---

বাংলাদেশের বগুড়া জেলার বেহুলার বাসর ঘর।

---

ফটো এডিটর : PicsArt.

বেহুলার বাসর ঘর বগুড়া শহর থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিনে বগুড়ার গোকুল মেধ নামক স্থানে অবস্থিত। অবস্থিত । বেহুলার বাসরঘর নিয়ে অনেক কথিত গল্প ও কথা আছে।

বেহুলার বাসর ঘরের গল্পটি সংক্ষিপ্ত আকারে বলছি । এক সওদাগর নাম ছিল চাঁদ সওদাগর । তার ছেলে পুত্র লক্ষিন্দর । চাঁদ সওদাগরের পুত্র লক্ষিন্দারের সাথে বেহুলার বিয়ে ঠিক হয় । তাদের উপর একটি অভিশাপ ছিল যে , চাঁদ সদাগরের ছেলে সাপের ছোবলে মারা যাবে । সাপ যেনো চাঁদ সওদাগরের ছেলে লক্ষিন্দার কে ছোবল মারতে না পারে, সেই জন্য লোহার সুরক্ষিত একটি বাসর ঘর তৈরি করা হয় এখানে। বর্তমানের বেহুলার বাসরঘর খনন করে পাওয়া যায়। এটি এখন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধীনে রয়েছে। এখানে প্রতিদিন অনেক পর্যটক এর ভিড় হয়।

তাহলে বন্ধুরা আসুন দেখা যাক আমার শহর বগুড়ার বেহুলার বাসর ঘরের ছবি।

_{ছবিতে চাঁদ সওদাগরের বাসভবন দেখা যাচ্ছে।}

_{চাঁদ সওদাগরের বাসভবনের মাঝে তৈরি করা হয়েছিল বেহুলা লক্ষিন্দরের লোহার বাসরঘর। ছবিতে বাসরঘর টি দেখা যাচ্ছে।}

বেহুলা লক্ষিন্দরের বাসর ঘরটি অনেক উঁচু জায়গায়। উঁচু জায়গা থেকে আশেপাশের এলাকাটি দেখতে খুব ভালো লাগে । ছবিটি উঁচু জায়গা থেকে তোলা নিচের দৃশ্য।

_{চাঁদ সওদাগরের বাসভবন তথা বেহুলা লক্ষিন্দারের বাসর ঘরের প্রধান প্রবেশ পথ।}

_{প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের সাইনবোর্ড ও বেহুলা লক্ষিন্দরের বাসর ঘরে প্রবেশের জন্য টিকিটের লিস্ট।}

গোকুল মেধ মন্দির তথা বেহুলার বাসর ঘর এলাকার সবচেয়ে বিখ্যাত হরেক রকমের পানমসলা দিয়ে তৈরি করা পান। এখানে যত পর্যটক বেড়াতে আসে তারা সবাই এখানকার পান একবার হলেও খায়। এখানকার পানগুলো তুলনামূলকভাবে খুব ভালো এবং দাম একটু বেশি।

বেহুলার বাসর ঘরের সামনে অনেক ধরনের দোকান ব্যবসা বসে । তারমধ্যে খেলনার দোকান গুলো অন্যতম । উপরের ছবিগুলোতে খেলনার দোকান ও কিছু কাচের তৈরী শোপিস দেখা যাচ্ছে।

গুগল ম্যাপ লিংক : https://w3w.co/sensory.dusted.crimping

বন্ধুরা এই ছিল বগুড়ার বেহুলার বাসর ঘরের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও ছবি। এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লাগে , তাহলে আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার কমেন্ট আমার কাছে অনেক মূল্যবান। আপনার কমেন্ট আমাকে আগামী দিনের পোস্ট লেখার প্রেরণা দেয়।

ধন্যবাদ সবাইকে।