হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বেশ কিছুদিন আগে আমি চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে গিয়েছিলাম সেখানকার কিছু মুহূর্ত আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। যখনই সুযোগ হয় তখনই চেষ্টা করি বাইরে ভ্রমন করার। ঘোরাঘুরি করলে মনে অনেক ভালো থাকে ফ্রেশ থাকে এবং অনেক জ্ঞান অর্জন করা যায় বিভিন্ন জায়গা ভ্রমণ করার মাধ্যমে। গতমাসে আমি গিয়েছিলাম চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে। ডিসি পার্ক অনেক সুন্দর তবে প্রতিবছর শীতকালেই পার্কে একটা মেলা হয়। সেই মেলাটি হচ্ছে ফুলের মেলা। এই ফুলের করেছিলাম প্রথম পর্ব আমি আপনাদের মাঝে গত সপ্তাহে এসেছি শেয়ার করেছিলাম। আজকে আমি আরও একটি পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। গত পর্বে আমি ডিসি পার্কে প্রথমেই ঢোকার পর দেখতে পেলাম খুবই সুন্দর অনেকগুলো পিটুনিয়া ফুলের গেট দিয়ে সাজানো হয়েছে। দুনিয়া ফুলের গেট পার হওয়ার পর দেখতে পেলাম হাজারো ফুল একসাথে সাজানো গোছানো।
এই পার্ক এত বড় ছিল যে কোন দিক দিয়ে ঢুকলে কোন দিক দিয়ে শেষ হবে পুরোটা একসাথে দেখে বেরোনো সম্ভবই না। পিটুনিয়া ফুলের গেট থেকে সামনে বেরোলেই দুই পাশে ছিল দুটোর দীঘির মতো বড় বড় পুকুর। এবং সামনে অনেক বড় একটা জায়গা ছিল সেখানে একদিকে হচ্ছিল বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এবং আরেক সাইডে ছিল অনেক অনেক ধরনের ফুল দিয়ে ফুলগুলোকে বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন করে সাজানো রাখা হয়েছে। সেখানে অনেক ধরনের ফুল ছিল বিভিন্ন ধরনের কসমস ফুল ছিল। চন্দ্রমল্লিকা ফুল ও ডায়ান্থাস এ ধরনের ফুল গুলো ছিল। সে ফুলগুলোর সাথে দাঁড়িয়ে কিছু ছবি তুললাম। অনেক অনেক মানুষ ছিল সেখানে অনেক মানুষই এই বিভিন্ন ধরনের ফুলের সাথে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিল নিজের নিজের মতো করে। কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর হঠাৎ করেই চোখে সমস্যাটা বেড়ে গেল। তাই চশমাটা লাগিয়ে সেখানে ঘোরাফেরা করতে হয়েছে। আমার চশমা ব্যবহার করতে একদমই ভালো লাগে না কারণ চশমার সাথে একদমই অভ্যস্ত না। সেজন্য চশমা লাগিয়ে চলাফেরা করতে একটু অসুবিধাই হয়। তারপরও কি আর করার চলাফেরা করতে হয়েছে চশমা লাগিয়ে কারণ চোখের সমস্যার কারণে চশমা ছাড়া তাকাতে কষ্ট হচ্ছিল।
প্রত্যেকটা ফুলের মধ্যে একটা করে সাইনবোর্ড লাগিয়েছে ফুলের নাম এবং বিভিন্ন ডিটেলস সেখানে লেখা ছিল সেটা খুবই ভালো লেগেছে। স্বাভাবিক ব্যাপার আমরা সব ধরনের ফুলের নাম জানিনা। যেগুলো আসলে দেখলেও চিনতে পারব না। সেখানে ফুলের মধ্যে সাইনবোর্ড লাগিয়ে ফুলের নাম এবং ফুলের ডিটেলস লেখা ছিল। যেটার মাধ্যমে ফুলের নাম এবং ফুল সম্পর্কে জানতে সুবিধে হয়েছিল। তাছাড়া ফুলের এই বাগানের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ভাস্কার্য তৈরি করেছে। এক এক সাইডে একেক রকমের ভাস্কার্য সে ভাস্কর্যগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে সবাই ছবি তুলছিল। আমি আরুশ বাবুকে নিয়ে সেখানে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু ছবি তুলে নিলাম।
সেখানে এত এত প্রজাতির ফুল ছিল সেটা আসলে গুনে শেষ করা ও সম্ভব নয়। আমি চেষ্টা করেছি বিভিন্ন ধরনের ফুলের ফটোগ্রাফি করার। তাছাড়া সেখানে ফুলের সুবাসে চারদিক ভরে গিয়েছে আর মিষ্টির রৌদের মধ্যে শীতকালে এত সুন্দর ফুলের সৌরভ উপভোগ করার মুহূর্তটা সত্যি অন্যরকম ছিল। তাছাড়া সেখানে ছিল বিভিন্ন ধরনের বিভিন্ন জাতের মানুষ একসাথে। একই জায়গায় এত ধরনের অর্থাৎ পুরো বাংলাদেশ থেকে সেখানে মানুষ আগত। আর বাংলাদেশে বিভিন্ন জাতের মানুষ রয়েছে বিভিন্ন বিভাগে আলাদা আলাদা মানুষ আর আলাদা ভাষায় কথা বলে। সেখানে যাওয়ার পর এক সাইড থেকে এক এক বিভাগের বিভিন্ন কথাবার্তা শোনা যাচ্ছিল যেটা দেখে খুবই ভালো লাগলো। সবাই তাদের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলছিল তাছাড়া আদিবাসীরা ও সেখানে ঘুরতে এসে সেখানে তাদেরকে দেখেও বেশ ভালো লেগেছে। এই ছিল আমার ডিসি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত বাকি পর্বগুলো আপনাদের মাঝে আস্তে আস্তে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
শ্রেণী | ট্রাভেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://x.com/APatwary88409/status/1891134244753199381?t=03v7WDdnaVwx0I2fwQRbCQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ডিসি পার্ক ভ্রমণের খুব সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রত্যেক বছর সেখানে ফ্লাওয়ার ফেস্ট এর আয়োজন করা হয়। যদিও আমার কখনোই যাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে পুরোটা ফুলের রাজ্য। আপনি খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটা জায়গা খুব সুন্দর হবে ডেকোরেশন করা। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
এক বছর কিন্তু ফুলের মেলায় গিয়ে দেখতে পারেন আপনার কাছে কিন্তু বেশ ভালই লাগবে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে প্রতিবছর এরকম সুন্দর মেলা হয় যেন ভালো লাগলো। আমার আবার ফুল খুব ভালো লাগে। কোনদিন সুযোগ হলে অবশ্যই এখানে যাবো।আপনারা সেখানে গিয়ে চমৎকার সময় অতিবাহিত করেছেন। এর আগের পর্বে আরো অনেক ধরনের ফুলের ফটোগ্রাফি দেখতে পেয়েছিলাম। আজকেও বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রতিটি ফুলের গাছগুলোর মধ্যে সাইনবোর্ডের নাম লেখা আছে জেনে খুব ভালো লাগলো। এরকম নাম লেখা থাকলে ফুলগুলো চিনতে সুবিধা হয়।চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি এবং ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত শেয়ার করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
গত কয়েক বছর ধরে চট্টগ্রাম ডিপি পার্কে প্রত্যেকটা বছরই ফুলের মেলা হয়ে থাকে। ফুলের মেলায় এত রকমের ফুল দেখতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। আপনার মন্তব্যটি পড়েও খুবই ভালো লেগেছে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু এটা তো দেখছি ফুলের রাজ্য। প্রথম পর্বটা পড়েছিলাম ভীষণ ভালো লেগেছিল। এরকম জায়গাতে গিয়ে সময় কাটাতে তো খুবই ভালো লাগে। প্রতিটা ফুলের নামসহ আলাদা সাইনবোর্ড লাগানো ছিল এটা তো দারুন ব্যাপার ফুলের নাম গুলো জানা হয়ে গেছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাই একদম ঠিক বলেছেন এটা বলতে গেলে ফুলেরাজেই বলা যায়। চারদিকে শুধু ফুল আর ফুল কত কত রকমের ফুল ছিল। অনেক রকমের ফুল তো সেখানে গিয়ে প্রথম দেখলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ডিসি পার্কে কাটানো সুন্দর আরও একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লেগেছে আপু। দ্বিতীয় পর্বটা কিন্তু খুবই দারুণ ছিল। এই বছর আরো অনেক বেশি সুন্দর হয়েছে ডিসি পার্ক। চারিদিকে ফুলের সৌন্দর্য দেখতে কিন্তু দারুণ লাগছে। আপনারা খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখেই বুঝতে পারলাম। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ডিসি পার্ক টা ভ্রমণ করে আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে এবারের। গতবারের তুলনায় এবারে অনেক বেশি সুন্দর ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে ঘুরতে গিয়েছেন, এটা দেখেই তো ভালো লাগলো। আপনার ঘুরাঘুরি করার মুহূর্তটা যেমন সুন্দর ছিল, তেমনি এটা দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে। খুব চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন ঘুরাঘুরি করার সময়। ডিসি পার্কের সৌন্দর্য কিন্তু অস্থির ছিল।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আমারে ঘুরাঘুরির মুহূর্ত গুলো দেখে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
চট্টগ্রাম ডিসি পার্কে তো দেখছি তখন ফুলের মেলা ছিলো। ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো চোখ দুটি একেবারে জুড়িয়ে গিয়েছে। আসলে ফুল আমার খুব পছন্দ এবং ফুল দেখলে ফটোগ্রাফি না করে থাকা যায় না। যাইহোক আপনারা এককথায় দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন সেখানে। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
হ্যাঁ ভাইয়া এই ডিসি পার্কে হাজার হাজার রকমের ফুল ছিল বলতে গেলে হাজার ফুলের সমারোহ। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit