হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। হঠাৎ দেখা গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আরো একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে ভূতের গল্প পড়তে সব থেকে বেশি ভালো লাগে কারণ সে ধরনের গল্প গুলোর মধ্যে অনেক বেশি কৌতূহল জাগে। তাছাড়া সবাই গল্প শেয়ার করে সেই গল্পগুলো পড়েও খুবই ভালো লাগে। আজকে আমি নতুন আরেকটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের গল্পটি হচ্ছে হঠাৎ দেখা(১ম পর্ব)। অনেক রকমের গল্পই আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি তবে এইরকম গল্প আপনাদের মাঝে এরকম কখনো শেয়ার করা হয়নি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভালোবাসার গল্প শেয়ার করব। দুটো মানুষের মধ্যে কিভাবে ভালোবাসা পূর্ণতা পেল সেই গল্পটি আছে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার চেষ্টা করছি।
দুটো পরিচিত মানুষ তাদের প্রেম কাহিনীর গল্পই আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে এসেছি। একটা ছেলে এবং একটা মেয়ের প্রেম কাহিনীর তাহলে চলুন শুরু করা যাক। গ্রামের একটা ছেলে সে গ্রামেরই একটা মেয়েকে অনেক বেশি পছন্দ করত। আর একটা সময় তাদের মধ্যে ভালোবাসা সম্পর্ক হয়। এভাবে একের পর একদিন কাটতে থাকে। মেয়েটির পরিবার ছিল বেশ বড়লোক। আর ছেলেটি ছিল মধ্যবিত্ত পরিবারের। আর বড়লোক পরিবারের মেয়ে হলে তাদের পরিবারের ডিমান্ড বেশি থাকে। তারা চাকরি ওয়ালা পয়সাওয়ালা ছেলে দেখে মেয়ে বিয়ে দেবে। সেই হিসেবে ঐ মেয়েটির পরিবারেরও সেই দাবি ছিল। এদিকে ছেলেটি এখনো লেখাপড়া করছে চাকরি এখনো পায়নি।
মেয়েটির আবার বাবা ছিলনা মা ছিল আর বড় ভাই ছিল। তারাই মেয়েটির অভিভাবক ছিল। পরবর্তীতে এই ছেলেটি তার পরিবারের সাথে এই মেয়েটির কথা যখন শেয়ার করে তার পরিবার এই মেয়েটির সাথে তার বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায়। মেয়েটি বেশ কয়েকবার ছেলের বাড়িতে গিয়ে তার মা বাবা ভাই বোনদের সাথে দেখা করে আসে। তাদের বিয়ে হবে এটা মোটামুটি ঠিকই ছিল। কিন্তু মেয়েটির পরিবার ছেলেটির পরিবারের সামনে কোন কিছু না বললেও পরবর্তীতে যখন বিয়ে ঠিক হয়ে যায় তখন মেয়েটির উপর চাপ দিয়ে মেয়েটিকে দিয়েই বিয়েটা ভাঙিয়ে দেয়। এরপর মেয়েটি বিয়ে ভেঙে দিয়ে মাকে নিয়ে চলে যায় তার বড় ভাইয়ের বাসায়।
এদিকে হটাৎ ঠিক হয়ে যাওয়া বিয়ে ভেঙে দিয়ে মেয়েটি ছেলেটি কেউ কিছু না জানিয়ে হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়ায় ছেলেটি অনেক বেশি কষ্ট পায়। কারণ ছেলেটি তো জানতো সবকিছুই ঠিক রয়েছে মেয়ের পরিবার ও রাজি তাহলে মেয়েটি কেন বিয়েটি ভেঙ্গে দিল। এরপর মেয়েটির আর গ্রামে কোন খোঁজ খবরই পাওয়া যায়নি মেয়েটির পরিবারের। আর পছন্দের মানুষের সাথে বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ার পর পছন্দের মানুষ নিজে যখন বিয়ে ভেঙে দেয় তখন তো খারাপ লাগে। ছেলেটি এই খারাপ লাগা থেকেই শহরের দিকে চলে যায় এবং আর বিয়ে করেনি।
আর ঠিকঠাক ভাবে তার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করত না। পরবর্তীতে একদিন ছেলেটার বোন ছেলেটা অনেক বছর পরই যোগাযোগ করে তার বাড়িতে আসতে বলে। বলে যে অনেকদিন তো হয়ে গেল তোর সাথে দেখা হয় না। ভাই একটু কি তোর বোনের কথা মনে পড়ে না অনেক বছরও কেটে গেল একটু তোকে দেখি না। একবার আমার বাড়িতে আয় তোকে একটু দেখতে অনেক বেশি মন চাইছে। বেশ অনেক বছর কেটে যায় ছেলেটিও একটা নরমাল জীবনে ফিরে আসে। তখন সে বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। তার ছোট একটা বোনের ছেলে ছিল গ্রামে বেড়াতে আসার পর বোনের ছেলেকে নিয়ে গ্রামটা দেখতে বের হয়(চলবে.....)
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/APatwary88409/status/1872971205051023615?t=_34u-8ml7qOJblF5jiG0mw&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit