আগেও বোধয় নারীদের বাইরে কাজ করতে দেখা যায়নি।হঠাৎ মঠাত হয়তো বড় কোনো কাজ যেমন,ডাক্তার ব্যারিস্টার এসব পদে দুই একজন দেখা গেছে।কিন্তু সংসারের হাল ধরার জন্য কখনোই একজন নারীকে দেখা যায়নি দোকানে বসতে কিংবা পথে পথে কাপড় বিক্রি করতে।তবে এখনব সেসবই ঘটছে।
গতকাল জুম্মার নামাজ শেষে ভাই-ব্রাদাররা মিলে একটু ঘুরতে বেরোইছিলাম।ঘোরা শেষে বাড়ির পথে হাটা দিয়েছি।পথের পাশে একটা পুকুর পাড়ের ওপর দেখি একটি চায়ের দোকান।আবহাওটাও চা পানের জন্য একদন পারফেক্ট ছিল।ভেতোরে গিয়ে বসার পর সে যেন আরেক শান্তি।পাশ দিয়ে বইছিল ঠান্ডা বাতাস।দোকানের দোকানি ছিল কিন্তু একজন আন্টি।বয়স ৩৫ বা তার কাছাকাছি হবে হয়তো।
ঘড়িতে তখন সন্ধ্যা ৭ঃ৩০।সেসময়ও দোকানে বেশ ভালোই ভিড় ছিল।আন্টিও বেশ রশিক মানুষ ছিলেন।সব কাস্টমারদের সাথে বেশ কথা বলছিলেন,হাসতেছিলেন।মানে একজন পাকা দোকানদারের যা কাজ আরকি।গল্প করতে করতে সবার চা খাওয়া তখন শেষ।আবার হাটা লাগালাম বাড়ির পথে।
আন্টির হাতে তৈরি চা।
পুকুর পাড়ের ওপর আন্টির চায়ের দোকান।
ঘুরতে যাওয়ার সময় আমাদের একটা গ্রুপ সেলফি।
সমাজ অনেকদূর এগিয়ে গেছে।এ সমাজে কেউ পিছিয়ে নেই।ইচ্ছা আর করার মতো শক্তি থাকলে কাজ কারো থেকে দূরে থাকবেনা।ছবির ওই আন্টি তার চায়ের দোকান থেকে যে টাকা পান তা দিয়ে এক হাতে তার সংসার চালান।যুগান্তরের ঘুর্নিপাক তিনিও দেখছেন।তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন,নিজের ভেতোর ইচ্ছাশক্তি আর মনোবল ঠিক থাকলে সবই করা সম্ভব।
Shot by. @farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date. 31/07/21