- ৩রা ভাদ্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
- ১৮ই আগস্ট, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ
- ১৯শে মহর্রম, ১৪৪৪ হিজরি
- বৃহস্পতিবার
- শরৎকাল
সবাইকে শরতের শুভেচ্ছা ও ভালবাসা। আশা করছি সবাই ভালো আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ খুব ভালো আছি। বন্ধুরা আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি আমার নতুন একটি পোস্ট নিয়ে, আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি সুলতান'স ডাইনে কাচ্চি খাওয়ার অভিজ্ঞতা।
মূলত গতকাল আমি অফিস থেকে ছুটি নিয়েছিলাম পারিবারিক একটি কাজের জন্য। অনেকদিন যাবত আমার সহধর্মিণী আমাকে খুব করে বলছিল সুলতান'স ডাইনে গিয়ে কাচ্চি খাওয়ার জন্য। সময় এবং সুযোগ স্বল্পতার কারণে কিছুদিন যাবত বাহিরে যাওয়া হচ্ছিল না। আমি সুলতান'স ডাইনে কয়েকবার খেয়েছি সেটা বসুন্ধরা এবং ধানমন্ডিতে যেটা আমার কাছে মোটামুটি ভালো লেগেছিল। আমি পরিচিত অনেকের কাছেই শুনেছি গুলশান-২ অবস্থিত সুলতান'স ডাইন এর খাবারের স্বাদ একটু আলাদা। আমার কাজটা যেহেতু গুলশান-২ এরিয়াতে ছিল সেজন্য লাঞ্চ গুলশান সুলতান'স ডাইনে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।
দুপুর দুইটার দিকে কাজ শেষ করে আমরা গুলশান-২ এর দিকে যাই। কিন্তু সঠিক অবস্থান না জানার কারণে আমরা ওখানকার একটা বিল্ডিং এর সিকিউরিটি গার্ডকে রেস্টুরেন্টের অস্থান সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম এবং উনি আমাদের সাহায্য করলেন। রেস্টুরেন্টের ঠিকানা হল, প্রথম ফ্লোর, সামসুদ্দিন ম্যানশন, হাউস: ৪১ রোড: ৫২, গুলশান-২, ঢাকা ১২১২। বন্ধুরা আপনাদের সুবিধার জন্য ঠিকানাটা জানিয়ে দিলাম। যাইহোক রেস্টুরেন্ট এর অবস্থান যেহেতু দুই তলায় ছিল তাই আমরা সিঁড়ি দিয়ে উঠার সময় দেখতে পেলাম সুলতান'স ডাইনে এর খাবারের ছবি সহ কিছু পোস্টার।
রেস্টুরেন্ট এর ভিতরে প্রবেশ করে আমাদের পছন্দমত একটা টেবিলে বসে গেলাম। রেস্টুরেন্টের অভ্যন্তরের ডেকোরেশন গুলো আমার কাছে খুবই চমৎকার লেগেছে। লাঞ্চ টাইম হওয়ার কারণে লোকসমাগম একটু বেশি ছিল। যদিও আমি আগে থেকেই জানতাম সুলতান'স ডাইন এর এই ব্রাঞ্চ টা তে অনেক বেশি রাস হয় অন্য ব্রাঞ্চ গুলোর তুলনায়। ওই সময়টায় আমরা লক্ষ্য করলাম প্রায় সবগুলো টেবিলেই কাস্টমারে পরিপুর্ণ ছিল।
- কাচ্চি (বাসমতি ১:২)- ২ টা
- বোরহানি
- আলু বোখারার চাটনি
- বোতল পানি
এখানে বলে রাখা ভালো আমরা কোমল পানীয় অর্ডার করতে গিয়েও করি নাই। কারণ কোমল পানীয় খাওয়ার মতো লোক শুধুমাত্র আমি ছিলাম। যাইহোক ওয়েটার আমাদের অর্ডার নিয়ে যাওয়ার সময় বলেছিল ১৫ মিনিটের মত সময় লাগবে খাবার আসতে।
খাবার অর্ডার করার পর যথারীতি আমরা কিছু ফটো তুলে নিলাম এবং ওয়াশ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। এরইমধ্যে ওয়েটার আমাদের বোরহানি এবং পানি দিয়ে গিয়েছে।
কিছু সময় অপেক্ষা করার পর আমাদের অর্ডারকৃত বাসমতী চালের মাটন কাচ্চি টেবিলে পরিবেশন করা হল। যেখানে বাসমতী চালের কাচ্চির উপর দুইটা প্লেটারে চারজনের জন্য চার পিস চার পিস ৮ পিস মাটন এবং ২ পিস করে চার পিস বড় আলু দিয়েছিল। সাথে আলুবোখারার চাটনি এবং সালাদ ছিল। খাবারের পরিমাণ বেশ ভালই ছিল, যারা আমার মত ভোজন রসিক তাদের দুজনের জন্য একটা প্লেটার খুব ভালভাবে হয়ে যাবে। আর যারা একটু কম খেতে অভ্যস্ত তাদের জন্য দুজনের একটা প্লেটার তিনজন শেয়ার করতে পারবে।
খাবার আমরা নিজেরাই যার যার প্লেটে পরিবেশন করে নিলাম। প্রথমে আমি রাইস দিয়ে শুরু করলাম এটা খেতে আমার কাছে কিছুটা গ্রেভি মনে হয়েছে কিন্তু খারাপ ছিলনা ভালই লেগেছিল এবং কিছুটা অয়েলি ছিল। যাইহোক কাঁচিতে একটু ওয়ায়েল থাকবে এটাই স্বাভাবিক। এরপর মাটন দিয়ে খাওয়া শুরু করলাম মাটন বেশ নরম এক কথায় তুলতুলে নরম ছিল। রাইস এর সাথে মাটন দিয়ে খাওয়ার সময় আমার কাছে এর স্বাদ অসাধারণ মনে হয়েছে। আমি পেট পুরে খেয়ে নিয়েছি কিন্তু বাকি তিনজন তাদের খাবার শেষ করতে পারিনি কারণ তারা আমার মতো ততটা ভোজন রসিক না।
যাই হোক আমরা তৃপ্তি সহকারে খাবার খেয়েছিলাম কারণ খাবারের স্বাদ বেশ ভালই লেগেছিল। খাবার সম্পর্কে বাকি তিন জনের কাছ থেকে মতামত জানতে চাইলে তারাও ইতিবাচক মন্তব্য করেছিল। খাবারের পরিমাণ বেশি হওয়ায় আমাদের বেশ কিছু খাবার বেঁচে গিয়েছিল।
তারপর খাওয়া শেষে আমরা কিছু সময় কথাবার্তার মাধ্যমে অতিবাহিত করেছিলাম। আমার সহধর্মিণীর খাবার শেষে কফি খেতে মন চেয়েছিলো কিন্তু দুঃখের বিষয় তাদের ওইখানে কফি ছিল না । তারপর আমরা ওয়েটারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আমাদের বিল কপি দিতে বললাম। আমাদের সর্বমোট ১৫০৮ টাকা বিল হয়েছিল। বিল পরিশোধ করার পর আমরা টিপস হিসাবে কিছু টাকা আমাদের টেবিলের ওয়েটারের জন্য রেখে দিয়েছিলাম।
সবমিলিয়ে খাবারের স্বাদ, মান, পরিবেশ এবং পরিবেশন বেশ ভালই লেগেছিল। যাইহোক বন্ধুরা আজকের মত এখানেই শেষ করতে হচ্ছে কোন ভুল ত্রুটি হলে দয়া করে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। পরবর্তী সময় আমার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হব সে পর্যন্ত সবার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি আপনার পরিবারকে নিয়ে সুলতান'স ডাইনে মাটন কাঁচ্চি খাওয়ার সুন্দর অনুভূতি গুছিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। জানতে পেরে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর অনুভূতিগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার অসম্ভব সুন্দর মন্তব্য করার জন্য
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সুলতান'স ডাইনে মাটন কাচ্চি আমার কাছে ভিশন ভালো লাগে। সময় পেলে মাঝে মধ্যে চলে যায়। কিন্তু বেশ কয়েকদিন হলো খাওয়া হচ্ছে না। আপনার পোস্ট দেখে তো জিহ্বা দিয়ে পানি চলে আসলো।আপনি সুন্দর কিছু মূহূর্ত ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
জি ভাইয়া , আমারও পছন্দের একটি রেস্টুরেন্ট যেখানে মাঝে মাঝে কাচ্চি খেতে যাওয়া হয় । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টে মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit