হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। পরিশ্রমের মাধ্যমে ভাগ্য বদল আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকের গল্প ঠিক আছে একটি অভাগী মেয়ে কিভাবে পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের ভাগ্যটাকে পরিবর্তন করেছে সেটা নিয়েই। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের গল্পটি। গ্রামীণ জীবনের একটি সুন্দর পরিবারের গল্প শুরু করব এখন। এই গল্পটির প্রথম পর্ব আমি আপনাদের মাঝে গত কয়েকদিন আগে শেয়ার করলাম। গল্পটির বাকি অংশ আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। গত সপ্তাহে শেয়ার করেছিলাম যে পর্যন্ত সেখান থেকেই শুরু করছি আজকে। বাবা মা হারা সেই ছোট্ট মেয়েটি যখন লেখাপড়া করি নিজের পায়ে দাঁড়ায় এবং চাকরি-বাকরি পায় তাড়াতাড়ি তো খুবই গর্ববোধ করত তার নাতনি কে নিয়ে। এবং গ্রামের সবাইও অনেক বেশি পছন্দ করত বাবা-মা হারায় এই মেয়েটা কে দাদি মানুষ করেছে এবং সেও মানুষের মত মানুষ হয়েছে ছোট থেকে লেখাপড়া করে আজকে সে চাকরি পেয়েছে।
গ্রামের মেয়ে হয়েও এতোটুকু এসেছে সেজন্য সবাই অনেক প্রশংসা করে তার। এদিকে সে যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে সেখানে একটা ছেলের বাড়ি থেকে তার জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসে। এ পর্যায়ে এসে সে ওর বিয়ের জন্য না করেনি কারণ এখন সে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে চাকরি-বাকরি করছে। এখন তারও বিয়ে করার মত রয়েছে তাছাড়া যেই ছেলেটার জন্য তার বিয়ের প্রস্তাব এসেছে ছেলেটা এবং সে দুজন পছন্দ করে। তো সে উপলক্ষে একদিন ছেলের বাড়ি থেকে তাকে দেখতে আসে। সেদিন তাকে দেখতে এসেছিল ছেলে ছেলের মা এবং ছেলের দাদি। যেহেতু গ্রামে রয়েছে সেই হিসেবে গ্রামের পাত্রী দেখতে আসাটাও সেভাবেই হচ্ছিল। তাতে মেয়েটির কোন আপত্তি ছিল না গ্রামের পরিবেশ এরকম হয়।
ছেলের বাড়ি থেকে তাকে দেখতে আসার পর সেখানে সব থেকে বেশি কথাবার্তা বলছিলেন ছেলের দাদি। তখন ছেলের দাদি বলে যে আমাদের বাড়ির বউ চাকরি বাকরি করে না তুমি তো শুনছি চাকরি করো। তখন তার দাদি বলে যে চাকরি করো তাতে আপত্তি নেই কিন্তু চাকরি জায়গা ছাড়া আর কোথাও এদিক সেদিক যাওয়া যাবে না। তিনি আরো বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তাই বলছিলেন যেটা মেয়েটির একদমই ভালো লাগছিল না। একটা সময় তিনি এটাও বলে ওঠেন যে তোমার তো আর কেউ নেই তোমার দাদি ছাড়া বিয়ের পর কিন্তু আবার দাদীর দায়িত্ব নিতে যেও না। এটা ভেবো না যে চাকরি-বাকরি করে সব আবার তোমার দাদিকেই দিয়ে দিবে। হ্যাঁ উনি অসহায় মানুষ তার একটা ব্যবস্থা আমরা করে দিব।
এই কথা শুনে মেয়েটি ও মুখের উপর জবাব দিয়ে দেয় বলে যে আমার দাদি আমাকে ছোটবেলা থেকেই মানুষ করেছে। তিনি না থাকলে হয়তো আমি এই পর্যন্ত আসতে পারতাম না। ছোটবেলায় আমার মা বাবা মারা যায়। তখন আমার দাদি আমাকে খাইয়ে পড়ে সবটুকু দিয়ে আমাকে বড় করেছে এবং কি ছোট থেকে এই পর্যন্ত সব জায়গায় আমাকে সাপোর্ট করেছে। আপনি যেটা বলেছেন সেটা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব না সে ক্ষেত্রে এই বিয়েটাও আমার করা সম্ভব নয়। তখন ছেলেটার দাদী ও আরো বেশি রাগান্বিত হয়ে যায় আর সেখান থেকে চলে যেতে বলে। তখনই হঠাৎ ছেলেটির মা কথা বলে ওকে বলে যে তুমি যা বলছ তাই হবে মা। তখন ছেলের দাদি ছেলের মাকে অনেক কথাই বলে তখন ছেলের মা বলে আপনি আমাকে এত বছর এভাবেই দমিয়ে রেখেছেন।
আমি চাইনা আমার ছেলের বউ আমার মত এভাবেই সংসারের মধ্যে স্বাধীনতা হীন ভাবে বেঁচে থাকুক। আমি চাই আমার ছেলের বউয়ের জীবন যেন আমার মত না হয়। আমার ছেলের বউ যাতে স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারে বাইরে যেতে পারে। এরপর ছেলের বাড়ি সবাই মেয়েরা সব কথাই মেনে নেয় এরপর তাদের বিয়ে হয়ে যায়। খুবই সুন্দর একটা সংসার হয় এই অসহায় মেয়েটি রং।একটা অসহায় মেয়ে যার মা-বাবা ছোটবেলায় মারা গিয়েছে বলতে গেলে তার জীবন সেখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করে জীবনের সাথে সংগ্রাম করে সে অনেক দূর এগিয়ে এসেছে এবং খুবই সুন্দর একটা ভবিষ্যত গঠন করেছে। সাথে তার দাদি খুবই সুন্দর একটা জীবন উপভোগ করেছে। এই ছিল আমার আজকের গল্প আশা করি আমার আজকের গল্পটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
পরিশ্রম করলে জীবন বদলাবে এটাই স্বাভাবিক। আসলে একজন যা করেছে অন্যকে তা করতে দেওয়ায় উত্তম। আপনার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর লিখেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতা আসে আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আপু আপনি খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। আপনার গল্পের শেষ পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো। পরিশ্রম করলে সফল হবেই আপনার গল্পের মেয়েটি তার উদাহরণ। তাছাড়া যখন তার মাথার উপর একটা শক্ত ছায়া থাকে তখন এগিয়ে যাওয়ার সাহস খুঁজে পাওয়া যায়। বিয়ের ক্ষেত্রে গিয়ে ছেলের মায়ের কথা গুলো ভালো লেগেছে। ছেলের মা ভালো ছিল বলেই মেয়েটির জীবনটা সুন্দর হলো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজকের গল্পটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম আপু।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
সমাজে কিছু কুসংস্কার থাকে যেগুলো মানুষকে সামনের পথে এগিয়ে যেতে বাধা সৃষ্টি করে। মানুষের একদম ফ্রি ভাবে তুলতে দেওয়া ঠিক নয়। আবার নিজের লাগামহীন স্বাধীনতা পাওয়াটাও ঠিক নয়। তবে একটা গণ্ডি থাকা প্রয়োজন রয়েছে। কোথায় আছে বাগানে গেট না থাকলে খোলা বাগান নষ্ট হতে সময় লাগে না। যাইহোক আপনার লেখা আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। যত বেশি পরিশ্রম তত বেশি উন্নতি। তবে পরিশ্রমটা বুঝে শুনে এবং নিয়মের মধ্যে করলে সেটা সর্বক্ষেত্রে ভালো।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
ধন্যবাদ আপনাকে গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit